আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভীতু একটি দলের নাম বিএনপি

আমি নতুন কিছু পড়তে ভালবাসি ছোট বেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম। গল্পটা এমন- দুই ছেলের মধ্যে ঝগড়া বেধেছে, এক পর্যায়ে সেই ঝগড়া মারামারিতে রুপ নিল। এক ছেলে অন্য ছেলেকে দিল কষে এক থাপ্পর, সেই থাপ্পর খেয়ে ছেলেটি বলল আর একটা থাপ্পর দেতো দেখিস আমি কি করি, অন্য ছেলেটি এবারও দিল কষে আর এক থাপ্পর আবারও সেই ছেলেটি কেঁদে কেঁদে বললো আর একবার মারতো, এবারও অন্য ছেলেটি মারলো আর এক থাপ্পর। তারপর থাপ্পর খাওয়া ছেলেটি কেঁদে কেঁদে বললো আমাদের বাড়ির সামন দিয়ে যাস তোকে কুকুর ধরিয়ে দিব। পাঠক নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন যে আমি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির কথাই বলছি।

নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপিকে চাপের মধ্যে রেখেছে মতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার। এক এক করে বিএনপি সব কিছুই হারাতে বসেছে কিন্তু এতেও তাদের ঘুম ভাঙছে না। দীর্ঘদিনের স্মৃতি বিজোরিত বেগম জিয়ার বাড়ি থেকে তাঁকে উৎখাত করলো, কেঁদে কেঁদে সেই কথা সারা বিশ্ববাসীকে জানালেন বেগম জিয়া এতেও বিএনপির ঘুম ভাঙলো না। অথচ বিএনপির কর্মীরা খালেদা জিয়াকে মা বলে সম্মান করে। মাকে বিতাড়িত করলেও যাদের শরীর গরম হয়না তাদের আবার কিসে শরীর গরম হবে বোঝা মুশকিল।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কি কান্ডটাই না ঘটাল এই সরকার। জিয়াউর রহমান হলেন পাকিস্তানের চর, তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন, কবরে তার লাশ নাই আছে একটা বাক্স, জিয়া উদ্যানের ফলক রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ফেলে সেখানে আরেক নাম ফলক সহ আরও কত কথা। না এতেও বিএনপির চোখ খুললো না, তারা ঘুমের মধ্যেই রয়ে গেল। হয়তো তারা মনে করেছে মরা মানুষের বিষয় নিয়ে এত আন্দোলন-সংগ্রাম করে লাভ কি যেখানে জীবিত মানুষকে নিয়েই পারা যাচ্ছে না! তারেক রহমান আর আরাফাত রহমান কোকোকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে জর্জরিত করে ফেলেছে এতেও তাদের কোন তি নাই, অথচ সেই নেতা কর্মীদের মুখের শ্লোগান হলো -তারেক রহমান বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে! আমি নিশ্চিত যে আজকে তারেক রহমান বাংলাদেশে আসলে আওয়ামীলীগ সরকার তাকেও গ্রেফতার করে জেলে পুরবে আর ঐ নেতা-কর্মীরা শুধু শ্লোগান দিয়েই যাবে কিন্তু তারেক রহমানকে রক্ষার ক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবে না। বরং অবস্থা এমন হতে পারে যে দু-একজন পুলিশও যদি তাদের তাড়া করে তাহলে সেই নেতা-কর্মীরা নিজেদের জান নিয়ে পালাতে দিশা পাবে না।

একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল- এক ব্যক্তি পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাচ্ছে, এমন সময় অন্য এক ব্যক্তি তাকে বললো ভাই পুলিশ দেখে পালাচ্ছেন কেন তখন পলায়নরত ব্যক্তি দৌড়াতে দৌড়াতে বললো, পালাবো না তো কি ভয় করবো। মূল কথায় ফিরে আসি। এরপর নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে নানা ছুতায় গ্রেফতার করে জেলে পুরে রাখলো এতেও বিএনপির কোন বোধদয় হলো না। তারপরে কথিত যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক করলো বিএনপির সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এতেও বিএনপি নিশ্চুপ। এর পরে পরেই সেই তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার করলো বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলিমকে এতেও বিএনপির কোন যায় আসে না।

