আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মমতা-নির্বাচন কমিশন মুখোমুখি

নির্বাচন কমিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলার পুলিশ সুপার ও এক শাসক এবং দুই জেলার অতিরিক্ত শাসককে বদল করার পরই এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তিনি। গতকালই এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান সম্পত। সম্পত দিলি্ল ফিরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই কর্মকর্তাদের বদলির নির্দেশ দেয় কমিশন। এবার সেই কর্মকর্তাদের বদলি নিয়ে একেবার কমিশনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ালেন মমতা। বর্ধমান জেলার জামালপুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশ থেকে কমিশনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেন, 'আমি কমিশনকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, যেখানে রাজ্যের দায়িত্বে আছি সেখানে কাউকে বদল করা যাবে না। কমিশনের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।' মমতার অভিযোগ, 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে কমিশন কীভাবে কর্মকর্তাদের সরিয়ে তাদের জায়গায় নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ করে।'

নির্বাচন কমিশনকে কংগ্রেস, বিজেপি এবং সিপিআই(এম)-এর দালাল উল্লেখ করে মমতা বলেন, 'কমিশন কংগ্রেস এবং বিজেপিকে জেতানোর জন্য কাজ করছে। ওরা শুধু কংগ্রেস, বিজেপির কথা শুনবে। একসময় আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আমি কোনো কর্মকর্তাকে বদলি হতে দেব না। আমি কাউকে কেয়ার করি না।' তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, 'কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে কোনো কর্মকর্তা পরিবর্তন হচ্ছে না। ক্ষমতা থাকলে মোদির রাজ্যে বদল করুক। কিন্তু এ রাজ্যে এসব মানব না।' তিনি বলেন, 'কমিশনকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু মাথা নিচু করে নয়।' এর সবটাই নির্বাচন কমিশন, কেন্দ ীয় সরকার, কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিআই(এম)-এর চক্রান্ত বলে মনে করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আমি একা লড়ব, আমি কাউকে তোয়াক্কা করি না।' দেশের উপ-মুখ্যনির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসিকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

তার দাবি, 'জুৎসির নামে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়েছেন জুৎসি। এমন একজন কর্মকর্তাকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।' রবিবার রাজ্য সফরে আসেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বি এস সম্পত। সেই সফরেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বীরভূম, মালদহ এ পাঁচ জেলার পুলিশ সুপার এবং উত্তর চবি্বশ পরগনা জেলার শাসকের কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি একরকম ভর্ৎসনা করেন। সম্পত দিলি্ল ফিরে যাওয়ার পর সোমবার বিকেলে কমিশন এই কর্মকর্তাদের বদলির নোটিশ পাঠায়। এর পরই কমিশনের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মমতা যেভাবে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন তাতে যথেষ্ট হতবাক রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। প্রসঙ্গত, ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ দফার ভোট।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.