রোববার সকাল থেকে ঢাকা অবরোধের পর দুপুরে বিভিন্ন স্থান থেকে মতিঝিলের দিকে মিছিল নিয়ে রওনা হয় হেফাজতকর্মীরা।
পৌনে ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিয়ে একটি মিছিল যাওয়ার সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এরপরই সংঘর্ষ বেঁধে যায়, যাতে পল্টন পর্যন্ত এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনে হামলা চালায় হেফাজতের একদল কর্মী, ওই ভবনের ওপরেই সিপিবির কার্যালয়।
হেফাজতকর্মীরা ফুটপাতের দোকানগুলোতে আগুন দেয়ার পর মুক্তি ভবনের ভেতরে ঢুকে নিচ তলার সব দোকান ভাংচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
তারা ভবনের একটি ফটকও ভেঙে দিয়েছে।
তখন পুলিশের সঙ্গে হেফাজতের ওই কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীও কাজ করতে পারেনি। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর গাড়িতে থাকা মহসিন নামে এক কর্মী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে যাওয়াই যাচ্ছে না। ”
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হামলা এখনো চলছে। ”
হেফাজতে ইসলামকে একটি ‘অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শক্তি’ হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে যুক্ত এই দলের (সিপিবি) প্রতি এই স্বাধীনতাবিরোধীদের (হেফাজত) প্রতি আক্রোশ থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তাদের এই ফ্যাসিস্ট চরিত্র তারা আবার প্রকাশ করে দিল। ”
বিকাল ৬টায়ও পল্টনে সংঘর্ষ চলছিলো। পুরো সড়কে টুকরো-টুকরো ইট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, সড়কে জ্বলছে আগুন। থেমে থেকে হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।