চিলির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯ টার (বাংলাদেশ সময় বুধবার পৌনে ৬টা) দিকে ভূমিকম্পটি হয়।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী সুনামির পরও চিলি সরকার কেউ নিহত বা ব্যাপক কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে।
তবে অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে সম্ভবত হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে দুজন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল পেরু সীমান্তের চিলির খনি বন্দর লিকুইকু থেকে ১শ’ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে এবং সমুদ্রতলের ১২ দশমিক ৫ মাইল গভীরে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ২ দশমিক ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউসহ এক বড় ধরনের সুনামি তৈরি হয়েছে।
চিলির নৌবাহিনী জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ৪৫ মিনিটের মধ্যে সুনামির প্রথম বড় ঢেউটি আঘাত হেনেছে।
চিলির সরকার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে স্বরাষ্টমন্ত্রী রডরিগো পেনাইলিল্লো জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকায় উল্লেখ করার মতো কোনো ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাননি তারা। তবে ভূমিকম্পের সময় ঘটনার সুযোগ নিয়ে লিকুইকুয়ে জেল থেকে ৩শ’ বন্দি পালিয়ে গেছে।
সুনামি সতর্কতায় চিলির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে সরকার। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চিলির প্রধান তামা রপ্তানি বন্দর লকুইকু এলাকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকাটিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করে রাখা হয়েছিল।
মঙ্গলবার গভীর রাতে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ভূমিকম্প পরবর্তী ছয় ঘন্টা ধরে সুনামি সতর্কতা বজায় থাকবে।
২০১০ সালে প্রশান্ত মহাসাগরের চিলির উপকূলীয় এলাকায় ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের ফলে তৈরি হওয়া সুনামিতে মধ্য ও দক্ষিণ চিলির কয়েকটি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং ওই বিপর্যয়ে ৫২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।