শূন্য State of Grace (1990)
||
এটা একটা ব্ল্যাক ক্রাইম মুভি। পটভূমিতে হেল'স কিচেন এরিয়ার লো লাইফ, ক্রাইম, ছোট মাপের গ্যাংস্টার লাইফ, ক্ল্যাশ দেখানো হইছে। এটা কোন টুইস্ট মুভি না তবে গল্পের কিছু শুরু করলে সেটাও স্পয়লার হবে বলে আমার ধারণা। শুধু এটুকু বলি, টেরি [শ্যন পেন] ড্রাগ ডিলিংস ঘটিত একটা ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে নিজের পুরনো এলাকায় ফিরে আসে। সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু জ্যাকি [গ্যারি ওল্ডম্যান] এর সাথে মিট-আপ করে।
বাকিটা মুভি দেখে জানতে হবে।
ব্ল্যাক ক্রাইমের বেশ ভাল মিশ্রণ ইউজ করা হয়েছে এখানে। প্লট রুপায়নের ক্ষেত্রে এই লাইট অ্যারেঞ্জমেন্ট ভাল করেছে। লিডের আনএক্সপেক্টেড চরিত্র পরিবর্তন আছে। ক্রাইম কম বেশী ড্রামাটিক ওয়েতে এগিয়েছে মুভিটা।
গ্যাং টু গ্যাং ক্ল্যাশ নেই অভ্যন্তরীন ক্যাচাল আছে। তবে সেটাকে তেমন স্ট্যাইলিশ বলব না আমি। কাইন্ড অফ স্লো প্যাক সাসপেন্স ক্রাইম মনে হয়েছে। সুপার স্লো মনে হলেও দোষ দিতে পারব না কাউকে। এইসবের পাশাপাশি একটা মানুষের চিন্তা-চেতনার মুহুর্মুহু পরিবর্তন ইন্টারেস্টিং লাগছে।
কীভাবে সেটা ফাঁস করা যাবেনা। কয়েকটা পয়েন্টের ব্যাসিসে এটাকে neo-noir বলতে পারি। দ্বীমত থাকলে থাকতে পারে এটা নিয়ে।
ডার্ক নাইটের গর্ডন-কে মনে আছে? এই মানুষটার এইরকম ইয়াং, তেজী, একরোখা, খাপছাড়া, হালকা-পাতলা চিকনা অবয়ব দারুণ লাগছে। সবচেয়ে বেশী ভাল লাগছে ওকে।
চরিত্রটাকে কত দারুণ করে ফুটিয়ে তুলেছে না দেখলে ঠিকমতন বোঝানো মুশকিল। একেবারে গেথে গেছে মনের মধ্যে ওর পারফর্ম। কাইন্ড অফ ক্রেজি চরিত্রটাকে একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি মুগ্ধ অনেকদিন পরে এরকম একটা চরিত্র-বিন্যাস দেখে।
শ্যন এর পারফর্ম ও ভাল লাগছে তবে ওর চেয়ে বেশী ভাল লাগছে এড হ্যারিস কে।
অনেকদন পরে ওকে এমন চরিত্রে দেখলাম। অসাম লাগছে। রবিন রাইট কে নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। যেরকম কোল্ড চরিত্রে ওকে প্লে করতে হয়েছিল তাতে আসলে তেমন কিছু বলার মতন নেইও।
সবমিলিয়ে মুভিটা কেমন লেগেছে আমার কাছে? একটুখানি ফ্রেম থেকে বের হয়ে আসা, একটু আলাদা প্লট চিত্রায়ন, একটু আলাদা রকম করে ভাল-লাগা।
৭২০পি ব্লুরে ৭০০মেগা ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।