আমার চোখে ঠোঁটে গালে তুমি লেগে আছো!!!!! প্রতি বারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এইবারও এলাকায় ব্যাপক পটকা বাজি হয়েছে। এই সংবাদ টা স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক সংবাদ টা হচ্ছে যে,এইবারের পটকা বাজিতে আমি অংশ গ্রহন করি নাই।
কিন্তু কেন????পুরো ব্যাপারটা বলছি,
ঈদের আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই,একটার পর একটা পটকা ফুটছে। বিরতীহীন ভাবে ফুটছেই তো ফুটছেই।
থামা থামির কোন ব্যাপার নেই। বাসা থেকে আম্মু বারবার বলছে,একবার বাইরে গিয়ে দেখতে যে কে ফোটাচ্ছে তাদের থামাতে। পটকার শব্দ আমার নিজের কাছেও খারাপ লাগা সত্যেও আমি আম্মুর কথা পাত্তা দিচ্ছিলাম না। আম্মু যখন বারবার বলছিল,তখন আমি নানা কথা বলে কাটিয়ে যাচ্ছিলাম। বললাম,আমি গেলেই কি ফোটানো বন্ধ করবে????আর কতক্ষণই বা ফোটাবে??????!!!!!!আসলে আমি যাইনি অন্য কারণে।
বাইরে যারা পটকা ফোটাচ্ছিল তারা আমারি বন্ধু। যে সে বন্ধু নয়!!এক্কেবারে জিগারের দোস্ত সব!!!ওখানে যদি একবার আমি যাই তাহলে ফিরে আসা অসম্ভব। তাহলে একটু পরে দেখা যেতো যে আমি নিজেই ধাম ধাম পটকা ফোটাচ্ছি!!!! কিন্তু এইবার আমি তার কিছুই করি নাই!!
গতবার পটকা কারবারির পুরো গ্যাং টার নেতৃত্বে ছিলাম আমি। এলাকার যেসব মুরুব্বী আজাইরা আমাদের ওপর মেজাজ দেখাতো বা যেসব বন্ধু বান্ধবের সাথে নিকট অতীতে ঝগড়া হয়েছে তাদের জন্য এক্সট্রা খাতিরে বেশী পটকা বরাদ্দ রাখতাম। এসব গুলো কাজ আমার হাত থেকেই হয়েছে।
কিন্তু এইবার আমি তার কিছুই করি নাই!!
গতবার ঈদের দিন রাতে হঠাত পটকার ভীষণ শব্দে আমার বড়দাদার হার্ট এট্যাক আসে। সেবার বহুত ঝক্কি ঝামেলার পর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এইটাই টার্নিং পয়েন্ট। আসলে সেই ঘটনাই আমাকে এইবার পটকার কারবার থেকে বিরত রেখেছে।
এক ভয়ানক ঘটনা থেকে আমি এই শিক্ষা নিয়েছি।
কিন্তু আমি চাই না আমার আর কোনো বন্ধু এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিক। কিশোর বয়সে শৃংখলা থেকে উশৃংখলার সঙ্গ বেশী রোমাঞ্চকর। কিন্তু শুধু মাত্র কৈশোর কে উপভোগ্য করার জন্য এসব উশৃংখলার যুক্তি নিতান্ত অগ্রহন যোগ্য।
চলুন আমরা নিজের বদলাই ও অন্যকে বদলাতে সাহায্য করি। ।
----OvRo JaHin AbiR
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।