আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগে যুগে বুদ্ধিবৃত্তি চর্চায় প্রাণ দিতে হয়েছিল যাঁদের .......

বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই , পড়েনি ব্যাকরণ পড়েনি মূল বই জর্দানো ব্রুনো জর্দানো ব্রুনো , মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ সুষম এবং অসীম নয় তার প্রাথমিক প্রস্তাবকদের মধ্যে তিনি একজন। প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতার (heresy) অপরাধে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়। এজন্য অনেকে তাকে চিন্তার মুক্তির জন্য নিবেদিত একজন শহীদ হিসেবে গণ্য করে থাকেন । সে সময়ের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল দর্শনের সাথে বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটেনি। এ কারণে দর্শনচ্যুত বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানচ্যুত দর্শনের অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।

এমন সময়েই বিপ্লবী মতবাদ নিয়ে উপস্থিত হন ব্রুনো। উল্লেখ্য ব্রুনোর জন্মস্থান ইতালিতেই ১৩৫০ সাল থেকে ইউরোপীয় পুনর্জাগরণ তথা রেনেসাঁ শুরু হয়েছিল। ব্রুনোর জন্মের সময়ে আরও একটি বিষয় চোখে পড়ে। সে সময় রাজার সাথে গীর্জার বিরোধ খুব একটা জমে উঠেনি এবং পার্লামেন্টের সাথে রাজার বিরোধের সূচনাই হয়নি। প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মের উত্থান ঘটছিল এবং ক্যাথলিক চার্চ সমাজে নিজেদের প্রভাব রক্ষার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

আমাদের এই সৌরজগৎটি সূর্যকেন্দ্রিক। মহাবিশ্ব অসীম। নক্ষত্রগুলি আসলে সূর্যর মতোই স্বাধীন ও স্বতন্ত্র মহাজাগতিক বস্তু-যাদের সংখ্যা কোটি কোটি। মহাবিশ্ব কেবল অসীম নয়-এর প্রবাহও অনন্ত। আর পৃথিবী বিশ্বজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত না-হলে আর দূরবর্তী নক্ষত্রগুলি সূর্যর মতো বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হলে মহাবিশ্বে আরও পৃথিবী (গ্রহ) আছে …সেখানে আমাদের মতো প্রাণিও থাকতে পারে! যা হোক।

ব্রুনোর ধারণার সঙ্গে ক্যাথলিক বিশ্বাসের সঙ্গে খাপ খায়নি। তারা কাজ দেবে বলে রোমে ডেকে নিয়ে যায়। ব্রুনো রোমে পৌঁছলে তাঁকে ইনকুইজিশন (ধর্মীয় বিচার সংস্থা) এর কাছে ধর্মদ্রোহী হিসেবে হস্তান্তর করা হয়। রোমের ক্যাসটেল সেন্ট অ্যাঞ্জেলো। এখানেই ৮ বছর শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল স্বাধীন চিন্তার দার্শনিকটি ।

বিচার অনুষ্ঠিত না-হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত টর্চার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হত। তারপরও তিনি মাথা নত করেনি গন্ডমূর্খ মূঢ়দের কাছে। বলেছিলেন: “আমার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা শোনার সময় আমার চেয়ে তোমরাই ভয় পেয়েছ বেশি!” মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনার পরপরই ব্রুনোর চোয়ালে লোহার কপাট পরিয়ে দেওয়া হয়। লোহার শলাকা দিয়ে জিভ ফুটো করে দেওয়া হয়। ১৬০০।

ফেব্রুয়ারি ১৯। স্বাধীন চিন্তার দার্শনিকটি রোমের রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় … অগ্নিমঞ্চের দিকে। তারপর …নগ্ন করে আগুন ধরিয়ে দেয় … সক্রেটিস সক্রেটিস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ - খ্রিস্টপূর্ব ৩৯৯) তাকে পশ্চিমা দর্শনের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারা জন্ম দিয়েছেন যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমা সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রবাবিত করেছে। সক্রেটিস ছিলেন এক মহান সাধারণ শিক্ষক, যিনি কেবল শিষ্য গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানে বিশ্বাসী ছিলেননা।

তার কোন নির্দিষ্ট শিক্ষায়তন ছিলনা। যেখানেই যাকে পেতেন তাকেই মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর বোঝানোর চেষ্টা করতেন। তিনি মনব চেতনায় আমোদের ইচ্ছাকে নিন্দা করেছেন, কিন্তু সৌন্দর্য্য দ্বারা নিজেও আনন্দিত হয়েছেন। হেমকল বিষ পান করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সক্রেটিস কে প্লেটোর ফিডো গ্রন্থের শেষে সক্রেটিসের মৃত্যুর পর্বের বর্ণনা উদ্ধৃত আছে। কারাগার থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে সক্রেটিস turned down the pleas of Crito।

