আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতিবেশী দেশটিতে শিশুর সম্ভ্রমহরণের ঘটনা বেড়েছে ৩৩৬ শতাংশ। অশ্লীল সিনেমা, মুভি, ফিল্ম ইত্যাদির প্রচলন ও লালন এ অবক্ষয়ের মূল কারণ। একথা বুঝতে পারলেই মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়া ধর্ষক মনোবৃত্তির পশুবৎ নাগরিক থেকে ভারত রেহাই পাবে।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে বলেছে, ‘শুধু নয়াদিল্লি নয়, সম্ভ্রমহরণের ঘটনা ঘটছে দেশজুড়ে। ’ গত ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে এ বিবৃতি দেয় সুশীল কুমার সিন্ধে।

পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে সম্ভ্রমহরণের প্রতিবাদে পুরো ভারত যখন নড়েচড়ে বসেছে তখন সম্ভ্রমহরণ কা- সম্পর্কে এমন বিবৃতি তুলে ধরলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিন্ধে। বর্তমানে নয়াদিল্লির আকাশে ভাসছে ক্ষোভের কালো মেঘ, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ফুঁসে উঠছে ভারতের রাজপথ। বহুল আলোচিত জ্যোতি সম্ভ্রমহরণের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা এ জনরোষ এবার পাঁচ বছরে শিশুকন্যা ‘গুয়েদা’ সম্ভ্রমহরণের জেরে ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে ইন্ডিয়া গেটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে সরকার। তবুও দমছে না, বরং তা যেন ক্ষোভের উনুনে উস্কানির ঘি ঢেলে দিচ্ছে।

বিবিসি জানায়, গত ১৫ এপ্রিল দিল্লির গান্ধার নগরে শিশুটিকে অপহরণ করে তারই এক প্রতিবেশী। দুদিন আটকে রেখে চালায় নির্যাতন। সন্ধ্যার দিকে ওই বাড়ির নিচতলা থেকে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে উদ্ধার করে। এদিকে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে সম্ভ্রমহরণের খবরে যখন প্রতিবাদ বিক্ষোভ ফুঁসে উঠছে ঠিক তখনই একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে ভারতে শিশু সম্ভ্রমহরণের ঘটনা বেড়েছে শতকরা ৩৩৬ ভাগ। জাতীয় অপরাধ রেকর্ডবিষয়ক ব্যুরোর উদ্ধৃতি দিয়ে এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারতে ৪৮৩৩৮টি শিশু সম্ভ্রমহরণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

২০১১ সালে এ সংখ্যা বেড়েছে ৭১১২টি। মধ্য প্রদেশ রয়েছে শিশু সম্ভ্রমহরণের তালিকার শীর্ষে। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে শিশু সম্ভ্রমহরণ হয়েছে ৬৮৬৮টি। উত্তর প্রদেশ রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে।

সেখানে ধর্ষিত হয়েছে ৫৯৪৯টি শিশু। এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (এসিএইচআর) পরিচালক সুহাস চাকমা বলেছে, বিপুল সংখ্যক শিশু ধর্ষিত হচ্ছে ভারতে। তার মধ্যে এগুলো একটি ক্ষুদ্রসংখ্যা। কারণ ধর্ষিত সবাই এ বিষয়ে মামলা করে না। ‘ইন্ডিয়াস হেল হোলস : চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট ইন জুভেনাইন জাস্টিস হোমস’- এ বলা হয়েছে, ভারতে শিশুদের উপর সম্ভ্রমহরণের হয়রানি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

সরকার পরিচালিত কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে শিশুর উপর সম্ভ্রমহরণের হয়রানির ঘটনা ঘটেছে ৭৩৩টি। জানা গেছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি নয়াদিল্লিতে পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুর সম্ভ্রমহরণের ঘটনায় মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করতে জরুরি ভিত্তিতে আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছে। সে সম্ভ্রমহরণের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বিচারের সম্মুখীন করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানায়। প্রণব মুখার্জি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমি নয়াদিল্লিতে একটি পাঁচ বছরের শিশুকন্যার উপর নির্যাতন ও সম্ভ্রমহরণের ঘটনায় মর্মাহত ও গভীর উদ্বিগ্ন হয়েছি।

