আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমিনুল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করুন: এইচআরডব্লিউ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকার আগামী অর্থবছরে নতুন পে-স্কেল দিতে পারবে। একইসঙ্গে কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকলে চিকিত্সক ও শিক্ষকদের বরখাস্তের হুমকি দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে। তিনি বলেন, যত গন্ডগোলই হোক না কেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেশনজটও কমে এসেছে। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে যারা চাকরি করবে, তাদের জন্য খুব একটা সুবিধা হবে বলে মনে হয় না।
প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের শহীদুল ইসলাম সেলিমের সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বাড়ানোসংক্রান্ত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

আগামী বছর নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা হতে পারে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রজাতন্ত্রের সব শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে বেতন ও চাকরি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিশন ইতিমধ্যে দুটি সভা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিশন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে এবং বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করছে। ’
সরকারি দলের সাংসদ সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতা-মাতাসহ অনূর্ধ্ব ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনায় রেখে কমিশন সরকারের কাছে নতুন পে-স্কেল প্রদানের সুপারিশ পেশ করবে। কমিশনের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ ছয় মাস থাকলেও বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি আশা করেন, সুপারিশ ছয় মাসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সেই সুপারিশ বিবেচনা করে সরকার আগামী অর্থবছরে নতুন বেতন-ভাতার স্কেল ঘোষণা করতে পারবে।


কর্মস্থলে না থাকলে বরখাস্ত

চাকরি পেয়ে কর্মস্থলে না থাকলে সরকারি চিকিত্সক এবং শিক্ষকদের বরখাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যাঁরা চাকরি নিয়ে গ্রামের কর্মস্থলে থাকবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের চাকরিতে থাকার দরকার নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরি পাওয়া চিকিত্সক ও শিক্ষকদের দেশের গ্রামাঞ্চলে পদায়ন করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাঁরা নিয়োগস্থলে থাকেন না।
চিকিত্সক ও শিক্ষকদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা সব সময় রাজধানীতে আসতে চান, কিন্তু যদি রাজধানীতে না আসতে পারেন তবে তাঁরা ভাবেন, তাঁদের সম্মান ও মর্যাদার হানি ঘটেছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নিয়োগস্থলে না থাকলে তাঁদের বরখাস্ত করে নতুনদের নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.