আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার সুইজারল্যান্ড ট্যুর....পর্ব-১

এভাবে অভাবনীয় ভাবে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ হবে তা বুজতেই পারিনি। সাধারনত ডোনারই আসে কিভাবে ভিক্ষা দিবে, কত ভিক্ষা দিবে তা নির্ধারন করতে ..আমাদের মত গরীব দেশের লোকজনের পিছনে বিদেশ ভ্রমণের পিছনে টাকা খরচ করতে পছন্দ করে না। কারন আমাদের আমলাদের বিদেশ ভ্রমণের বিলাশিতার খবর কম বেশি তারা জানে। .........কিন্তু সব কল্পনাকে হার মানিয়ে যখন আমাদের invitation আসলো তখন শুরু হলো নতুন যুদ্ধ কারন চারটি এরিয়া থেকে চারজনকে যেতে বলেছে এবং তখন অফিসের সব বসেরা সবাই ওই চার এরিয়ায় expert হয়ে গেছে। যাহোক কামলা+বস হওয়ার সুবাদে আমার নামটা থাকলো তবে সংখ্যা গিয়ে আটএ থেকলো।

ডোনার ও বুজলো আটজনকে allow না করলে আসল চারজন যেতে পারবে না তাই তারা আটজনকেই allow করলো। যাহোক ভিসা পার্সপোর্ট এর সব ঝামেলা যখন শেষ হলো তখন দেখি হাতে সময় মাত্র ১০ দিন সময়....যেহেতু প্রথম ইউরোপ সফর তাই জ্ঙানীদের পরামর্শ চাইলাম Weather/hotel/cost/dress ইত্যাদি নিয়ে। সবার বক্তব্য শুনেতো আঁতকে উঠলাম। সারর্মম হলো...অসম্ভব Expensive, হোটেল খরচেই সব টাকা শেষ, এক্সট্রা ডলার নাও, Weather fully unpredictable, অসম্ভব ঠান্ডা, খুব বৃষ্টি, যত পারো মোটা ড্রেস নাও........ইত্যাদি ইত্যাদি । গুরুজনদের কথামত বঙ্গবাজারের মোটা মোটা ড্রেস এ ব্যাগ ভর্তি করে ফেললাম সঙ্গে ছাতা, রেইনকোর্ট, উলেন হাতমোজা, পামোজা, ইনার, টাইটস, হাফমাংকি, ফুলমাংকি টুপি ইত্যাদি ইত্যাদি।

(যদিও ওভারকোর্ট, ছাতা আর পামোজা ছাড়া কিছুই কাজে লাগেনি)। যথাসময়ে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশান পার হতেই বিশাল ইন্টারভিও এর সামনে, যে ইন্টারভিও আমাকে সুইস এ্যাম্বেসি করেনি তা আমার এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশান ভায়েরা করলেন প্রয়োজনীয় কাগজ দেখার পরও। যাহোক..টুর্কি এয়ারলাইন্সে প্রথম গেলেও আমার মনে হলো এটা এ্যামিরাটস হতে অনেক ভালো কারন ট্রানজিট টাইম মাত্র ৩ ঘন্টা এবং সেবার মানও ভালো আর এ্যামিরাটস এ ট্রানজিট টাইম ৮ ঘন্টা এবং গরীব দেশ বলে আমাদের পাত্তা নেই খুব একটা। .......৫.৩০ ঘন্টায় ইস্তাম্বুল আর ২.৩০ ঘন্টায় জেনেভায় পৈাছে মনে হলো জার্নিটা খুব একটা গায়ে লাগেনি দিনের আলোতেই জেনেভায় পৈাছাতে পেরেছি। জেনেভা ইমিগ্রেশান কোন ঝামেলা ছাড়াই Entry seal দিয়ে দিল।

বাইরে যেয়ে অপেক্ষায় আছি... যে হোটেলের বুকিং দিয়েছি তাদের Representative আসবে আমাদের নিয়ে যেতে কিন্তু ১ ঘন্টা অপেক্ষার পর যখন কাউকে পেলাম না তখন বুঝলান নতুন পথ দেখতে হবে। কিন্তু এ নতুন পথটা কি হবে তা আমরা কেউ জানি না কারন আমাদের কাছে হোটেলের কোন contact নাম্বার নেই,কোন লোকেশন ও জানা নেই। সবাই আসার উত্তেজনায় এবং "অন্যজন এইসব খবর রাখবে" এ ধারনায় কেউ রাখেনি কোন পেপার বা information এবং রোববার হওয়াতে আমাদের ডোনার অফিসও বন্ধ এবং ডোনার অফিসের কারো মোবাইল বা হোম নাম্বার ও রাখেনি। .........................................চলবে..................... (যদি পাঠকদের ধের্য্য থাকে আমার লিখা পড়ার মত)। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.