আজিকার এই বাংলাদেশে রক্ত সৌধ রচনার বড্ড প্রয়োজন! শীত দেখতে দেখতে এসেই পড়লো। ঋতু পরিবর্তনের কারনে আমাদের সবারই ছোটখাট সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে যারা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা সমস্যায় পড়েন। ব্যাক্তিগতভাবে আমি অ্যাজমা রুগী হওয়াতে আর সবার কষ্ট টের পাই। তাই এই ক্ষুদ্র পোষ্ট।
চলুন দেখা যাক ঠান্ডা থেকে বাঁচার কোন উপায় আছে কিনা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে একটু
সতর্কতা অবলম্বন করে সাধারণ
সর্দি ঠাণ্ডা কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্ত
থাকা সম্ভব। সাধারণ ঠাণ্ডা-
সর্দি (Common Colds)
এড়াতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কয়েকটি পরামর্শঃ- একঃ সর্দি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির
বা কাশি বা হাঁচি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট
দূরে অবস্থান করুন। মিচিগান স্টেট
ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ইউম্যান
মেডিসিনের ডাক্তার ডেনিস ম্যুরের
মতে সর্দি-কাশির জীবাণু খুব সহজেই আপনার চোখ অথবা নাকের ভেতর দিয়ে সংক্রমিত
হতে পারে। দুইঃ হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
রাখুন।
অহিত্ত স্টেট
ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের
ডাঃ জোসেফের মতে হাঁচি বা কাঁশির
সাথে নির্গত ঠাণ্ডার জীবাণু যে কোন
বস্তুতে লেগে থাকতে পারে। স্পর্শের মাধ্যমে তা হতে সংক্রমিত হতে হবে। তিনঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করুন।
ডাঃ গ্রেডিসনের মতে যথেষ্ট
পরিমাণে (কমপক্ষে দৈনিক আট গস্নাস)
পানি গ্রহণ শরীরের বিশুদ্ধতা দূর
করে এবং দেহ থেকে জীবণু নির্গমনে সাহায্য
করে। চারঃ আঙ্গুল দিয়ে ঘন ঘন নাক অথবা চোখ
খুটবেন না।
পাঁচঃ বিছানায় পড়ে না থেকে হাঁটাহাঁটি মৃদু
ব্যায়াম করুন। ছয়ঃ রাত্রে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমান।
চিকিৎসা গবেষণায় তথ্য
রয়েছে যে অনিদ্রা দেহের রোগজীবণু
ধ্বংসকারী কোষের সংখ্যা হ্রাস
করতে পারে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত ঘুম রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সাতঃ কম চর্বিযুক্ত চিকেন স্যুপ খান।
ডাঃ গ্রাডিসনের মতে গরম গরম চিকেন স্যুপ
প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান
সরবরাহ করে দেহকে ঠাণ্ডা-সর্দির জীবানুর
সাথে যুদ্ধে সাহায্য করে। আটঃ কফ কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া,
গলা ব্যথা, জ্বর
ইত্যাদি উপসর্গে রেজিস্ট্যার্ড ডাক্তারের
পরামর্শে সুনির্বাচিত ঔষধ
প্রয়োজনে গ্রহণ করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।