মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন...........। আমি কোন সাংবাদিক নই, শুধু মাত্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার দরুন বিষয়টি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ থেকে এই লেখা।
গত ১লা জুলাই ঢাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেজে উঠে এক অপরূপ সাজে। দুপুরের পর মল চত্বরে এক কনসার্টের আয়োজন করা হয়। চলে প্রায় ৬.৩০ পর্যন্ত।
বাপ্পার গান শেষে স্থান ত্যাগ করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ঢল নামে। এক আপুকে সিনেট ভবনের গেটের সামনে থেকে বিদায় করে এক বন্ধুকে নিয়ে রওনা হই বাণিজ্য অনুষদের দিকে। প্রায় ৩০-৩৫ গজ দূরে যেতেই হঠাত এক আওয়াজে পিলে চমকে যেয়ে পিছনে তাকাই। দেখি সিনেট ভবনের পিছনের মল চত্বর লাগোয়া গেটের ঠিক বাইরে ধোঁয়া আর ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটাছুটি। ভাগ্যিস, অনেক ছাত্র-ছাত্রী আগেই স্থান ত্যাগ করায় ভিড় অনেকটাই কমে গিয়েছিল, নাহলে পদপিষ্ট হয়ে যে কি হত খোদা মালুম।
সাথের বন্ধুটি ঘটনাস্থলের আরও কাছে যেতে চাইলে না করেও পড়ে আমি সহ সাহস নিয়ে সামনে গেলাম। কিছু ছাত্র ধাওয়া দিয়েও অবস্থা সৃষ্টিকারীকে ধরতে ব্যর্থ হয়।
গেলাম সামনে......... হতাহতের সংখ্যা ০। বেশ কিছু দূরে রেজিস্টার ভবনের সিনেট ভবনের পাসের গেটে দেখি জটলা। সামনে যেয়ে দেখি আমাদের স্রদ্ধেয় উপাচার্য স্যার বের হয়ে আসছেন।
আর তাকে দিকে তাক করা সাংবাদিকদের ডিএসএলআর। তিনি তখনও ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৬০-৭০ গজ দূরে দাঁড়ানো (!)।
ঘটনা স্বাভাবিক মনে করে দোস্তদের সাথে মজা-মাস্তি করে বাসায় ফিরে ১০ টার সংবাদ দেখতে বসলাম।
হায় সেলুকাস............ স্ক্রল বারে পরলাম "ঢাবির উপাচার্যকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ। ককটেল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
" খবর পড়ে পুরাই োদনা হয়ে গেলাম। সাথে যেই বন্ধুটি ছিল, খবর দেখে ফোন দিল আমাকে। তারও একি অবস্থা। ঘটনার স্বাভাবিকতা কতটা অস্বাভাবিক পর্যায়ে যেতে পারে, তা দেখে সেও বেকুব বনে গেল।
এই অবস্থাদৃষ্টিতে, গত ২ দিনের পত্রিকার কোন খবরেই আর আস্থা রাখতে পারছিনা।
সত্যিকারের নেপথ্যের ঘটনা উঠে আসুক আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে সেই কামনায় নিয়েই আমার এই পোস্ট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।