বিভাষ বাড়ৈ ॥ দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতসহ উগ্রপন্থী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আগামী ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে সাম্প্রদায়কিতাবিরোধী নতুন ইসলামী জোট। প্রস্তুতি শেষ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, আধ্যাত্মিকতা, আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, দরগা, মাজার ও খানকাসহ সুফিপন্থী ইসলামী দল ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জোটের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে রাজপথে নামছে নতুন এ জোট। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের ব্যর্থতা ও অনিয়মেরও প্রতিবাদ করবেন জোটের নেতারা।
এদিকে জোটের যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে জামায়াত সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়, ইসলামের আসল শত্রু। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াত একাত্তরেও গণহত্যা চালিয়েছে। ধর্মকে পুঁজি করে আবার আঘাত হানার অপচেষ্টা করছে। জামায়াতের কারণে ইসলাম আজ দুর্নামের ভাগিদার।
জোটের নেতারা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, তরিকতপন্থী জনগণের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ‘শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম’কে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জনগণের কল্যাণ ও জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতেই ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই জোটে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট সম্মিলিত ইসলামী জোট, ইসলামী ফ্রন্ট অব বাংলাদেশ এবং গণতান্ত্রিক ইসলামী মুভমেন্ট। আলোচনা চলছে তরিকত ও সুফীপন্থী অন্যান্য দল ও সংগঠনের সঙ্গে। শীঘ্রই স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধপন্থী সকল ইসলামী দল-সংগঠন জোটে আসছে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
তবে এই জোটে কোন উগ্রপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে এমন কোন সংগঠনকে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা। ইসলামী জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হয়ে কাজ করছেন তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র লায়ন এমএ আউয়াল, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সচিব মাওলানা মাসুদ হোসাইন আল কাদেরী, অর্থ সচিব আব্দুল মতিন ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিব উল্লাহ মুজাদ্দেদী। লিয়াজোঁ কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব এমএ আউয়াল জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নতুন ইসলামী জোট গঠন করতে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য চূড়ান্ত। আগামী ১২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা মাঠে নামব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, তরিকতপন্থী জনগণের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু আমাদের দুর্বলতার সুযোগেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ‘শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম’কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এদের অপকর্ম সম্পর্কে সাধারণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলতে চাই। জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতেই ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে নতুন এ জোটটির সমন্বয় করছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
সূত্র বলছে, জামায়াতসহ উগ্রপন্থ’ী ইসলামী দলগুলো সব সময় শান্তিপ্রিয় সুফিপন্থীদের বিরোধিতার চোখে দেখে থাকে। তাই সারা দেশে দরগা, মাজার ও খানকাসহ সুফিপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের দার্শনিক কর্মকা- বজায় রাখার প্রচেষ্টাও নতুন জোট প্রতিষ্ঠার একটি বিশেষ লক্ষ্য। এদিকে নতুন জোট গঠন প্রক্রিয়ার খবরে কিছুটা বিব্রত জামায়াত। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হলেও জামায়াত নেতারা বলছেন, জামায়াতই সত্যিকারের ইসলামী দল। নতুন জোট তো আমাদের বিরুদ্ধে নয়, এটা ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে।
এদের বিরুদ্ধে আমরা আগেও বলেছি। ভবিষ্যতেও বলব। তবে জামায়াত নেতাদের মন্তব্যকে রাজপথে জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নতুন ইসলামী জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, জামায়াত সত্যিকারের ইসলামকে ভয় পায়। কারণ ওরা ইসলামের আসল শত্রু।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীও বললেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জনগণের কল্যাণ ও জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের জবাব দিতে ইসলামী জোট গঠিত হচ্ছে। যুগ্ম মহাসচিব এমএ আউয়াল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপচেষ্টা রোধ করা হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাদের কর্মসূচীর অভাবে জঙ্গীবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তিগুলো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
এদের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হতেই এ জোট। তিনি বলেন, মহাজোট থেকে সরকার ও নির্বাচন পরিচালনার সুযোগ দেয়া হলে মহাজোটে তারা একীভূত হবেন। জোটের শরিক সম্মিলিত ইসলামী জোর্টের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের পরাভূত করে আগামীতে এদেশে সুফিপন্থীদের সরকার গঠনের লক্ষ্যে এই জোট গঠন করা হচ্ছে। জামায়াত সন্ত্রাসী দল। এটা কোন ইসলামী দল নয়।
রাজনৈতিক দলও নয়। এরা যা করে এটা কোন গণতান্ত্রিক দলের কার্যক্রম হতে পারে না। দেশবাসীকে জামায়াতসহ উগ্রবাদীদের সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়, ইসলামের আসল শত্রু। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াত একাত্তরেও গণহত্যা চালিয়েছে।
আত্মপ্রকাশ করবে ১২ ডিসেম্বর
বিভাষ বাড়ৈ ॥ দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতসহ উগ্রপন্থী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আগামী ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে সাম্প্রদায়কিতাবিরোধী নতুন ইসলামী জোট।
