আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগে যুগে পুলিশি হয়রানির কবলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক .... ড. মাহবুব উল্লাহ

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী বাংলাদেশে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়। কাকে কখন গোয়েন্দা পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে, কেউ বলতে পারে না। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে দেশটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক’দিন আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশি রাষ্ট্র নয়। তার সেই বক্তব্য ভ্রান্ত প্রমাণিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষককে ডিবি পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষকের বাসায় আরও ক’জন শিক্ষক মিলিত হয়েছিলেন, তারা স্বগোত্রীয় বলে। এখন দেখা যাচ্ছে, একই পেশায় নিয়োজিত থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে নিজ বাসভবনে সামাজিক কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে একত্র হওয়াও বিপজ্জনক। ডিবি পুলিশ বলেছে, এরা নাকি নাশকতা ঘটানোর জন্য পরামর্শ করতে মিলিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কী নাশকতা করতে পারেন, তা বুঝে ওঠা মুশকিল। আলোচ্য শিক্ষকদের গ্রেফতার করে রাতের বেলা ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

আবার ৪ ঘণ্টা পর তাদের ছেড়েও দেয়া হয়। গ্রেফতারকৃতদের বক্তব্য অনুযায়ী তাদের তেমন কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাদের স্রেফ বলা হয়েছে রাজনীতি করলে একটু-আধটু সমস্যা হয়। ১৯৭৩-এর আইন অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজনীতি করতে পারেন। সেই রাজনীতি যদি নিষিদ্ধ কোনো সংগঠনের রাজনীতি না হয়, তাহলে আপত্তি কোথায়? এসব শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলভুক্ত।

সাদা দলভুক্ত একমনা শিক্ষকরা বর্তমান সরকারের বিরোধী শিবিরে অবস্থান করে। অন্যদিকে নীল দলভুক্তরা সরকারপন্থী বলে পরিচিত। তারাও বিশেষ একটি রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী। সে কারণে তাদেরও কি একটু-আধটু অসুবিধা হবে? মনে হয় না। কারণ তাদের বড় পরিচয় তারা সরকারের ধ্বজাধারী।

দেশে যদি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়, তাহলে দেখা যাবে সাদা দলভুক্তরা সরকারপন্থী এবং অন্যদিকে নীল দলভুক্তরা সরকারবিরোধী। এমন পরিস্থিতিতে নীল দলের কাউকে ডিবি পুলিশের লোকেরা যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় তাহলে তারা কী বলবেন? নিছক রাজনৈতিক বিশ্বাসের জন্য এভাবে হেনস্থা হওয়ার ঘটনা কারোরই কাম্য হওয়া উচিত নয়। কারণ সরকার পরিবর্তনশীল হলেও ডিবি পুলিশ বা এ ধরনের কোনো সংস্থা পরিবর্তনশীল নয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের হাতিয়ারগুলোর এরকম অপব্যবহার কারোরই কাম্য হওয়া উচিত নয়। সাধারণভাবে মনে করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের হয়রানি থেকে নিরাপদ।

তাদের সহজে সরকার ঘাঁটাতে চায় না। কিন্তু এই শ্রেণীর নাগরিকরা যখন পুলিশি হয়রানির কবলে পড়েন, তখন বুঝতে হবে দেশের কোনো নাগরিকই রাষ্ট্রীয় হয়রানি থেকে নিরাপদ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করা এবং ৪ ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়রানি নাটকের প্রথম অংক মাত্র। এরকম হয়রানির পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সম্ভব, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও নির্বাক হয়ে যাবেন। সরকার কি সেটাই চাইছে? চিন্তার দিক থেকে অগ্রসর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সংবাদপত্রের পাতায় কলাম লেখেন, টেলিভিশন টকশোতে অংশগ্রহণ করেন।

