আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি
পুঁজিহীন একটা ব্যবসা হলো ভিক্ষা। আমাদের সমাজে এমন অনেক সামর্থবান ব্যক্তি আছে যারা কর্মের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কেন জানি ভিাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। কেউ কেউ এই পেশাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাক্ষন করেন। এমনি একজন ব্যক্তির দেখা মিললো রমনা পার্কে।
আপনারা যারা সকালে রমনা পার্কে হাটতে যান তারা নিশ্চই দেখবেন যে পার্কের ভিতরে সুন্দর চেহারার একজন ব্যক্তি ওজন মাপার একটা মেশিন নিয়ে বসে আছেন। তার গলায় একটা আইডি কার্ডের মতো লেমেনিটিং করা কাগজ ঝুলানো। যেখানে লেখা আছে-
“আমি একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, খেটে খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি, আপনার ওজন মেপে আমাকে আর্থিকভাবে সহয়তা করুন”।
অনেকেই সেখানে গিয়ে ওজন মেপে টাকা দিচ্ছেন, কেউ আবার ওজন না মেপেও টাকা দিচ্ছেন।
কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বললাম চাচা কেমন আছেন, বললেন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভাল আছি।
বললাম- চাচা আপনার মতো যারা তারাতো ভিক্ষার পথ বেছে নেয় আপনি এভাবে কাজ করছেন কেন? চাচার সহজ উত্তর- ভিক্ষা করলে বিবেকে বাধে তাই ভিক্ষা করি না।
পাঁচ বছরের এক ছেলের জনক এস এস সি পাশ এই চাচা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বেশ ভালই আছেন। সারা দিনে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে যায় তাদের সংসার।
একজন হতদরিদ্র অন্ধ ব্যক্তি বিবেকের তাড়নায় ভিক্ষা না করে বরং খেটে খাচ্ছেন এটা যে আমাদের মতো একজন মানুষের জন্য কতবড় প্রেরণাদায়ক তা কি একবারও ভেবে দেখেছি। অর্থের জন্য কি না করি আমরা! হাতপাতা থেকে শুরু করে পুকুর চুরি পর্যন্ত আমরা করে যাচ্ছি কিন্তু ঐ অন্ধ ব্যক্তিটার মতো করে কি শান্তি আর স্বস্তিতে বাস করতে পারছি।
আমারতো মনে হয় ওনি রাতে যত ভাল করে ঘুমান আমাদের কোটিপতিরাও তেমন করে ঘুমাতে পারেন না, অন্য বিষয়ে আর নাই বা বললাম।
একবার ট্রেনে যাওয়ার সময় দেখি এরকম আরেকজন অন্ধ ব্যক্তি কাশের বড়ি, চকলেট বিক্রি করছেন। তিনি জোরে জোরে বলছেন- ......আপনারা আমার চকলেট কিনবেন, টাকায় যদি চারটা নেন তাহলে লাভ কম হবে আর তিনটা নিলে লাভ বেশি হবে। সেই কথাটা এখনও আমার কানে বাজে।
আল্লাহর রাসূলের (সাঃ) শিক্ষা হলো ভিক্ষা না করে কাজ করে খাওয়া আর এই ব্যক্তিরা সেই কথার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করছেন যার কারনে তারাও ভালভাবে জীবন-যাপন করতে পারছেন।
আসুন আমরা আমাদের সাধ্যমতো এসকল প্রতিবন্ধীদেরকে সাহায্য করার চেষ্ট করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।