আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগে যুগে চিকিতসাবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা(পর্ব-২)(ট্রিভিয়া পোস্ট)

........ ১ম পর্ব এখানে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দঃ অপারেশনের সময় ইনফেকশন রোধ করার জন্য ইংলিশ সার্জন জোসেফহ লিস্তার(১৮২৭-১৯১২) দুর্বল কার্বলিক এসিডকে এন্টি-সেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করেন । ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দঃ সুইস ব্যবসায়ী হেনরি ডুনান্ট(১৮২৯-১৯১০) জেনেভাতে রেড ক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন । ১৮৬৫ খিষ্টাব্দঃ ফরাসী মাইক্রোবায়োলজিস্ট লুই পাস্তুর(১৮২২-১৮৯৫) খবারকে উত্তপ্ত করে দ্রুত ঠন্ডা করার মাধ্যমে খাবারকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করার উপায় আবিষ্কার করেন । ১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দঃ জার্মান বজ্ঞানী রবার্ট কচ(১৮৪৩-১৯১০) ব্যাকটেরিয়াকে টিউবারকুলোসিস ও কলেরার কারণ হিসেবে শনাক্ত করেন । ১৮৮৬ সালঃ অপারেশনের যন্ত্রপাতি স্টিম করে জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু হয় ।

সার্জনরা অপারেশনের সময় মাস্ক, গাউন, অপারেশনের টুপি ইত্যাদি পরা আরম্ভ করেন । ১৮৯৫ সালঃ জার্মান পদার্থবিদ উইলহেম রন্টজেন(১৮৪৫-১৯২৩) এক্স-রে আবিষ্কার করেন । উনি তাঁর স্ত্রীর হাত এর এক্স-রে ছবি তুলে পরীক্ষা করেন । প্রথম দিকের এক্স-রে ও এক্স-রে মেশিন কাছাকাছি সময়ে অস্ট্রিয়ান ডাক্তার সিগ্মন্ড ফ্রয়েড(১৮৫৬-১৯৩৯) রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের স্বপ্ন ও শোইশবের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে মানসিক চিকিতসার এক নতুন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯০২ সালঃ বিজ্ঞানী দম্পতি মেরী কুরি(১৮৬৭-১৯৩৪) এবং পিয়েরে কুরী(১৮৫৯-১৯০৬) রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম আবিষ্কার করেন ।

এই দুটি পদার্থ বর্তমানে ক্যান্সার নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় । ১৯১০ সালঃ অস্ট্রিয়ান প্যাথলজিস্ট কার্ল ল্যন্ডস্টেইনার৯১৮৬৮-১৯৪৩০ চারটি রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করেন । ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দঃ ব্রিটিশ বায়োকেমিস্ট স্যার ফ্রেড্রিক গাউল্যান্ড হপকিন্স(১৮৬১-১৯৫৭) ভিটামিন আবিষ্কার করেন । ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দঃ মস্তিস্কের তরংগ রেকর্ড করার জন্য ইইজি মেশিন উদ্ভাবন করা হয় । ১৯২১ সালঃ লন্ডনে প্রথম বার্থ কন্ট্রোল ক্লিনিক স্থাপন করা হয় ।

১৯২২ সালঃ একটি ১৪ বছর বয়সী ছেলেকে প্রথম ইনসুলিন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় । ১৯২৮ সালঃ স্কটিশ ব্যাকটেরিওলজিস্ট স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং(১৮৮১-১৯৫৫) পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন । আমেরিকার বোস্টনে IRON LUNG দিয়ে একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত বালকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয় । ১৯৫০ সালঃ আমেরিকার শিকাগোতে প্রথম কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা সম্ভব হয় । এসময় আরো আবিষ্কার হয় বার্থ কন্ট্রোল পিল যা কিনা ১৯৬০এর দশকের শুরুর দিকে ব্যাপকভাবে ব্যাবহার আরম্ভ হয় ।

১৯৫২ সালঃ আমেরিকান বিজ্ঞানী জোনাস সক(১৯১৪-১৯৯৫) পোলিও প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার করেন । ১৯৫৩ সালঃ আমেরিকার বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রীক ডিএনএ আবিষ্কার করেন । ১৯৫৪ সালঃ হার্ট-লাং মেশিন ও পেসমেকার উদ্ভাবন করা হয় । ১৯৫৮ সালঃ দেহের ভেতরে দেখার জন্য এন্ডোস্কোপ নামে একটি মেশিনের উদ্ভাবন করা হয় । ১৯৬৭ সালঃ সাউথ আফ্রিকান সার্জন ক্রিশ্চিয়ান বার্নাড প্রথম হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনের অপারেশন করেন ।

সেই রোগী ১৮ দিন বেঁচেছিল । ১৯৭০ এর দশকঃ হার্ট পেসমেকারের প্রচলন বাড়তে থাকে । রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে দেহের ভেতরের ছবি তোলার এক প্রকার পদ্ধতি(ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং ) উদ্ভাবিত হয় । সিটি স্ক্যানের উদ্ভাবন ঘটে । ১৯৭৬ সালঃ বায়োনিক অংগ-প্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন শুরু হয় ।

১৯৭৮ সালঃ প্রথম টেস্ট টিউব বেবী লুসি ব্রাউন ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করে । ১৯৮০-১৯৯০ এর দশকঃ চিকিতসাশ্রাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতিগুলো আবিষ্কৃত হয় । লেজার সার্জারি, কী-হোল সার্জারি, জ়ীন ট্রান্সপ্লান্ট ইত্যাদি যুগান্তকারী উদ্ভাবন ঘটে । ২০০০- বর্তমানঃ সেগুলোর বেশিরভাগ আপনি জানেন, প্রতিদিন পেপারের বিজ্ঞানের পাতায় চোখ রাখুন । আজকালকার খবরাখবর পেয়ে যাবেন ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.