তাদের এই ভূমিকা সরকারের জন্য সবসময় সুস্বাদু হয় না। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চমহল থেকে খেদ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। এখন গ্রেফতারের মতো হয়রানি করে সরব কণ্ঠগুলোকে নিস্তব্ধ করে দেয়াই কি সরকারের কৌশল? গণতান্ত্রিক দেশে সরকার যদি মনে করে তাদের কোনো ভুল হয় না, তারা কোনো অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে না, কাজেই তাদের কোনো সমালোচনাও হওয়া উচিত নয়। এরকমটি ভাবা সরকারের জন্য বোকামি ছাড়া আর কী হতে পারে? মনে হয়, ব্যর্থতার বোঝা এতই ভারী হয়ে গেছে যে, এখন সরকার কোনোরকম সমালোচনা বা বিরোধিতা সহ্য করতে পারছে না। তারই প্রতিফলন ঘটেছে আলোচ্য চার শিক্ষককে গ্রেফতারের মাধ্যমে।

দৃশ্যত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনেক বেশি স্বাধীন বলে মনে হলেও কার্যত অনেক সময়ই তাদের বিপদের মুখে পড়তে হয়েছে। ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের সময় অধ্যাপক মুনির চৌধুরীকে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। সেই একই সময়ে অধ্যাপক অজিত গুহকেও কারাবরণ করতে হয়েছিল। তিনি অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন না। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের মার্শাল ল’য়ের সময়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হয়রানি করা হয়েছে।

১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিদেশি শিক্ষক ড. নিউম্যানের বিরুদ্ধে সামরিক শাসনের বেড়াজাল ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ করেছিল। ড. নিউম্যান ছিলেন ঘোর কমিউনিস্টবিরোধী। সেই দুঃসময়ে যে কোনো সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডকে কমিউনিস্ট তত্পরতা হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। ড. নিউম্যান বর্তমানে জাতীয় অধ্যাপক ড. তালুকদার মনিরুজ্জামানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু ড. তালুকদার ড. নিউম্যানের অমতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ড. তালুকদারও সেই সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন আর ড. নিউম্যান ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হেড। ড. তালুকদার অনার্সে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। কিন্তু মাস্টার্স পরীক্ষায় ড. নিউম্যান প্রভাব বিস্তার করে তার ফলাফল পাল্টে দেন বলে ছাত্ররা অভিযোগ করে। এরই প্রতিবাদ করেছিল ছাত্ররা। ঘটনার ফলশ্রুতিতে বিচারপতি আসিরের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়।

আসির কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন তরুণ শিক্ষককে ছাত্র গোলযোগের জন্য দায়ী করা হয়। এরা হলেন ড. এআর খান, ড. বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর এবং ড. এআই আমিনুল ইসলাম। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ড. জাকির হোসেনের ভ্রাতা। ড. মাহমুদ হোসেন ছিলেন অত্যন্ত স্বাধীনচেতা এবং ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল।

তিনি এই তিন তরুণ শিক্ষককে ডেকে বললেন, তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট সিন্ডিকেটে পেশ করলে তোমাদের তিনজনকেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তাদের পেশাগত জীবনে বরখাস্ত হওয়ার কালিচিহ্ন থেকে মুক্ত থাকতে সিন্ডিকেট বৈঠকের আগেই চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার পরামর্শ দিলেন। ড. মাহমুদ হোসেনের পরামর্শ অনুযায়ী তারা নিজ নিজ ইস্তফাপত্র দাখিল করলেন। উল্লেখ্য, পরবর্তী জীবনে পেশার ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ড. এআর খান এখন ক্যালিফোর্নিয়া (রিভারসাইড) বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক।

ড. এআই আমিনুল ইসলাম এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করার পর অবসর গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসেন এবং শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকার তাকে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়। তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ড. বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপনা করার পর এখন অবসর জীবন যাপন করছেন। তিনি বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ভাই। উল্লেখ্য বিষয় হলো, বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাইকেও এক সময় এভাবে সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হতে হয়।

তাই তার পুলিশ যখন অন্য অধ্যাপকদের নাজেহাল করে তখন সত্যিই আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ ক’জন শিক্ষককে প্রাণ দিতে হয়েছে। তাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছিল। যা অনুমান করা যায় তা হলো, তারা ছাত্রছাত্রীদেরকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে অণুপ্রাণিত করেছিলেন বলে ইয়াহিয়ার সামরিক সরকার সন্দেহ করেছিল। ২০০৭-এর ১১ জানুয়ারির অসাংবিধানিক সরকারের আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষককে কারারুদ্ধ করা হয়।

