আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরোধীদল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে লবিং চালাচ্ছে

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। বিরোধীদল মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী, মানবতাবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশে-বিদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রচারণা ও লবিং চালাচ্ছে। একই সঙ্গে বিরোধীদল তাদের পক্ষে এ ব্যাপারে জনমত তৈরি করছে। বলা হচ্ছে, অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাচ্ছেন না। এটি সঠিক নয় বলেও জানান আইন, বিচার ও সংসদমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।

গতকাল শিল্পকলা একাডেমীতে কমান্ডার সেক্টরস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১'র নবগঠিত নারী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এবং কমান্ডার সেক্টরস ফোরামের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীরউত্তমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী ডা. শিরিন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন লে. কর্নেল ওসমান চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার্সের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হারুন হাবীব। ১৪ সদস্য বিশিষ্ট নবগঠিত নারী কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সভাপতি জাকিয়া কে হাসান, সাধারণ সম্পাদক বুলবুল মহলানবিশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ।

শফিক আহমেদ বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইনের সঙ্গে আমাদের দেশের এ আইনের পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইনটি শেু্রষ্ঠ। বাংলাদেশে এই বিচারকাজ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হচ্ছে এবং সফলতার সঙ্গেই শেষ হবে। এক বিদেশি আইনজীবী আমাকে বলেছেন- এভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন হলে বিশ্বে এটি মডেল হবে। পৃথিবীর কোথাও এ আইনে বিচারাধীন ব্যক্তির আপিলের সুযোগ নেই।

আমাদের দেশে সে সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনই প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করেননি। এজন্য ১৯৭৩ সালেই যুদ্ধাপরাধের বিচারে আইন তৈরি করা হয়েছিল এবং ওই সময়ই শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এটি বাধাগ্রস্ত হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সর্বসম্মতিক্রমে এই বিচারের প্রস্তাব পাস করে।

একটি বিচার কাজ পরিচালনার জন্য যা যা করণীয় তার সবটুকু রয়েছে এ আইনে। একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি ইচ্ছামতো আইনজ্ঞ নিয়োগ করতে পারেন বলে জানান আইনমন্ত্রী। এ কে খন্দকার বীর-উত্তম বলেন, আগামী ১৪ মাসের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি নিষ্পত্তি করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আপিলের সুযোগ না পায় সরকারকে সে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের আশা আকাঙ্ক্ষাকে বান্তবায়ন করতে নবগঠিত নারী কমিটিকে সঙ্গে করে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

আয়োজকরা জানান, এই কমিটির মূল লক্ষ্য হলো- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে ব্যাপারে তৎপর থাকা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.