বোঝাপড়া চলছে.......চলবে... আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী অপেক্ষা করছিলাম হাইকোর্টের বারান্দায়।
একদিকে সুপ্রীমকোর্ট বারের নির্বাচন, আওয়ামী-বিএনপি আইনজীবিদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান নাচানাচি চিল্লাচিল্লি অন্যদিকে বিচারকার্য চলছে।
রিট আবেদনে আমাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এএফএম মেজবাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। বেলা তিনটায় শুনানি শুরু হয়। আমাদের আইনজীবি রুলের আবেদন চেয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলছেন আর অ্যাটর্নি জেনারেল,তিনি রিপোর্ট পড়েননি বলে একদিনের সময় চাইছেন।
গতকালই রিপোট টিপোট জমা দেওয়া হয়েছে, এই একদিনে পড়েননি আরেকদিন দিলে পড়বেন বিষয়টা তা না। কাল থেকে আদালত ১৫ দিনের জন্য বন্ধ। স্রেফ গড়িমস!!! ডাকসু নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে রাষ্ট্রপক্ষের এই গড়িমসি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলে কথা! আদালত একঘন্টা সময় দিলেন। চারটায় ফের শুনানি।
প্রচুর 'চার্জ গঠনে'র চাপে বিচারক বেমালুম ভুলে যান। চারটা বিশে মনে আসলে বলেন,১০ মিনিটের মধ্যে সবশেষ করে আমাদেরটা ধরবেন। এই করে বিকাল পাচটায় আবার শুনানি শুরু হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেলতো চারটার আগ থেকেই নাই, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলও ছিলেন না, বিচারক লোক পাঠিয়ে ডেকে আনলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এএফএম মেজবাহ উদ্দিন অবশ্য ছিলেন।
বিচারক নির্বাচনের আর্জেন্সি নিয়ে প্রশ্ন রাখলে মনজিল মোরসেদ বলেন, গত ২০ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যত দ্রুত সম্ভব এই নিবাচন হওয়া দরকার।
শেষমেষ বিচারক অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুপস্থিতিতে দু:খ প্রকাশ করে টুমোরু দেন। মানে আগামী ৮ ই এপ্রিল রোববার হবে সেই আগামীকাল।
আজকে হাইকোর্ট চিনলাম।
সেইসাথে ধরাও খাইলাম, হারলাম।
যদিও চুড়ান্ত বিজয় আমাদেরই হবে নিসন্দেহে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।