আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগে যুগে মানব সভ্যতা বদলে ফেলেছে এমন দশটি বিশ্ব মানচিত্র

অবাক পৃথিবী! অবাক করলে তুমি জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশভূমি।

মানব ইতিহাসে মানচিত্র ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যখন গোলাকার পৃথিবী সমন্ধে কোন ধারনা ছিলনা, তখনও যে যার যার মত মানচিত্র নিয়ে বেরিয়ে পরেছিল নতুন কিছু আবিষ্কারে। আসুন এরকম কিছু যুগান্তরকারি বিশ্ব মানচিত্র সম্পর্কে জানি। ১. ১৪০০ ইভস্যাম ওয়াল্ড ম্যাপঃ এটি ব্রৃটিশদের করা ম্যাপ যার উপরের দিকে গার্ডেন অব ইডেন এবং ব্যাবেল টাওয়ার দিয়ে শুরু।

বলা হয় এই ম্যাপ ব্রৃটিশদের মধ্যে আধুনিক দেশপ্রেম জন্ম দিয়েছে। ২. ১৪৯০ হেনরিকাস মারটেলাস ওয়াল্ড ম্যাপঃ কলম্বাস এই মানচিত্র নিয়েই অ্যাটলান্টিক পাড়িদিয়ে ইউরোপ থেকে চায়না যাবার পথে আমেরিকা পৌছে যায়। মানচিত্র অনুযাই কলম্বাস ভেবে ছিল যে, ইউরোপ থেকে এশিয়া সমুদ্র পথে অনেক কাছাকাছি হবে। এই মানচিত্রটি টি ছিল এক জার্মান মানচিত্রকরের। ৩. ১৫০৭ ওয়াল্ডজিমূলার ওয়াল্ড ম্যাপঃ আমেরিকা মহাদেশটি সর্ব প্রথম এই মানচিত্রে প্রকাশ পায়।

বহু মানচিত্রবিদ এটি তৈরি করতে অংশগ্রহণ করে। অনেকে নতুন আমেরিকাকে এশিয়ার অংশ হিসাবে উল্লেক করে। ৪. ১৬২৩ চাইনিজ গ্লোবঃ ততকালিন সম্রাটদের জন্য বানানো এই ভূ-গুলকে চায়নাকে ধরা হয়েছিল পৃথিবীর কেন্দ্র। একজন সেনাপতি ও পণ্ডিত এর নকশা করেন। ৫. ১৭৮২ রেড লাইন ম্যাপ অফ নর্থ আমেরিকাঃ আমেরিকানদের বিজেয় পর ব্রৃটিশ কুতনেতিকরা এই ম্যাপ ব্যাবহার করত।

এখানে আমেরিকা ও কানাডাকে আলাদা দেখান হয়েছে। ৬. ১৮৮৯ ডিসক্রিভটিভ ম্যাপ অফ লন্ডন প্রভার্টিঃ লন্ডনের ব্যবসাহিদের করা এটি। দারিদ্রতম অঞ্চল চিহ্নিত করতে এই ম্যাপ ব্যবহিত হত। ৭. ১৯২১ বি অন গার্ডঃ মাক্সবাদী বিপ্লবের সময় তৈরি করা হয় এই মানচিত্র। “রাশিয়া ও তার প্রতিবেশী দেশ গুলকে রক্ষা করবে মাক্সবাদ” ধারনা করে মাক্সবাদী রাষ্ট্র গুল দেখান হয়েছে।

৮. ১৯৩৩ লন্ডন টিউব ম্যাপঃ ম্যাপে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে প্রথম রেললাইন আঁকা হয়। যা ছিল তখন কার জন্য একটি বৈপ্লবিক কাজ। ৯. ১৯৭৪ পীটার প্রজেকশন ওয়াল্ড ম্যাপঃ মানুষ যখন জানল পৃথিবী আসলে গোল আকার, সমতল কাগজে এই মানচিত্র আঁকা অসম্বভ। “মারকেইটজ প্রজেকশন” এই সমস্যার সমাধান দেয়। প্রথমে এই পদ্বতিতে কিছু ত্রুটি ছিল,পরে তা আরন পীটার নামক এক জার্মান এটি দূর করে।

১০. ২০০৫ গুগল ম্যাপঃ এটি আধুনিক যুগের একটি যুগান্ত কারি আবিস্কার। ঘরে বসেই আজ আপনি যেতে পারেন পৃথিবীর যেকোনো জায়গায়। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.