ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন না দিতে পারলে ভিসিকে পদত্যাগের আহবান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক নেতারা।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংহতি সমাবেশে’ নেতারা এ দাবি জানিয়েছেন। ডাকসুর দাবিকে গড়ে ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
সংগঠনের মুখপাত্র নুর বাহাদুরের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ভিসি আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলী, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকীসহ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নির্বাচনের পর জাকসু নির্বাচন দিবেন বলেছেন।
আমরা আমাদের ডাকসু চাই। জাহাঙ্গীরনগর পারলে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন পারবে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ থেকে আমাদের পরিবেশ অনেক ভালো। তাই তিনি দুই তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা আহবান জানান। ’’
তিনি বলেন, ‘‘স্বৈরশাসক এরশাদ তার শাসনামলে ডাকসু নির্বাচন দিয়েছিল।
আমাদের দেশের সরকার গুলো নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার মনে করলে কেন তারা ডাকসু নির্বাচন দেন না প্রশ্ন করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যদি মিথ্যা কথা বলেন তবে শিক্ষার্থীরা কি করবে? ডাকসু নির্বাচন না দিলে বড় বড় ছাত্র সংগঠনের লাভ হবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনদ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন পারলে দিন না পারলে সড়ে যান। ’’
তাই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের এই আন্দোলনকে সামনে গিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের দেশে শিক্ষক, আইনজীবী, এমপিদের কমিটির নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন হচ্ছে।
শুধু ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল সংসদসহ সব নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। ডাকসুর দাবিতে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের ধর্মঘট সফল হয়েছে। কারণ এই নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী চান। ’’
ডাকসু নির্বাচন না দিতে পারলে ভিসিকে পদত্যাগের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “ভিসির দায়িত্ব হচ্ছে নিয়মমিত ক্লাস-পরীক্ষা ও নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
যদি ক্লাস ও নির্বাচন না দিতে পারেন তবে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। ’’
আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘‘ডাকসু নির্বাচন না দিতে পারলে ভিসির পদত্যাগ করা উচিত। যদি আজ্ঞাপালনকারী হিসেবে ডাকসু নির্বাচন না দেয় তবে তার ভিসি হিসেবে থাকা উচিত নয়। ক্ষমতাসীনরা ডাকসু দেখলে ভয় পায়। কোনো নেতা সৃষ্টি যেন না হতে পারে সেজন্য ডাকসু নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে।
’’
তাই দলমত নির্বিশেষে এই নির্বাচনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করার আহবান জানান তিনি।
সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে এবং প্রতিবাদী আবৃতি করেন শিক্ষার্থীরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।