বিষ পানের পর সক্রেটিসকে হাটতে আদেশ করা হয় যতক্ষণ না তার পদযুগল ভারী মনে হয়। শুয়ে পরার পর যে লোকটি সক্রেটিসের হাতে বিষ তুলে দিয়েছিল সে তার পায়ে পাতায় চিমটি কাটে। সক্রেটিস সে চিমটি অনুভব করতে পারেননি। তার দেহ বেয়ে অবশতা নেমে আসে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

মৃত্যুর পূর্বে তার বলা শেষ বাক্য ছিল: "ক্রিটো, অ্যাসক্লেপিয়াস আমাদের কাছে একটি মোরগ পায়, তার ঋণ পরিশোধ করতে ভুলো না যেন। " কিছু দার্শনিক উক্তি • অপরিক্ষীত জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা গ্লানিকর। • পোষাক হলো বাইরের আবরণ, মানুষের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে তার জ্ঞান। • নিজেকে জান। • টাকা বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল।

• জ্ঞানের শিক্ষকের কাজ হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে প্রশ্ন করে তার কাছ থেকে উত্তর জেনে দেখানো যে জ্ঞানটা তার মধহ্যেই ছিল। • তারা জানে না যে তারা জানে না, আমি জানি যে আমি কিছু জানি না। হাইপেশিয়া হাইপেশিয়া (৩৭০ - মার্চ, ৪১৫) বিখ্যাত মিশরীয় নব্য প্লেটোবাদী দার্শনিক এবং গণিতজ্ঞ। মহিলাদের মধ্যে তিনিই প্রথম উল্লেখযোগ্য গণিতজ্ঞ। তিনি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ আলেক্সান্দ্রিয়ান প্যাগান ও ছিলেন।

শিক্ষক হিসেবে তার সাফল্য উল্লেখ করার মত। হাইপেশিয়ার পিতার নাম থিওন। তিনিও একজন খ্যাতিমান গণিতজ্ঞ এবং দার্শনিক ছিলেন এবং হাইপেশিয়াকে মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিতকরণে তার ভূমিকাই ছিল সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। তার মৃত্যুর সঠিক তাৎপর্য উপলব্ধি করতে হলে ইতিহাসের বেশকিছু ঘটনার ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সম্রাট থিওডোসিয়াস ১ ৩৮০ সালে প্যাগানবাদ এবংঅরিয়ানবাদের বিরুদ্ধে একটি অসহিষ্ণুতা নীতির সূচনা ঘটান।

তিনি ৩৭৯ থেকে ৩৯২ সাল পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় রোমান সাম্রাজ্যের রাজা ছিলেন এবং এরপর থেকে ৩৯৫ সাল পর্যন্ত রোমান সাম্রাজ্যের পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন। ৩৯১ সালে তিনি আলেক্সান্দ্রিয়ার বিশপ থিওফিলাসের পত্রের জবাবে মিশরের ধর্মীয় সংস্থানসমূহকে ধ্বংস করে দেয়ার অনুমতি প্রদান করেন। এর পরপরই খৃস্টান জনতা সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে আলেক্সান্দ্রিয়া গ্রন্থাগার এবং সারাপিস মন্দির সহ অন্যান্য প্যাগান সৌধগুলো ধ্বংস করে দেয়। ৩৯৩ সালে আইনসভার আইনের মাধ্যমে এ ধরণের স্থাপনা বিশেষ করে ইহুদী মন্দির ধ্বংসে আক্রমনাত্মক কার্যাবলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিন্তু ৪১২ সালে আলেক্সান্দ্রিয়ার উর্ধ্বতন যাজক হিসেবে সিরিলের ক্ষমতায় আসার পর আবার সেই ধ্বংসাত্মক কাজগুলো শুরু হয়।

