পাবনা এডওয়ার্ড কলেজর প্রায় ২ শত শিক্ষার্থী এবার মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারছে না। ফলে ১৩ বিষয়ে অনার্স কোর্স সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামেন এক মানব বন্ধন করে।
মানব বন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক কলেজের ১৭৮ জন শিক্ষার্থী মাষ্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ক্লাশ করেছেন।
কিন্তু এখন তাদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড না আসায় তারা পরীক্ষার ফরম পুরন করেতে পারছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ'র দাবী তাদেরকে পুনরায় মাষ্টার্সে ভর্তি হতে হবে। কলেজ কতৃপক্ষের উদাসীনতায় পরীক্ষার পূর্ব মুহুর্তে পূর্বের ভর্তি বাতিল ও পুনরায় ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে।
পরীক্ষা দিতে না পারা ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল শরীফ চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের বেলী খাতুন ও মাসুদ রানা, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শামীম হোসেন, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের আশরাফুল আলম অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ৩৭ শত টাকা দিয়ে মাষ্টার্সে ভর্তি হই। এরপর এক বছর ক্লাশ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই।
পরীক্ষার ফরম পুরনের সময় আমাদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড না আসার কারন জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, তোমাদের ভর্তি বাতিল হয়েছে পুনরায় মাষ্টার্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে এডওয়ার্ড কলেজের মাষ্টার্স ভর্তি কমিটির আহবায়ক ও উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক নিয়ামুল হক জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী অনার্সের রেজাল্টের পূর্বেই ১৩ টি বিভাগে মোট ১৭৮ জন শিক্ষার্থীকে মাষ্টার্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ১২০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় তাদের ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। বাকি ৫৮ জন এবার মাষ্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করা নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। এটা শুধু এডওয়ার্ড কলেজেই নয় সারা দেশের বিভিন্ন কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
তবে খুব শীঘ্রই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এদের ব্যাপারে সদ্ধিান্ত নেবেন বলে আমাদের সাথে কথা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ অধ্যক্ষ নাইদ মোহাম্মদ শামসুল হুদা জানান, ২০১০ সালের মাধ্যে যে শিক্ষার্থীরা অনার্সে ইংরাজি বিষয়ে পাশ করতে পারেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবার তাদের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিচ্ছেনা। তাদের নতুন করে ভর্তি হতে বলেছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপার।
কলেজ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।