শচীন টেন্ডুলকারের মলিন চেহারার কথা এখনো মনে আছে মুশফিকুর রহিমের। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে আব্দুর রাজ্জাকের বলে তিনি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন টেন্ডুলকারকে। আউট হওয়ার পর লিজেন্ড ক্রিকেটারের মলিন চেহারাটা এক ঝলক দেখেছিলেন তিনি। সেই চেহারার কথা এখনো মনে আছে টাইগার অধিনায়কের। সারাজীবন মনে থাকবে। টেন্ডুলকারের বিপক্ষে ওটাই ছিল মুশফিকের প্রথম ম্যাচ। শুধু এজন্য নয়, আরও অনেক কিছুর জন্য ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে মুশফিকের। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে হাত মেলানোর সময় শুভ কামনা জানিয়েছিলেন টেন্ডুলকার। ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও হারের পর শুভ কামনা জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট লিজেন্ড। তাতেই মনে হয়েছে ক্রিকেটার হিসেবে শচীন টেন্ডুলকার যতটা উঁচুতে, ঠিক ততটাই বড় মনের মানুষ সে।
২০১২ সালের এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছিল ফাইনালে। ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন আবেদনের। তেমনি অন্যরকম টেন্ডুলকারের জন্যও। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচেই টেন্ডুলকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট মিলিয়ে ১০০ সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন। দল হেরে গেলেও ১১৪ রানের ওই ইনিংসটি অক্ষত থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসে। টেন্ডুলকারের সঙ্গে ক্রিকেট ইতিহাসে মুশফিকের নামও জড়িয়ে থাকবে অনাধিকাল। মাশরাফির বলে ক্রিকেট লিজেন্ডের ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করেছিলেন যে তিনিই। সেই টেন্ডুলকার ১৩৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট খেলার বিরল রেকর্ডস গড়েছেন মুম্বাইয়ে। সেখানকার প্রিয় ভেন্যু ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে খেলেছেন জীবনের শেষ টেস্ট।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।