নিরপেক্ষ আমি
দেখতে গো-বেচারা টাইপের হলেও মাছটি অত্যন্ত বিষাক্ত। আমাদের সমুদ্রে এই মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। তবে মাঝে মধ্যে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এ মাছ সম্পর্কে জেলেদের কোনো ধারণা না থাকায় তারা নিজেরা এ মাছ খায় অথবা বাজারে বিক্রি করে। বিষাক্ত এ মাছ খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে অথবা মারা যায়।
আর তখন পত্রিকায় খবর বের হয় 'পটকা মাছ খেয়ে অমুক জায়গায় এতজন অসুস্থ কিংবা মৃত। ' আসলে আমাদের দেশের মানুষ জানেই না যে, পটকা মাছের শরীর আস্ত এটা বিষের থলি। টেট্রোডোটক্সিন নামে এক বিবশকারী বিষ আছে পটকায়। এই বিষ কারও শরীরে ঢুকলে মৃত্যু অবধারিত। জলজ পৃথিবীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় একশ' প্রজাতির পটকা মাছ আছে।
বিপদে পড়লে কিংবা উত্তেজিত হলে পানি খেয়ে অথবা পেটে বাতাস ঢুকিয়ে এরা ফুটবলের আকৃতি ধারণ করতে পারে। টিয়া পাখির ঠোঁটের মতো বাঁকানো অত্যন্ত শক্তিশালী দু'পাটি দাঁত আছে এদের। এই দাঁতের সাহায্যে এরা শিকারকে কাবু করে ফেলে। এদের শিকার সাধারণত শামুক, ঝিনুক, গলদা চিংড়ি ইত্যাদি। পটকা মাছ খুব একটা সাঁতার কাটতে পারে না।
পানিতে এরা অলস ভঙ্গিতে চলাফেরা করে। কিন্তু পটকার বিষের হিসাব কষতে গেলে খটকা লেগে যায়। একটা মাঝারি আকারের জাপানি পটকায় যে টেট্রোডোটক্সিন থাকে, তা ৩০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আরও খটকা লাগে বিষাক্ত জেনেও জাপানিদের পটকাপ্রীতি দেখে। তাদের জিহ্বা যেন পটকার স্যুপ খাওয়ার জন্য সারাক্ষণ আকুপাকু করে।
পটকাকে জাপানিরা বলে 'ফুগু'। ফুগু পটকা আকারে প্রায় তিন ফুট আর ওজন ৩০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু ফুগুর সারা গায়ে আবার কাঁটা থাকে। যাই হোক, বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শেফরা ফুগুর স্যুপ তৈরি করে সরকার অনুমোদিত রেস্তোরাঁগুলোতে।
আরো তথ্য জানুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।