প্রস্তুতি শেষ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, আধ্যাত্মিকতা, আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, দরগা, মাজার ও খানকাসহ সুফিপন্থী ইসলামী দল ও সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জোটের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানীর পূর্বাণী হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে রাজপথে নামছে নতুন এ জোট। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সরকারের ব্যর্থতা ও অনিয়মেরও প্রতিবাদ করবেন জোটের নেতারা। এদিকে জোটের যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে জামায়াত সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়, ইসলামের আসল শত্রু।
ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াত একাত্তরেও গণহত্যা চালিয়েছে। ধর্মকে পুঁজি করে আবার আঘাত হানার অপচেষ্টা করছে। জামায়াতের কারণে ইসলাম আজ দুর্নামের ভাগিদার।
জোটের নেতারা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, তরিকতপন্থী জনগণের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ‘শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম’কে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জনগণের কল্যাণ ও জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতেই ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই জোটে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট সম্মিলিত ইসলামী জোট, ইসলামী ফ্রন্ট অব বাংলাদেশ এবং গণতান্ত্রিক ইসলামী মুভমেন্ট। আলোচনা চলছে তরিকত ও সুফীপন্থী অন্যান্য দল ও সংগঠনের সঙ্গে। শীঘ্রই স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধপন্থী সকল ইসলামী দল-সংগঠন জোটে আসছে বলে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। তবে এই জোটে কোন উগ্রপন্থী কর্মকান্ডের অভিযোগ আছে এমন কোন সংগঠনকে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা।
ইসলামী জোটের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হয়ে কাজ করছেন তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র লায়ন এমএ আউয়াল, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ আলী ফারুকী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সচিব মাওলানা মাসুদ হোসাইন আল কাদেরী, অর্থ সচিব আব্দুল মতিন ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মহিব উল্লাহ মুজাদ্দেদী। লিয়াজোঁ কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব এমএ আউয়াল জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক জঙ্গী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নতুন ইসলামী জোট গঠন করতে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য চূড়ান্ত। আগামী ১২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা মাঠে নামব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আউলিয়া কেরাম, আলেম-ওলামা, তরিকতপন্থী জনগণের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
কিন্তু আমাদের দুর্বলতার সুযোগেই স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ‘শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম’কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা এদের অপকর্ম সম্পর্কে সাধারণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তুলতে চাই। জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতেই ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে নতুন এ জোটটির সমন্বয় করছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। সূত্র বলছে, জামায়াতসহ উগ্রপন্থ’ী ইসলামী দলগুলো সব সময় শান্তিপ্রিয় সুফিপন্থীদের বিরোধিতার চোখে দেখে থাকে।
তাই সারা দেশে দরগা, মাজার ও খানকাসহ সুফিপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাদের দার্শনিক কর্মকা- বজায় রাখার প্রচেষ্টাও নতুন জোট প্রতিষ্ঠার একটি বিশেষ লক্ষ্য। এদিকে নতুন জোট গঠন প্রক্রিয়ার খবরে কিছুটা বিব্রত জামায়াত। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হলেও জামায়াত নেতারা বলছেন, জামায়াতই সত্যিকারের ইসলামী দল। নতুন জোট তো আমাদের বিরুদ্ধে নয়, এটা ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে আমরা আগেও বলেছি।
ভবিষ্যতেও বলব। তবে জামায়াত নেতাদের মন্তব্যকে রাজপথে জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন নতুন ইসলামী জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, জামায়াত সত্যিকারের ইসলামকে ভয় পায়। কারণ ওরা ইসলামের আসল শত্রু।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভা-ারীও বললেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীবাদীরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলামকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জনগণের কল্যাণ ও জঙ্গীবাদীদের অপকর্মের জবাব দিতে ইসলামী জোট গঠিত হচ্ছে। যুগ্ম মহাসচিব এমএ আউয়াল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত এখন যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপচেষ্টা রোধ করা হবে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাদের কর্মসূচীর অভাবে জঙ্গীবাদ, স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তিগুলো দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত হতেই এ জোট।
তিনি বলেন, মহাজোট থেকে সরকার ও নির্বাচন পরিচালনার সুযোগ দেয়া হলে মহাজোটে তারা একীভূত হবেন। জোটের শরিক সম্মিলিত ইসলামী জোর্টের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের পরাভূত করে আগামীতে এদেশে সুফিপন্থীদের সরকার গঠনের লক্ষ্যে এই জোট গঠন করা হচ্ছে। জামায়াত সন্ত্রাসী দল। এটা কোন ইসলামী দল নয়। রাজনৈতিক দলও নয়।
এরা যা করে এটা কোন গণতান্ত্রিক দলের কার্যক্রম হতে পারে না। দেশবাসীকে জামায়াতসহ উগ্রবাদীদের সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, জামায়াত কোন ইসলামী দল নয়, ইসলামের আসল শত্রু। ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে জামায়াত একাত্তরেও গণহত্যা চালিয়েছে।
জনকণ্ঠ-০৯। ১২।
২০১২ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।