বিচারে তাদের দণ্ডও দেয়া হয়। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে, তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে বহাল আছেন। আইয়ুব সরকারের সময় সরকারি রোষানলে পড়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের রিডার ও হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট ড. আবু মাহমুদকে সরকারপন্থী ছাত্র সংগঠন এনএসএফের পাণ্ডারা দৈহিকভাবে নির্যাতন করে। ফলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে আন্তর্জাতিক সংস্থায় যোগদান করতে বাধ্য হন। দেখা যাচ্ছে, অবিচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছেন।

শিক্ষক হিসেবে এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু ক্লাসে পাঠদান করেন না, তারা ছাত্রদের মানসলোক গঠনেও অনন্য ভূমিকা পালন করেন। বিশ্বের শিক্ষাগুরুদের শিক্ষাগুরু দার্শনিক সক্রেটিসকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। তাকে হেমলক বিষপানে বাধ্য করে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছেন।

সক্রেটিস এতই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন যে, জেল পালানোর সুযোগ পেয়েও তিনি পালাননি এবং অম্লান বদনে হেমলক বিষ পান করেছেন। এমন মানুষটির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল, তিনি তরুণদের অবাঞ্ছিত মন্ত্রণা দিচ্ছেন। ম্যাকার্থিজমের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিস্টমনা হওয়ার অভিযোগে অনেক র্যাডিক্ল্ চিন্তা-ভাবনাসম্পন্ন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা হয়। এসব শিক্ষক প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ছিলেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক মরিস ডব ব্রিটিশ কমিউনিস্ট পার্টি’র সদস্য হওয়ার অপরাধে পদোন্নতিবঞ্চিত হন।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি রিডার পদে উন্নীত হন। তার মৃত্যুর পর ক্যামব্রিজ জার্নাল অব ইকোনমিক্সে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যাটিতে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর স্যামুয়েলসন এবং প্রফেসর অমর্ত্য সেন মূল্যবান প্রবন্ধ লিখে এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেন। প্রফেসর শব্দটির অর্থ কী? প্রফেসর তিনিই যিনি ঢ়ত্ড়ভবংং করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোনো না কোনো দর্শন বা রাজনৈতিক মতবাদ ঢ়ত্ড়ভবংং করবেন—এটাই স্বাভাবিক।

তাদের এই ঢ়ত্ড়ভবংং করার কাজে পুলিশি হয়রানি করে বাধা সৃষ্টি করলে গণতন্ত্র থাকে না। তা সত্ত্বেও আমরা দেখি, যুগে যুগে কালে কালে দেশে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ বিশ্বাসের জন্য নিগৃহীত হয়েছেন। প্রতিবেশী ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি শাসনের সময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিগৃহীত হয়েছিলেন। এসবের কারণ বোধ হয় একটিই। শাসকরা অস্ত্রের বিরোধিতার চাইতে মতাদর্শের বিরোধিতাকে অনেক বেশি ভয় পায়।

সেই ভয়টির উত্স জ্ঞানী-গুণী মানুষরা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিগৃহীত করা সম্পর্কে এই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চাই এই কথা বলে—বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্কীর্ণ দলীয়তা থেকে মুক্ত হয়ে তাদের সত্যিকার অর্থে সুনির্দিষ্ট দর্শন বা School of thought-এর শ্রদ্ধাভাজন প্রবক্তা হতে হবে। অন্যথায় তারাও তাদের শ্রদ্ধার আসনটি হারিয়ে ফেলবেন। তাদের ধ্রুবতারা হবে সক্রেটিসের মতো মহান দার্শনিক। এই পথে সাধনা করলে শাসক-ত্রাসকরা সত্যিকার অর্থে নতিস্বীকারে বাধ্য হবেন।

লেখক : অর্থনীতিবিদ (আমার দেশ, ১৩/১০/২০১২) Click This Link  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.