আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাপ্তি

পাপ কখনও পিছু ছাড়ে না আজ হোক কাল হোক সে মূল্য নিতে আসবেই । ফোন বাজছে , মধ্যরাত । আমি ভয়ে ভয়ে ফোন ধরলাম – গভীর রাত তো দুঃসংবাদই বেশী হবার কথা । তাছাড়া আমি রাতে মোবাইলে কথা বলতে পারি না । ঘুমের সমস্যা হয় ।

কল রিসিভ করলাম-ও পাশ থেকে সরাসরি জিজ্ঞাস করছে – স্বপন আমার মডেমটা কাজ করছে না ,কেন ? এই হলো আমার অবস্থা । রাত-দুপুর বা বিকাল নেই । ফোন এলেই আৎকে উঠি । এ যেন আমি কল সেন্টারের চাকুরী নিয়েছি । ফোনে ফোনে সব সল্যুশন দিতে হবে ! আরেকবারের ঘটনা ।

রাত দশটা বাজে – এক বন্ধু হেব্বি করে ধরল, তার পিসি নাকি চলে না । আমাকে যেতে হবে । আমি হাত দিয়ে ধরলেই নাকি ঠিক হয়ে যাবে । ঠিক আছে যাব কিন্তু কাল যে আমার একটা গুরুত্বপূর্ন এক্সাম আছে । অনেক করে বল্লাম যে কাল এক্সাম টা শেষ করে আসি ।

না আজই যেতে হবে । বলা বাহুল্য যে বন্ধুর বাসা থেকে আমার বাসা রিকশা যোগে ৪০ মিনিটের রাস্তা । কম্পিউটার অল্প বিস্তর জানি দেখে বন্ধু মহলে এই আমার কদর ! এক বাসায় পড়াতাম – তাদের বাসার কম্পিউটার নষ্ট হলে বাইরে থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে ঠিক করাত । কিন্তু আমাকে দিয়ে করালে কনাকড়ি ও দিত না , যেখানে ঐ কাজের মূল্য ছিল মিনিমাম ৬০০-১০০০ টাকা । শুক্রবার, ছুটির দিন ।

সকালে দরজা খুলে দেখি বন্ধু হাশিমুখে দাড়িয়ে আছে । বগলদাবা করে তার হার্ড ডিস্ক নিয়ে এসেছে । হার্ড ডিস্ক নাকি লোড করে দিতে হবে । কম্পিউটারে কাজ করার পাশাপাশি আমি আবার HD গান নামাই ( এটার প্রতি অনেকেরই লোভ আছে আমি জানি ! ) আমাকে পুরো সকাল টা ব্যায় করে তাকে লোড দিতে হবে । আমার নামানো গান আবার আমার বন্ধুর পত্নীর নাকি খুবই প্রিয় ! ছুটির দিন মানেই আরামের দিন ।

কিন্তু আমাকে এই দিনে বাসায় যেয়ে যেয়ে কম্পিউটার সারতে হবে । অথচ চার্জ তো দূরের কথা আমার রিকশা ভাড়াটা পর্যন্ত কেউ দিবে না । অফিস করছি । পিসিখুলে বসে আছি । সমস্যা ধরতে পারছি না ।

এ দিগ দিয়ে আরো কয়েকটা অফিসে যেতে হবে । তাড়াতাড়ি কাজ শেষ না করলেই না । দেখলাম বাবা ফোন দিচ্ছে । আমলে দিলাম না । একবার রিং হবার পর আর ফোন বাজছে না ।

আমি স্বস্থিতে কাজ করছি । কিছুক্ষন পর আরেকটা নাম্বার থেকে ফোন । ধরলাম না । একের পর এক কল দিয়েই যাচ্ছে । ভাবলাম সিরিয়াস কল , ধরলাম ।

ভাবলাম ঐপাশ থেকে কেউ বলবে স্বপন ও নেগেটিভ রক্ত লাগবে । তোর টা ও নেগেটিভ না ? যে অবস্থায় আছিস চলে আয় । তোর ভাবীর রক্ত রাগবে । বাস্তবে তা হলো না –ওপাশ থেকে বলে স্বপন একটা র‌্যাম কিনতে আইছিলাম-কোনটা কিনুম টুইনমোস না ট্রান্সসেন্ড ? এ হলো আমার অবস্থা । এমন ও হয়েছে যে ছুটি কাটাটে গেছি সমুদ্র দেখতে সেখানেও বন্ধুর অফিসের কম্পিউটার সারতে হয়েছে ।

ফেসবুকে প্রতি তিন দিনে একটা না একটা আননোন পারসন মেসেজ দিবেই , তাকে হ্যাকিং শিখানোর জন্য । সে নাকি এটা শিখে কখনও কাউকে ক্ষতি করবে না । প্রথম প্রথম রিপ্লে করলেও এখন আর করি না । যাই হোক- এটা ভেবে আমি ভালো বোধ করি যে কেউ আমার উপরে ভরসা করতে পারে । আমি কারও সলুশনের কারন ।

কিন্তু আমি সমস্যায় পড়লে কাউকে খুজে পাই না । হেলাল মামাই ভরসা । সে ফেল মারলে আমি হতাশ বোধ করি । আবার অনেকে আছে জানে খুব কিন্তু বলে না । আমি আপনাদের ভালোবাসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছি কারন আমি তাদের মত না ।

যা জানি তা ছড়িয়ে দিতে চাই । অ্যাডমিন , ডিজিটাল টীম লিমিটেড  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।