আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সুইজারল্যান্ড ট্যুর.........পর্ব-৫

৪র্থ পর্ব: Click This Link যেহেতু ভাবছি এটা শেষ পর্ব তাই কিছু ভূমিকা দিচ্ছি .....আশাকরি পাঠকরা আবারো ধৈর্য্য হারাবেন না। আমার ভ্রমন পর্ব যে ৫ এ পৌছাবো তা লিখার শুরুতে বুঝতে পারিনি..... ভেবেছি ২ পর্বের পর আমারো ধৈর্য্য থাকবে না...... পাঠকদের ও আর বিরক্ত করবো না। কিন্তু না .....আমিও লিখে যাচ্ছি আর আমার পাঠকরাও ধৈর্য্য সহকারে পড়ে যাচ্ছেন। ....কেউ কেউ ভাবতে পারেন সুইজারল্যান্ড ট্যুর এ ও গেছি তাই ঢোল পিটাচ্ছি.......... আসলে ঢোল পিটানো থেকে আমি চেয়েছি আমার ব্লগার ভাই যারা ইউরোপ যাবেন বা যাওয়ার ইচ্ছা আছে তাদেরকে কিছু ধারনা দেয়া মাত্র.. ... যাহোক ভূমিকা শেষ আসল পর্বে আসি............... ইউরোপ ট্যুর এ আমার অভিঙ্গতায় মনে হয়েছে ইউরোপবাসীরা পানির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি কৃচ্ছতা সাধন করে...বাথরুমেতো পানি ব্যবহার করে না সাথে পানি খায়না বললেই চলে.....যেখানেই গেছি পানি খুজে অথবা কিনে খেতে হয়েছে যা অন্যান্য ড্রিংস থেকেও মূল্যবান, এমন কি মিটিং ও পানি দেয় নাই তার বদলে দিয়েছে সোডা পানি। যাইহোক বাঙ্গালী হিসেবে প্রথম কিছুদিন খারাপ লাগলেও তারপর ঠিক হয়ে যাবে নিশ্চয়।

..... আরেকটা অভিঙ্ঘতা হলো অন্যান্য ইউরোপবাসীর মতো সুইসবাসীরাও খুব চকলেট প্রেমি। এতো চমৎকার চকলেট আমি খুব কমই পেয়েছি আর আমিও চকলেট খুব ভালবাসি সুতরাং দুই এ দুই চার........চকলেটই দুই লাগেজ ....। Gstaad শহরে চকলেট ফেস্টিভাল চলছিল...আপনার সামনেই বানিয়ে দেবে আপনার প্রিয় চকলেট ...আহ......দারুন মজাদার। শেষদিন আগেরদিন গেলাম ইন্টারলেকান এ। ইন্টারলেকান এ যেতে হলে লুজান সিটিতে এসে ট্যুরিস্ট ট্রেন ধরতে হবে....ট্রেনেই টিকেট কাটার ব্যবস্থা আর আমাদের ট্রেনের মতো গলাকাটা দামে খাবার ব্যবস্থা আছে (তাই খাবার সঙ্গে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ)।

শুধু ট্রেনে বসে দুপাশের দৃশ্য দেখে দিন কাটাতে পারবেন....অপূর্ব সে দৃশ্য......। একবারই টিকেট কেটে নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে নেমে পরের ট্রেন ধরলেই চলে.....এক টিকেটে যেকোন ট্রেনে উঠা যায়...... ...বরফের পাহাড় ঘেরা শহরের মধ্যে ঘোরা ঘুরি...ছবির মতো সবকিছু ঝকঝকে.....। এতো বেশি সাজানো গোছানো যে আপনার সন্দেহ হবে কোথায় এসে পড়লাম...আলাদা কোন পৃথিবী নয়তো............। এখানেই maximum হলিউড/বলিউড এর স্যুটিং হয় কিন্তু আমাদের দূর্ভাগ্য Eastern/western কোন নায়ক/নায়িকারই দেখা পেলাম না কারন weather ২/৩ দিন ভালো ছিল না। পুরো ট্যুরএ আমার সুইসদেরকে খুব helpful মনে হয়েছে।

যেখানেই জানতে চেয়েছি বা সাহায্য চেয়েছি তা সহজেই পেয়েছি...এমনকি টিকেট কটিা.. ভুল ট্রেনে বসা......স্টেশনের.....সাইটের বা খাবারের দোকানের খোঁজ....এককথায় কোথাও আমাদের সমস্যা হয়নি। আজ এ পর্যন্ত আবার নতুন কোন ট্যুরের বা অন্য গল্প নিয়ে হাজির হবো আপনাদের কাছে............................................................ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.