চাই চিন্তার পূনর্জাগরন এক যে ছিল বেলগাছ। সেখানে সুখে শান্তিতে বাস করত একটি ছেলে বেল এবং একটি মেয়ে বেল। বেলরাজ্যের খুব রোমান্টিক জুটি। মেয়ে বেলটি দেখতে অসাধারন। গ্রীবায় উল্কিও আছে (ছবি দ্রষ্টব্য)।
ছেলে বেলটা একটু গাধা টাইপের। গোধূলী বেলা মেয়ে বেলের হলুদ আভার দিকে সবুজ ছেলে বেলটি অপলক তাকিয়ে থাকত ঘন্টার পর ঘন্টা। একদিন ছোট্ট একটি ডালে বসে তারা খুব রোমান্টিক সময় পার করছিল। কম বয়সে পাকলে যা হয় আরকি!! কিন্তু হঠাৎ করেই মেয়ে বেলটি বলে উঠল 'আমাকে এখন ঝড়তে হবে' (পড়ুন: আমাকে এখন যেতে হবে)। ছেলে বেলটি বেশ অবাক এবং কিছুটা বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল।
-কেন?
-দ্যাখো, ন্যাড়া আসতেছে।
নটে গাছটি মুরালো...
গল্পটিকে আপনারা যেভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন:
১. এটি একটি কপি পেষ্ট প্রযোজনা।
২. হাহ্ বেলের আবার রোমান্টিকত!!
৩. মেয়ে বেলকে হলুদ আর ছেলে বেলকে সবুজ বলে বয়সের পার্থক্য বোঝানো হয়েছে।
৪. এটি একটি লিঙ্গবৈষম্যমূলক গল্প।
৫. মেয়েরা রোমান্টিক সময়েও কাজের কথা ভুলে যায়না।
৬. অত্যন্ত সস্তা মানের কৌতুকের অপচেষ্টা।
৭. ন্যাড়া আর বেলের সম্পর্ক প্রেমের সম্পর্কের চাইতেও মধুর।
৮. 'বেল' এর জায়গায় 'আ'কার 'এ' কার পরিবর্তন করে নিমিষেই একটি ১৮+ গল্প বানিয়ে ফেলা যায়। যেমন ধরুন 'ছেলেবেল' এর জায়গায় 'ছেলেবেলা'। .........এরকম আরও অনেক।
৯......................................................ইত্যাদি।
মরাল অব দ্যা স্টোরী:
বলার আগে বাইবেলের একটি ভার্স
“fill the earth and subdue it” (Gen. 1:28)
আপনি এটাকে ব্যাখ্যা করতে পারেন যে সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন সবকিছু ভোগ করার জন্য। আবার এটাকে এমনভাবেও ব্যাখ্যা করতে পারেন যে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে একমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী হিসেবে অন্যসবকিছুকে দেখেশুনে রাখতে বলেছেন।
এবার মরাল বলি:
যার যেমন বুদ্ধি সে তেমন করে ব্যাখ্যা করে। যার কোন বুদ্ধিই নেই সে বাছবিচার ছাড়াই অন্যের ব্যাখ্যা মেনে নেয়।
আত্মঘাতী বোম্বিং যারা করে তারা এই গোত্রের।
মন্তব্য:
যাক, পোষ্টে ক্রিশ্চিয়ানিটি নিয়ে ব্যাখ্যা (মতান্তরে অপব্যাখ্যা) দেয়া হয়েছে। অন্যথায় গালি রেডি ছিল!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।