৪১৪ সালে আলেক্সান্দ্রিয়ায় ইহুদী বিতারণের সূচনার মাধ্যমে বিপর্যয়ের ঘনঘটা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪১৫ সালে একদল ধর্মোন্মাদ খৃস্টান জনতার হাতে হাইপেশিয়া নিহত হন। বর্ণনামতে রথে করে ফেরার পথে উন্মত্ত জনতা তার উপর হামলা করে এবং হত্যার পর তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে রাস্তায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। অনেক বিশেষজ্ঞই তার মৃত্যুকে প্রাচীন আন্তর্জাতিক শিক্ষাকেন্দ্র আলেক্সান্দ্রিয়ার পতনের সূচনাকাল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার দুটি বিখ্যাত উক্তি থেকে তার দর্শনের অকাট্যতা প্রতিভাত হয়: o তোমার চিন্তা করার অধিকার সংরক্ষণ কর।

এমনকি ভুলভাবে চিন্তা করা একেবারে চিন্তা না করা থেকে উত্তম। o কুসংস্কারকে সত্য হিসেবে শিক্ষা দেয়া একটি ভয়ংকরতম বিষয়। মর্মন্তদ এই ঘটনা ছিল গণিত ও বিজ্ঞানের উপর এক ভয়ংকর আঘাত। মার্গারেট ওয়ের্থহেইম তাঁর পীথাগোরাসের ট্রাউজার গ্রন্থে বলেন—"গ্রীক গণিতবিজ্ঞানের মহান যুগ, যার সুচনা এক পুরুষের জন্মের মধ্য দিয়ে, তা সমাপ্ত হয় এক নারীর মৃত্যুতে। " নিকোলাউস্ কোপের্নিকুস্ নিকোলাউস্ কোপের্নিকুস্ (১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৪৭৩ - ২৪শে মে, ১৫৪৩) একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

তিনিই প্রথম আধুনিক সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের মতবাদ প্রদান করেন। কোপের্নিকুস ১৫৪৩ সালের ২৪শে মে Frombork এ মৃত্যুবরণ করেন। অনেকে বলে থাকেন, মৃত্যুর সময় তার হাতে তার লেখা অতি বিখ্যাত বই De revolutionibus এর একটি কপি দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে যেন তিনি তার সারা জীবনের কার্যক্রমের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছিলেন। হাসান আল বান্না হাসান আল বান্না (জন্ম অক্টোবার ১৪, ১৯০৬-মৃত্যু ফেব্রুয়ারী ১২, ১৯৪৯) তিনি ছিলেন একজন মিশরীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারক।

তিনি মুসলিম ব্রাদারহুড দলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯০৬ সালে ১৪ অক্টোবর মিশরের রাজধানী কায়রোর কাছে মাহমুদিয়া অঞ্চলে অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মুসলীম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শায়খ হাসানুল বান্না । তার পিতার নাম আব্দুর রহমান বান্না। বারো বছর বয়সে তিনি সুফীবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি সেই কিশোর বয়সেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন।

তার শিক্ষা জীবন শুরূ হয় মাদ্রাসায় রাশাদ আদ নামক প্রতিষ্ঠানে। এরপর তিনি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দারূল উলুমে ভর্তি হন। ১৯১৭ সালে সেখান থেকে তিনি ডিপ্লোমা লাভ করেন। শায়খ হাসানুল বান্না ১৯২৭ সালে সরকারী স্কুলের শিক হিসেবে যোগ দানকরে কর্ম জীবন শুরূ করেন। এই সময় তিনি মিশরে প্রচুর ভ্রমণ করেন এবং সেই সময়কার বড় বড় আলেমদের সংস্পর্শে আসেন।

তাঁর নজরে পড়ে পাশ্চাত্যের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রভাবে কিভাবে মিশরের সমাজ ক্রমশ ভোগের দিকে ঝুঁকে পড়ছে কিভাবে সনাতন মূল্যবোধ থেকে দূরে সরে আসছে। পরবর্তিতে তিনি আলআজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। সেখানে তিনি সবিস্ময়ে লক্ষ করেন কিভাবে খ্রীষ্টান মিশনারীরা ইসলামের বিরুদ্ধে নাস্তিকতাকে উৎসাহিত করে চলে। ১৯২৮ সালে ৬ জন ইসলামী ব্যক্তিত্বের সহযোগিতায় হাসানুল বান্না গঠন করেন “ইখওয়ানুল মুসলিমিন” সংগঠনটি । আর সেই সংগঠনের আমির নির্বাচিত হন স্বয়ং হাসানুল বান্না ।

সংগঠনটিকে সামাজিক ভিত্তি দিতে পুরো মিশর জুড়ে তিনি একইসঙ্গে সমাজকল্যাণ এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রচারের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। মিশরের প্রতিটি শহরে গড়ে ওঠে শাখা সংগঠন। দ্বীন ইসলামকে সবার নিকট উপস্হাপনের জন্য হাসানুল বান্না মহিলাদেরকে নিয়ে আখওয়াত আল মুসলিমাত নামক সংগঠন গড়ে তোলেন । ১৯৩৩ সালে আল ইখওয়ানের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয় একটি প্রত্রিকা প্রকাশের ।