অথচ বিএনপি এটা খুব ভালভাবেই জানে যে কথিত যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক নেতৃবৃন্দ নির্দোষ। সার্বিক অবস্থা দেখে আমারতো মনে হয় এসব নেতৃবৃন্দের ফাঁসি হয়ে গেলেও বিএনপি নিশ্চুপই থাকবে! এরপর ঘটলো আরেক দুঃখজনক ঘটনা, যেই ঘটনায় পুরো জাতি লজ্জিত কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দকে লজ্জিত হতে দেখলাম না। সেটা হলো বিএনপির চিপ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুককে পুলিশ বেধরক লাঠিপেটা করলো অথচ বিএনপি এই অবস্থাতেও কিছু মানববন্ধন আর গোল টেবিল বৈঠক ছাড়া তেমন কোন প্রতিবাদই করতে পারলো না বা করলো না। দলের এতবড় একজন নেতাকে এমন হেনস্থা করার পরেও যদি তাদের রক্ত গরম না হয় তাহলে কিসে তাদের রক্ত গরম হবে জানিনা। মজার বিষয় হলো যেই পুলিশ অফিসার এই ঘটনা ঘটিয়েছে পরে পরেই তার প্রমোশন হয়ে গেছে, অন্যদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ফারুকের উপর পুলিশ নির্যাতন হয়েছে এমন কোন প্রমান পুলিশ পায় নি! হায়রে বিবেক! এসকল ঘটনায় যখন বিএনপির কোন চেতনা হচ্ছিল না তখন শুরু হলো গুমের সংস্কৃতি-রাজনীতি।

সরকার প্রথমে পরীক্ষামূলক গুম করলো বিএনপির ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমকে। দেখা গেল তাকে গুম করার ফলে সরকারের উপর তেমন কোন চাপ আসে নি, যেহেতু সেই অনটেস্টেই সরকার ভাল ফলাফল পেল তখন আর বসে থেকে লাভ কি। শুরু হলো গুমের বন্যা। একে একে অনেকই গুম হলো। গুম হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্র ওয়ালীউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস।

গুম হলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী। এত এত গুম হওয়ার পরেও বিএনপি তেমন কোন কর্মসূচী দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, একজন নেতা গুম হয়েছেতো কি হয়েছে আরও অনেক নেতাইতো আছে তাদেরকে দিয়েই চলা যাবে বাড়তি আন্দোলন করে কষ্ট করার কি দরকার। সরকার যখন দেখছে যে একজনকে গ্রেফতার করলে কোন সমস্যাই হচ্ছে না তখন আরেক জনকে ধরছে, সেই ধারাবাহিকতায় গাড়ি পোড়ানোর ছুতা তুলে গ্রেফতার করলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচীব সহ আঠার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দদেরকে। একটা বিষয় চিন্তা করতে খুব কষ্ট হয়, বিএনপির মত এত বড় একটা দলের মহাসচীবের নামে ফালতু একটা মামলা হলো আর তিনি চলে গেলেন আত্মগোপনে এটা কেমন কথা! শেষে যা হবার তাই হলো- সবাইকে জেলে যেতেই হলো মাঝ থেকে বড় ধরনের একটা বদ নাম কামাই করে নিলেন আরকি।

মজার বিষয় হলো এত বাঘা বাঘা নেতাকে জেলে দেওয়ার পরেও তেমন কোন আন্দোলন হয়নি! বাংলাদেশে এই প্রথম এত নেতা একসাথে জেলে গেলেন অথচ কঠিন কোন আন্দোলন গড়ে উঠলো না। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগকে সফলই বলা যায়। এখন মনে হচ্ছে এভাবে কখন যে বেগম জিয়া পর্যন্ত চলে যায় বলা মুশকিল। যেহেতু আওয়ামীলীগের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারছে না বা দাঁড়াচ্ছে না অতএব তারাতো বড় কাজটা করার চেষ্টা করবেই। একটা গল্প মনে পড়ে গেল- একজন মুসলমান, একজন খৃষ্টান আর একজন হিন্দু তিন বন্ধু মিলে আখ খাওয়ার জন্য বের হলো, তাদের অনেক দিনের শখ যে মজা করে আখ খাবে।

যথারিতি তারা তিনজন একজনের খেতে গিয়ে ঢুকলো আখ খাওয়ার জন্য। তিনজনেই খাওয়া শুরু করলো। এক পর্যায়ে খেতের মালিক টের পেয়ে তাদের সামনে এসে হাজির। মালিক কিছুটা চালাকির পরিচয় নিল, তার উদ্দেশ্য যে করেই হোক তিনজনকেই শায়েস্তা করতে হবে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ শুরু হলো।

