অনেক কিছুই তাদের পক্ষে নেই। স্পিন বোলিংটা খুব ভালো খেলার ঐতিহ্য নেই। যে মাঠে সেমিফাইনাল হচ্ছে, সেখানে এই বিশ্বকাপে এর আগে একটাও ম্যাচ খেলা হয়নি তাদের। ইতিহাস বলছে, কোনো টুর্নামেন্টের নকআউট পর্ব শুরু হলেই তাদের স্নায়ুও চাপ সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
জিততে হলে এ সবকিছুকেই ভুল প্রমাণ করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
কথাটা ফ্যাফ ডু প্লেসিস জানেন, জানে তাঁর দলও। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তাই হাঁটলেন অন্য পথে। মাঠে নামার আগেই বলে দিলেন, ‘আপনি যদি এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন, ভারতই এবার ফেবারিট হিসেবে খেলছে। আমরা তো প্রায় পুরো টুর্নামেন্টটাই আন্ডারডগ হিসেবে খেললাম। বড় টুর্নামেন্টেও সব সময় তারা ভালো খেলে।
’
কৌশলটা মন্দ নয়। সবার নজর প্রতিপক্ষের দিকে সরিয়ে দিয়ে নিজেরা নির্ভার হয়ে যাওয়ার চেষ্টা। তবে সেই চেষ্টা বেশি হয়ে গেলে আবার নিজেদের খুব বেশি হালকা করে ফেলা হয়। সে জন্যই কি না সঙ্গে এটাও বলে রাখলেন, ‘ওরা অনেক দিন ধরে ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে আমরা এই বছরই তাদের বিপক্ষে খেলেছি এবং সফলও হয়েছি।
সুতরাং আমার মনে হয় সেমিফাইনালে দুই দলই সমান আত্মবিশ্বাসী থাকবে। প্রচন্ড চাপের ম্যাচ হবে এবং যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে তারাই জিতবে। ’
আত্মবিশ্বাস কুড়ানোর অবশ্য আরও কিছু জায়গা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও পরের তিন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টান টান উত্তেজনায় পরের তিনটি ম্যাচ তারা জিতেছে যথাক্রমে ২, ৬ ও ৯ রানের ব্যবধানে।
চাপ নেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেছে, সুপার টেনের ম্যাচগুলো থেকে ডু প্লেসিস প্রাপ্তি দেখেছেন আরও, ‘আমরা নির্দিষ্ট কারও ওপর নির্ভরশীল নই, প্রতিটি ম্যাচই আলাদা আলাদা খেলোয়াড়েরা পারফর্ম করেছে। ’ ইঙ্গিতটা ভারতীয় স্পিনারদের দিকে। সুপার টেনের চারটি ম্যাচেই ভারত জিতেছে দুই স্পিনার মিশ্র ও অশ্বিনের নৈপুণ্যে। পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ভালো বল করলেও ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সুযোগই পাননি জ্বলে ওঠার। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি জয়ে ম্যাচসেরা তাহির, ডুমিনি আর ডি ভিলিয়ার্স, বল হাতে দারুণ ফর্মে আছেন পেসার ডেল স্টেইনও।
এখানে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো কিছুটা এগিয়ে, তবে পিছিয়ে থাকবে মিরপুরের উইকেটে এই টুর্নামেটে এর আগে খেলতে না-পারার কারণে। ডু প্লেসিস ওটাকেও খুব বড় সমস্যা হিসেবে দেখতে রাজি নন, ‘ওরা এখানে বেশি মানিয়ে নিয়েছে। তবে মাঝের কয়েকটা দিন আমরাও কঠিন পরিশ্রম করেছি এবং চেষ্টা করেছি মানিয়ে নিতে। আর আমার মনে হয় না উইকেট খুব বেশি বাজে হবে। আমরা এখানে অন্য দলগুলোকে খেলতে দেখেছি।
খুব ভালো ক্রিকেট উইকেট বলেই মনে হয়েছে। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।