আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাথুস-থিরিমানে লড়াকু শ্রীলঙ্কা

অলিম্পাস পর্বত থেকে দেবতা জিওস বজ্র নিক্ষেপ শুরু করলেন। মুহূর্তের ব্যবধানে শুরু হলো ধূলিঝড়। ক্যারিবীয়ানদের আশার প্রদীপের শেষ আলোটুকুও নিবে গেল এই ঝড়ে। শ্রীলঙ্কার ১৬০ (৬ উইকেটে) রানের জবাবে ১৩.৫ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ তখন ৮০ রান। ম্যাচের এমন পজিশনে ডিএল মেথডে ক্যারিবীয়রা জয়ের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে।

ধূলিঝড়, বজ্রপাত এবং শিলাবৃষ্টি ধুয়ে মুছে দিল গ্যাংনাম নাচের সব সম্ভাবনা। লঙ্কানরা ডিএল মেথডের কল্যাণে ২৭ রানে ম্যাচ জিতে নিশ্চিত করল টি-২০ বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল। মালিঙ্গাদের প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছেটা ছিল প্রবল। সাঙ্গাকারা-জয়র্ধনকে বিদায়ী অভিবাদন জানানোর তাগাদাও ছিল। সবমিলিয়ে গ্যাংনাম নাচের ছন্দে থাকা ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হয়েছিল দৃপ্ত শপথে উজ্জ্বল শ্রীলঙ্কা।

কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দেখা গেল লঙ্কানদের উদযাপনে আরও একবার বিশাল বাধার পাহাড় খাড়া করে রেখেছে ক্যারিবীয়রা। সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়বর্ধনে কি তবে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলে ফেললেন! বিস্ময়মাখা এই প্রশ্নটা মোটা দাগে দর্শকদের চোখে জ্বলজ্বল করতে লাগল লঙ্কানদের ১৬০ রানের সংগ্রহের পরই। ছন্দে থাকা ক্যারিবীয়দের জন্য এই সংগ্রহ কি খুব বড় কিছু! গেইল, স্মিথ, ব্রাভো, স্যামুয়েলস এমনকি ড্যারেন স্যামিদের রুদ্র রূপ এই সংগ্রহকে টপকে যেতে পারে সহজেই! প্রশ্নগুলোর উত্তর যথার্থভাবে মিলতে পারত ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ালেই। কিন্তু ভাগ্যদেবী বুঝি এবার লঙ্কানদের পক্ষেই। থিরিমানে (৩৫ বলে ৪৪) এবং ম্যাথুসের (২৩ বলে ৪০) ঝড়ো গতির ইনিংস দুটিই শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের বিজয়ের জামিন হয়ে যায়।

মালিঙ্গা একটা বড় প্রশ্ন সব ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্যই। কাল তার প্রমাণ মিলল আবারও। প্রথম স্পেলে বোলিংয়ে এসে ২ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে দুই উইকেট (গেইল ও স্মিথ) শিকার করে বিজয় উদযাপনের মঞ্চটা প্রস্তুত করেছিলেন তিনিই। তবে ম্যাচের তখনো ঢের বাকি। ড্যারেন স্যামি কেবল ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয়ের জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তবে সে কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। ওমন একটা ঝড়োবৃষ্টির পর ম্যাচ মাঠে গড়াবে, তেমন সম্ভাবনা ছিল না। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মনের আনন্দেই ড্রেসিং রুমের দিকে ফিরছিল লঙ্কান স্কোয়াড। দর্শকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। ফটোগ্রাফারদের নিরাপত্তাদানকারী ছাতাগুলো উড়ে গেছে।

তবে ম্যাচের শেষটা জানার আশায় শিলাবৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার কয়েক দর্শক তখনো গ্যালারিতে। কেউ বা মনের আনন্দে ভিজতে শুরু করেছেন বৃষ্টিতে। কে জানে, এসব দর্শক হয়ত ক্রিকেটীয় আনন্দের শেষটা উপভোগ করার অপেক্ষাতেই ছিল। কিন্তু ঝড়োবৃষ্টির প্রকোপ বলছিল, বৃথাই তোমাদের আশা। লঙ্কানদের জন্য অবশ্য বৃষ্টিটা আশীর্বাদ হয়েই দেখা দিল।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.