পত্রিকাটির নাম মাজাল্লাতুল ইখওয়ানুল মুসলিমিন। তার এই কর্মকান্ড মিশরের তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীকে ভীত করে তোলে। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯৪৯ সালে শসকশ্রেণীর লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডার গুলিতে তিনি নিহত হন। সাইয়েদ কুতুব সাইয়েদ কুতুব (১৯০৬, মুশা গ্রাম, উসইউত জেলা, মিশর - আগস্ট ২৫, ১৯৬৬, কায়রো, মিশর) একজন মিশরীয় ইসলামী চিন্তাবিদ এবং বিপ্লবী রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি মিশরের আসলামী আন্দোলনের প্রধান সংগঠন ইখওয়ানুল মুসলেমিন দলের মুখপত্র ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর সম্পাদক ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলনের এই ব্যক্তিত্বকে তৎকালীন কর্নেল নাসেরের সরকার ফাঁসির আদেশ দেয় এবং এভাবেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। শত অত্যাচার নির্যাতনের মুখেও বিন্দু পরিমান পিছপা না হয়ে অটল ছিলেন জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত। তৎকালীন মিশর সরকারের নানানরকম প্রলোভন, দুবছরের ব্যবধানে বড় অঙ্কের পেনশন কোনটাই তাকে বিরত রাখতে পারেনি ইসলামি আন্দোলনের সারি থেকে। এই বিপ্লবী চিন্তাবিদ কে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যু দেয় তৎকালীন মিশরীয় সরকার । হুমায়ুন আজাদ হুমায়ুন আজাদ একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক এবং কলাম প্রাবন্ধিক।

এই বাঙলার লা রুশো ফোকো হুমায়ুন আজাদ, এই বাঙালার সক্রেটিস হুমায়ুন আজাদ। হুমায়ুন আজাদ রাড়িখালের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯৬২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। মেধাবী ছাত্র আজাদ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন; উভয় ক্ষেত্রেই তিনি প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ১৯৭৬ সালে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল বাংলা ভাষায় সর্বনামীয়করণ।

তাঁর স্ত্রী লতিফা কোহিনুর। তাঁর দুই কন্যা মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ এবং একমাত্র পুত্র অনন্য আজাদ। ২০০৪ সালে হুমায়ুন আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়, যার দায়িত্ব পরবর্তীতে জমিয়াতুল মুজাহেদীনের জঙ্গী সন্ত্রাসবাদীরা স্বীকার করে। হুমায়ুন আজাদ ১১ আগষ্ট ২০০৪ সালে জার্মানির মিউনিখ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কয়েকটি বই : কবিতা • অলৌকিক ইস্টিমার (১৯৭৩) • জ্বলো চিতাবাঘ (১৯৮০) • সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে (১৯৮৫) • যতোই গভীরে যাই মধু যতোই উপরে যাই নীল (১৯৮৭) • আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে (১৯৯০) • হুমায়ুন আজাদের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯৩) • আধুনিক বাংলা কবিতা (১৯৯৪) • কাফনে মোড়া অশ্রু বিন্দু (১৯৯৮) • কাব্য সংগ্রহ (১৯৯৮) • পেরোনোর কিছু নেই (২০০৪) কথাসাহিত্য • ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল (১৯৯৪) • সব কিছু ভেঙে পড়ে (১৯৯৫) • মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ (১৯৯৬) • যাদুকরের মৃত্যু (১৯৯৬) • শুভব্রত, তার সম্পর্কিত সুসমাচার (১৯৯৭) • রাজনীতিবিদগণ (১৯৯৮) • কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ (১৯৯৯) • নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু (২০০০) • ফালি ফালি ক'রে কাটা চাঁদ (২০০১) • শ্রাবণের বৃষ্টিতে রক্তজবা (২০০২) • ১০,০০০, এবং আরো একটি ধর্ষণ (২০০৩) • একটি খুনের স্বপ্ন (২০০৪) • পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪) তথ্যসূত্র The Pope & the Heretic, মাইকেল হোয়াইট গ্রীক দর্শনের ইতিবৃত্ত - ড আব্দুল হাই মুসলিম দর্শন - রশিদুল আলম উইকিপিডিয়া  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.