আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উপাচার্যদের অমৃত বচন

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে 'রাজনীতি' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ফোরামের বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্র নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উপাচার্যরা বলেন, অসুস্থ রাজনীতিতে আমরা ক্ষতবিক্ষত হচ্ছি। সাময়িকভাবে হলেও এ অসুস্থ রাজনীতির ধারা স্থগিত করা হোক। উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের হাতে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের নেতা সায়াদ ইবনে মোমতাজ সাদ নির্মমভাবে নিহত হন। এর দুই দিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ কক্ষে নিহত হন ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দ। শেষোক্ত হত্যাকাণ্ডের জন্য ছাত্রশিবিরকে দোষারোপ করা হলেও ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে ছাত্রলীগ নামধারীরাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত। এ দুই হত্যাকাণ্ড সংশ্লিষ্ট দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে অগি্নগর্ভ পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধে উপাচার্য ফোরামের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হলেও এটি কোনো প্রহসনের অংশ কিনা সে সংশয়ও জোরদার হয়ে উঠেছে। কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুই যুগ ধরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন না হওয়ায় গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির বিকাশ রুদ্ধ হয়ে গেছে। তার বদলে যখন যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে তাদের ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চেপে বসে। এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুযোগে তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের জবরদখলের ক্ষেত্র হিসেবে যা ইচ্ছে তাই করে চলেছে। ছাত্রলীগ নামধারীরা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা সন্ত্রাস সবকিছুতে হাত পাকাচ্ছে। যখন ইচ্ছে যার তার ওপর চড়াও হওয়া তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। খুনের নেশা তাদের এতটাই পেয়ে বসেছে যে, প্রতিপক্ষ না থাকায় নিজেরাই নিজেদের রক্ত ঝরাচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদের নির্বাচন না হওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয়রা কম-বেশি দায়ী। ছাত্ররাজনীতিকে অসুস্থ পরিণতির দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় তারা কিছুতেই এড়াতে পারেন না। শিক্ষাঙ্গন থেকে অসুস্থ ছাত্ররাজনীতির উপাসকদের দূর করতে হলে সুস্থ ছাত্ররাজনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে। ঘোষণা করতে হবে ছাত্রসংসদের নির্বাচন। ফ্রাংকেনস্টাইনের দানবদের হাত থেকে শিক্ষাঙ্গনকে রক্ষার সেটিই প্রকৃষ্ট উপায়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.