’ রাষ্ট্রপতি বলেছে, একটি সমাজ হিসেবে মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিতে উপর্যুপরি ব্যর্থতার ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। সে বলেছে, আমাদের অবশ্যই এ ধরনের অপরাধ প্রণবতার কারণ চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। প্রসঙ্গত আমরা প্রতিবেশী দেশটিকে সৎ পরামর্শ দিতে চাই। আগেই বলা হয়েছে প্রতিবেশী দেশটিতে শিশু সম্ভ্রমহরণের যে সমীক্ষা দেয়া হয়েছে তা সত্যের নিরীখে সিন্ধুর তুলনায় বিন্দুমাত্র। অর্থাৎ প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের মধ্যে সম্ভ্রমহরণের পশুপ্রবৃত্তি বিরাজ করছে মহামারি আকারে।

আইন করে এ মহামারি বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ গত ডিসেম্বরে চলন্ত বাসের মধ্যে যুবতীকে গণসম্ভ্রমহরণের ঘটনায় দিল্লি উত্তাল হওয়ার পরপরই পত্র-পত্রিকায় একই হেডিং হয়েছে আরো বহু। উদাহরণত ২১ ডিসেম্বর ২০১২ ‘দিল্লি কায়দায় আরেক গণসম্ভ্রমহরণ’, ৩ জানুয়ারি ২০১৩ ‘দিল্লিতে ৬ বছরের শিশু ধর্ষিত’, ৯ জানুয়ারি ২০১৩ ‘দিল্লিতে ফের গণসম্ভ্রমহরণ ধর্ষিতার অর্ধনগ্ন লাশ!’, ১৪ জানুয়ারি ২০১৩ ‘ভারতে আরেক গণসম্ভ্রমহরণ’, ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ ‘দিল্লিতে আরও সম্ভ্রমহরণ’ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ ‘পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতও সম্ভ্রমহরণ করে খুন’ ০৪ জানুয়ারি ২০১৩ ‘ধর্ষক কংগ্রেস নেতা নারীদের হাতে প্রহৃত’। (সূত্র : বিভিন্ন ভারতীয় পত্র-পত্রিকা) এদিকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠের আইন প্রয়োগের কথা বলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর দিল্লিতে সম্ভ্রমহরণের অভিযোগ হয়েছে ৬৩৫টি।

কিন্তু বিচার হয়েছে মাত্র একজনের। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আইন করে গণসম্ভ্রমহরণের ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব নয়। এদিকে দিল্লিতে যাতে আর কোনো গণসম্ভ্রমহরণের ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ কমিশনার বাসে পর্দা বা রঙিন গ্লাস নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু তারপরেও সম্ভ্রমহরণ বা গণসম্ভ্রমহরণের ঘটনা থেমে থাকেনি। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেসনেত্রী এবং পুলিশ কমিশনার কারো বক্তব্য বা মন্তব্যই আসল সমাধানে যেতে পারছে না।

মূলত আসল সমাধান রয়েছে- সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে বর্ণিত পর্দা প্রথায়। বলার অপেক্ষা রাখেনা ভারত একটি দেহ-বাণিজ্য নির্ভর রাষ্ট্র। ভারতে যে অসংখ্য ও অবর্ণনীয় অশ্লীল সিনেমা, মুভি, ফিল্ম ইত্যাদি তৈরি হয় তাতে করে ভারতীয় নাগরিকরা মন ও মননে প্রায় প্রত্যেকেই এক একটা বড় ধর্ষকে পরিণত হবে- এটাই পবিত্র দ্বীন ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মত। বরং ভারতের এ অশ্লীল সিনেমাগুলো বাংলাদেশ সহ মধ্যপ্রাচ্যেও ছড়িয়ে পড়ার কারণে খোদ মুসলিম দেশগুলোতেও এখন নাগরিকদের মধ্যে চারিত্রিক স্খলন মানসিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ভারতের পর বাংলাদেশেও চলন্ত বাসে নারীর উপর নির্যাতন হয়েছে।

তবে পরের জন্য কুয়া খুঁড়লে যে নিজেকেই আগে কুয়ায় পড়তে হয় সে কথা ভারতকে মনে রাখতে হবে এবং ভারতে আজকে অকল্পনীয় হারে শিশু সম্ভ্রমহরণের শিক্ষা থেকে তাদের শিক্ষা নিতে হবে। ভারত যদি অশ্লীলতা রোধ না করে অশ্লীল বাণিজ্য বন্ধ না করে তবে অশ্লীলতার বিষপাষ্পে তারাই আগে ধ্বংস হবে। এটাই ছহীহ কথা। মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা মুবারক থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।