প্রথমে মুসলমান ও খৃষ্টানকে উদ্দেশ্য করে বললো যে, মুসলমানতো আমার জাতি ভাই আর খৃষ্টানতো আমার জাতির কাছাকাছি ভাই আপনারা যত ইচ্ছা আখ খাবেন তাতে কোন সমস্যা নাই কিন্তু বলেনতো এই হিন্দু ব্যাটা কেন মুসলমানের খেতের আখ খাবে এই কথা বলে সেই হিন্দুকে ধরে দিল ইচ্ছামত মার, মার খেয়ে হিন্দু বেচারা কেঁদে কেঁদে চলে গেল। এরপরে মালিক মুসলমান ব্যক্তিকে বললো আপনি আমার জাতি ভাই, যত ইচ্ছা আখ খাবেন তাতে তো কোন সমস্যাই নাই বরং ইচ্ছা করলে বাড়িতেও কিছু নিয়ে যাবেন কিন্তু বলেনতো এই খৃষ্টান ব্যাটা মুসলমানের খেতের আখ খায় কোন সাহসে। মুসলমান ব্যক্তি মনে করলো কথাতো ঠিকই খৃষ্টান ব্যাটা মুসলমানের খেতের আখ খাবে কেন, এতবড় স্পর্ধা, এরপর দুজন মিলেই খৃষ্টানকে দিল চরম একটা মার, মার খেয়ে সেই ব্যাচারাও কেঁদে কেঁদে চলে গেল। এবার খেতের মালিক মুসলমানকে বললো, তুই ব্যাটা মুসলমান হয়ে চুরি করে আখ খেতে গেলি কেন, তুই জানিসনা চুরি করা মহাপাপ এই বলে সেই মুসলমানকেও ভালভাবে মেরে বিদায় করে দিল। গল্পটা বলার কারণ হলো- বর্তমান সরকার যখন জামায়াতে ইসলামীর উপর অত্যাচার শুরু করলো তখন কেউই এগিয়ে আসলো না এই কারনে তারা চরমভাবে অত্যাচারিত হতে থাকলো।

সরকার যখন দেখলো যে এই ঘটনায় কেউই এগিয়ে আসছে না তখন একে একে অন্যদেরকেও পাকড়াও করলো। শেষে এসে তাদের বিষাক্ত নখর প্রসারিত করলো বিএনপির উপর। তার আগ পর্যন্ত বিএনপি সম্ভবত মনেই করেনি যে সরকার তাদের উপরও হামলা চালাতে পারে। কিন্তু যখন বুঝতে পারলো তখনতো সময় প্রায় শেষ। বিএনপি তখন অক্টোপাশের ভিতরে বন্দি।

তারা যেহেতু কারো সাহায্যেই ভালভাবে এগিয়ে আসে নাই এখন তাদের সাহায্যে কে এগিয়ে যাবে কে জানে। তাদের আন্দোলনের অন্যতম সহযোগি জামায়াত, কিন্তু তারাওতো আজকে কঠিন অবস্থার মধ্যে অবস্থান করছে, এরপরও সবাই একতাবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুললে এখনও সবার বাঁচার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বিএনপির কোন কোন নেতার জামার ভাঁজ পর্যন্ত ভাংতে নারাজ। যারা জামার ভাঁজ ভাংতে চান না তারা আবার মাঠে নেমে আন্দোলন করবে কিভাবে, তাদেরকে নিয়ে আন্দোলন করার চিন্তা করা আর আন্দোলন না করা একই কথা। বিএনপির উপর সর্বশেষ আক্রোমন হলো গত ৪ অক্টোবর তাদের অফিসের সামনেই।

বিএনপির সমাবেশ শুরু হলো তাদের অফিসের সামনে আর একটি গাড়ি পোড়ানো হলো আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে। সকলেই জানেন যে বিএনপি অফিস থেকে আনন্দ ভনের দূরত্ব খুব কম নয় আর সেই ভবনের সামনে নিয়মিতই পুলিশের অবস্থান, অথচ কিভাবে একটা গাড়িতে আগুন দেওয়া হলো সেটা পুলিশ যানে না! সেই অযুহাতে পুলিশ বিএনপির সভা পন্ড করে দিল, গ্রেফতার করলো অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। এটাতো খুবই স্পষ্ট যে পুলিশ, লীগ বা অন্য কেউ সেই গাড়িতে আগুন দিয়ে সেটা বিএনপির উপরই চাপাতে চাইছে। গাড়ি পোড়ানোর অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ বিএনপির অফিস অবরুদ্ধ করে রাখলো। অফিস থেকে বের হওয়ার পরে গ্রেফতার করলো যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে।

