আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুহাম্মদ (স) কে নিয়া বারা বারি নয় / নয় আর লাফা লাফি / আসেন উনাকে যথাযথ সম্মানে সম্মানিত করি ।

এখানে বিনামূল্যে বিশ্ব-বিখ্যাত মাইন্ড বৈজ্ঞানিক দ্বারা মাইন্ড রিলেটেড এনি প্রবলেম অতি যত্ন সহকারে সলভ করা হয় । মুহাম্মদ (স) কে নিয়ে প্রচুর বাড়াবাড়ি দেখা যায় । উনাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে উনাকেই অসম্মানিত করা হয় । কোরানের আলোকে মুহাম্মদ (স) এর ব্যপারে আমরা জানবো এবং তাকে যথাযথভাবে সম্মানিত করবো- **মুহাম্মদ (স) আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি এবং মুহাম্মদ (স) এর নূর থেকে সব কিছু সৃষ্টি । মুহাম্মদ (স)কে ভক্তি জানানো হলে তা আল্লাহকেই জানানো হবে ।

এটা মিথ্যা না সত্য ? উত্তর – সুরা কাহাফ ১৮:১১০ – সুরা গা’শিয়া৮৮:২১-২২ ১১০। (হে মুহাম্মদ) বলো , আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ , আমার ওপর প্রত্যাদেশ হয় যে আল্লাহই তোমাদের একমাত্র উপাস্য (আমি নই)। সুতরাং যে তার প্রতিপালকের সাক্ষাত কামনা করে সে যেন সতকর্ম করে ও তার প্রতিপালকের উপাসনায় কাউকেই (আমাকে) শরিক না করে । - ২১। অতএব তুমি উপদেশ দাও; তুমি তো শুধু একজন উপদেষ্টা ২২।

ওদের কর্মের নিয়ন্ত্রনকারী নও। **আল্লাহ , পৃথিবীকে মুহাম্মদ (স) এর জন্য সৃষ্টি করেছেন । এটা সত্য না মিথ্যা ? উত্তর- আমি জ্বিন ও ইনসান কে কেবল আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি (মুহাম্মদ (স)এর জন্য নয়) । - সুরা জারিয়াদ-৫৬ **মুহাম্মদ (স) কি তার উম্মতদের বেহেস্তে নিবেন ? হাসরের ময়দানে উম্মতের জন্যে সাফায়াত করলে , সেই সাফায়াত স্বিকৃত হবে কি আল্লাহ তায়ালার কাছে ? উত্তর- সুরা আহকাফ ৪৬:৯ - সুরা বাকারা ২:৪৮ – সুরা ইউনুস ১০:১০৬ ৯। (আল্লাহ, মুহাম্মদ (স) কে বলছেন- ) বলো , “আমি তো রসুলদের মধ্যে এমন নতুন কিছু নই ।

আর আমাকে আর তোমাদেরকে নিয়ে কী করা হবে আমি তা জানি না । আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় আমি তা-ই অনুসরন করি । আমি এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র । - ৪৮। তোমরা সেই দিন কে ভয় করো , যেদিন কেউ কারও কোনো কাজে আসবে না , কারও সুপারিশ স্বীকৃত হবে না বা কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরন গৃহীত হবে না , আর কেউ কোনো রকম সাহায্য পাবে না ।

- ১০৬। আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে (এমনকি নবীকেও না) ডাকবেনা , যা তোমার উপকারও করেনা , অপকারো করে না (কারন আল্লাহই একমাত্র সর্বশক্তিমান) , এ করলে তখন তুমি জালিমদের শামিল হবে । **মুহাম্মদ(স) কি রক্ষাকর্তা , অভিভাবক ? উত্তর- সুরা আনআম ৬:১০৭ ১০৭। আর যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তবে তারা শরিক করতো না । আর তাদের জন্য আমি তোমাকে রক্ষক নিযুক্ত করিনি , আর তুমি তাদের অভিভাবকও নও ।

**মুহাম্মদ(স)কি সারা দুনিয়ার জন্য সতর্ক কারী ? উত্তর- সুরা শুরা ৪২:৭ ৭। এইভাবে আমি তোমার কাছে আরবি ভাষায় কোরান অবতীর্ন করেছি , যাতে তুমি সতর্ক করতে পারো নগরমাতার (মক্কার) অধিবাসীদের কে ও তার আশ পাশে যারা বাস করে তাদের কে (আরবি ভাষা জানা মানুষকে) আর সতর্ক করতে পারো সমবেত হওয়ার দিন সম্পর্কে , যার ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই । সে দিন একদল জান্নাত আর আরেকদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে । [ওপরের আয়াত গুলো দ্বারা পরিষ্কার উনি সতর্ক কারী ছিলেন শুধুমাত্র মক্কা ও এর আশে পাশের এলাকা গুলোর জন্য । ] **মুহাম্মদ(স) কি সম্পুর্ন নিষ্পাপ নির্দোষ ছিলেন ? উত্তর- সুরা আ’রাফ ৭:১৮৮ - সুরা মুমিন ৪০:৫৫ - সুরা মুহাম্মদ ৪৭:১৯ ১৮৮।

(আল্লাহ, মুহাম্মদ (স) কে বলছেন- ) বলো , “আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আমার নিজের ভালো মন্দের ওপরও আমার কোনো অধিকার নেই । আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানতাম তবে তো আমার অনেক ভালো হতো আর মন্দ কোন কিছু আমাকে স্পর্শ করতো না । আমি তো বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য একজন সতর্ককারী ও সুসংবাদ দাতা মাত্র”। - ৫৫। অতএব তুমি ধৈর্য ধরো , আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য ।

তুমি তোমার পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ও সকাল-সন্ধ্যায় তোমার প্রতিপালকের পবিত্র মহিমা ঘোষনা করো । - ১৯। সুতরাং তুমি জেনে রাখো , আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই । তুমি তোমার (মুহাম্মদ(স)) এবং বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো । তোমরা দিনে কোথায় যাও ও রাত্রিতে কোথায় থাকো তা আল্লাহ ভালো করেই জানেন ।

** মুহাম্মদ(স) কি রসুল দের মধ্যে সেরা ছিলেন ? কোরান কি সর্বসেরা আসমানি কিতাব ? উত্তর- সুরা হা-মিম-সিজদা ৪১:৪৩ - সুরা মায়িদা ৫:৪৮ - সুরা নিসা ৪:১৩৬ - সুরা শুরা ৪২:১৩ –সুরা মায়িদা/৪৬ – সুরা ইউনুস/৯৪ ৪৩। তোমার সম্বন্ধে তা-ই বলা হয় যা বলা হতো তোমার পূর্ববর্তী রসুলদের সম্বন্ধে । তোমার প্রতিপালক নিশ্চয় ক্ষমাশীল , আবার কঠিন শাস্তি দাতাও । - ৪৮। আর এর পূর্বে কিতাবের সমর্থক (সমান অর্থের) ও সংরক্ষকরূপে আমি তোমার ওপর সত্যসহ কিতাব (কোরান) অবতীর্ন করেছি ।

- ১৩৬। হে বিশ্বাসীগন! তোমরা আল্লাহ , তার রসুল , তার রসুলের ওপর তিনি যে কিতাব অবতীর্ন করেছেন তাতে এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে অবতীর্ন করেছেন তাতে বিশ্বাস করো । আর আল্লাহ , তার ফেরেশ্তাদেরকে , তার কিতাব সমুহে , তার রসুলদেরকে এবং পরকালে অবিশ্বাস করবে সে ভীষনভাবে পথ ভ্রষ্ট হবে । - ১৩। আমি তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছি (সেই) ধর্ম যার নির্দেশ নুহ কে দিয়েছিলাম,- যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমাকে , - যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম , মুসা ও ঈসা কে এই বলে যে , “তোমরা ধর্ম কে প্রতিষ্ঠিত করো আর তার মধ্যে মতভেদ এনো না ।

তুমি অংশীবাদীদেরকে যার কাছে ডাকছো তাদের কাছে তা বড় কঠিন বলে মনে হয় । আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ধর্মের দিকে টানেন , আর যে তার দিকে মুখ ফেরায় তাকে তিনি ধর্মের পথে পরিচালিত করেন । - ৪৬। সতর্ককারীদের জন্য পথের নির্দেশ আর উপদেশ হিসেবে তাকে (ঈসাকে) ইঞ্জিল দিয়েছিলাম; তার মধ্যে ছিল পথের নির্দেশ ও আলো । - ৯৪।

আমি তোমার কাছে যা (কোরান) অবতীর্ন করেছি তাতে যদি সন্দেহ হয় তবে তোমার আগের কিতাব (ইঞ্জিল শরিফ সহ অন্যান্য আসমানি কিতাব) যারা পড়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো । **মুহাম্মদ(স) ইহকাল পরকালের বাদশা ? তার হাতে সব ক্ষমতা ? উত্তর- সুরা আনজাম/১৭-১৮ - সুরা জ্বিন/২১ - সুরা আল-ই-ইমরান ৩:১৪৪ – সুরা আললাইল/১৩ – আলহাদিস ১৭। আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্ট দেন তবে তিনি ছাড়া আর কেউ তা দূর করতে পারবে না । ১৮। আর তিনি যদি তোমার ভাল করেন তবে তিনিই তো সর্বশক্তিমান ।

আর তিনি পরাক্রমশালী নিজের দাসদের ওপর । আর তিনি তত্বজ্ঞানি ও সবজান্তা । - ২১। (হে মুহাম্মদ) বলুন, আমি তোমাদের ক্ষতি করার ও ভালো পথে আনার মালিক নই (একমাত্র মালিক আল্লাহ) । - ১৪৪।

মুহাম্মদ রসুল ছাড়া আর কিছুই নয় , তার পূর্বে বহু রসুল গত হয়েছে । সুতরাং সে যদি মারা যায় বা নিহত হয় তবে কি তোমরা পিঠ ফিরিয়ে পিছু হটবে ? আর যে পিঠ ফিরিয়ে সরে পরে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করতে পারবে না । আর আল্লাহ শীঘ্রই কৃতজ্ঞ দের কে পুরষ্কৃত করবেন । - ১৩। আর নিশ্চই আমি (আল্লাহ) অবশ্যই ইহকাল ও পরকালের মালিক ।

- মুহাম্মদ (স) বলেন , যখন তুমি প্রার্থনা করবে তখন আল্লাহর কাছে করবে (আমার কাছে নয়)। যখন সাহায্য চাবে তখন আল্লাহর কাছে চাবে (আমার কাছে নয় কারন আমি আল্লাহ নই। ) – আল হাদিস – তিরমিজি/হাসান সহি [সুপ্রিয় পাঠক , মুহাম্মদ(স) কে নিয়ে বারা বারি নয় । আসুন উনাকে যথাযথ সম্মানে সম্মানিত করি পবিত্র কোরানের আলোকে । ] সূত্র- “কোরানশরিফ সরল বঙ্গানুবাদ” অনুবাদে মুহাম্মদ হাবিবুর রহামান , প্রকাশনায় –মাওলা ব্রাদার্স , ঢাকা / ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।