মিডিয়ার কল্যাণে আমরা দেখেছি যে সেই নেতাকে কিভাবে টেনে-হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে এভাবে হেনস্থা করে গ্রেফতার করা হবে এটা অকল্পনীয় ব্যাপার। অথচ বর্তমানে সেটাই আমাদেরকে দেখতে হলো। মজার বিষয় হলো এমন একজন নেতাকে গ্রেফতার করা হলো অথচ তেমন কোন প্রতিবাদ করা হলো না। আমার মনে হয় যুবদল সিদ্ধান্ত নিলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই আলালকে মুক্ত করা কোন ব্যাপার ছিল না।

কিন্তু কেউই জেলে যেতে প্রস্তুত না থাকার কারনে একটা বড় আন্দোলন করার সিদ্ধান্তও নিতে পারলো না! একটা কর্মসূচী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচীব ঘোষনা করলেন বটে কিন্তু সেটা হলো বিােভ মিছিল, তবে ওটাও গ্রেফতার হওয়ার পাঁচদিন পরে! তার মানে সাথে সাথে মাঠে নামলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করবে অতএব যতবড় তিই হোক না কেন গ্রেফতার হওয়া যাবে না। পুলিশ যখন মোটামুটি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন লুকোচুরি করে একটা বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে দায় সারবেন আর কি। এদিকে ছাত্রদলের সভাপতিকেও গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ মরিয়া। যে কোন সময়ে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। পুলিশের ভয়ে তিনি বিএনপির কার্যালয়ে আত্মগোপন করে আছেন! এবার একটু চিন্তা করে দেখুন- ছাত্রদল সভাপতি যদি গ্রেফতার হয়, যুবদলের সভাপতি গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে পর্যন্ত চলে গেছেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবও যে কোন সময়ে গ্রেফতার হতে পরেন এরপর থাকবে বেগম জিয়া, যেহেতু মাঠ খালি সেহেতু তাকেও যে গ্রেফতার করা হবে না তা কি বলার অপো রাখে।

গ্রেফতার হওয়ার ভয় করে কি দল চালানো যায়, বিশেষ করে বিএনপির মতো এত বড় একটি দল। এত ভয় কেন, ভিতু হয়ে থাকাতো কোন রাজনৈতিক নেতার চরিত্র হতে পারে না। এখনও যদি এই বিষয়গুলো বিএনপির বুঝে না আসে তাহলে কখন বুঝবে? আওয়ামীলীগতো সিদ্ধান্ত নিয়েই আছে যে তারা ২০২১সাল পর্যন্ত মতায় থাকবে অতএব তারা যে করেই হোক মতায় থাকার চেষ্টা করবেই। প্রয়োজনে তারা নিজেদের নেতা-কর্মীকে খুন-গুম করে ইস্যু তৈরীর মাধ্যমে তা বিরোধীদের উপর চাপিয়ে দিয়ে গ্রেফতারের নাম করে চিরুনী অভিযান চালাবে, এই সহজ বিষয়টা বিএনপির বোঝা উচিত। মনে হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন আঠারো দলীয় জোট আন্দোলন করার যত ইস্যু পেয়েছে তার অর্ধেকও যদি আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে পেত তাহলে অনেক আগেই সরকারের পতন হতো।

আঠারো দলীয় জোটের এখনই সময় সকল ভীরুতা দূরে ঠেলে দিয়ে একতা বদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবি করে তোলা। যদি এই কাজ করতে তারা ব্যার্থ হন তাহলে আগামী দিনে দেশের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতে পারে! বিএনপির মনে রাখা দরকার জামায়াত সহ অন্যান্য দলগুলো আরও অনেকদিন বিরোধী দলেই থাকবে এত তারাতারি মতায় যেতে পারবে না, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জুলুম নির্যাতনের মোকাবেলা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি যদি এবার আন্দোলনের ব্যাপারে ভয় পেয়ে আগামীতে মতায় যেতে ব্যর্থ হয় তাহলে আর কখনও মতায় আসতে পারবে কি না তাতে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়ে যায়। অতএব বিএনপির নিজের স্বার্থেই আন্দোলন জোরদার করা সময়ের অনিবার্য দাবী বলেই জনগন মনে করেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.