আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবিধ গ্রাফাইট রান্নাবলী

ভালোকে আমার ভয়,ভালো বেশীদিন থাকবেনা... মন্দকে আমার ভয়, কেননা আমি দুর্বল, আঘাত সইতে পারবোনা... সাফল্যকে আমার ভয়, ব্যর্থতাকেও ভয়... নিরন্তর ব্যস্ততার মহাকালে আমার করণীয় কিছুই নেই... যোগ্যের পৃথিবীতে আমি অযোগ্য, অধম... নিজেকে চেনাটা খুব কঠিন কাজ। হাড়ে হাড়ে টের পাই নিজের মাঝে। এখনো জানিনা আমি কি চাই, কিসে আমাকে মানায়, কিসের লক্ষ্যে কাজ করা উচিত আমার। যখন যা করতে মন চায়, সেটাই করি। মন চায় কথাটা বলা মনে হয় ঠিক হবেনা।

আসলে আমি খুবই হিংসুটে প্রকৃতির মানুশ। যার যা দেখি, মনে হয় যদি আমিও পারতাম। যখন খুব ছোট ছিলাম, আমার বান্ধবীর বড় আপু আমার জন্মদিনে একটা ছবি এঁকে দিয়েছিল। হিংসুটে হয়ে উঠলাম। ইচ্ছে হল, আমিও আঁকবো।

শুরু করলাম। খাতায়, বইতে, দেয়ালে, কাপড়ে, যেখানে পেরেছি, এঁকেছি। একসময় বিরক্তি চলে আসলো। ছেড়ে দিলাম। টিভিতে সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখে সাজানোর পিছে পরলাম।

মানুষ ধরে ধরে সাজিয়ে দিতাম। কিছুদিন পর বিরক্তি। কলেজে একটা ছেলেকে দেখেছিলাম গীটার নিয়ে হাঁটছে। শখ হল গীটার শিখব। পাগলের মত প্র্যাকটিস করলাম দিন রাত।

শুধুই মিউজিক। ভালো লাগা উবে গেল। এখন ভায়োলিনের পিছে লেগেছি। ব্লগে জেরেমির বেহালা দেখেছিলাম। এখন আমার একটা বেহালা চাই।

ইসহাক ভাইয়ের লেখা একটা গল্প পরেছিলাম, হুজুগ। পড়ে অবাক হয়েছিলাম, একদম আমারই কথা। কবিতার ভূত চেপেছে আশিক মাসুম ভাই, আর সোনালী ডানার চিল এর লেখা পড়ে। একজন আরমান ভাইয়ের একটা ছবি ব্লগ দেখে প্ল্যান করেছি আমিও বানাবো ছবি ব্লগ। ফারজানা শিরিনের মতো আমিও মেহেদী রাঙ্গা পোস্ট করবো।

শিশু বিরালের দেখাদেখি করে আঁকাআঁকি ব্লগ। ওনার পোস্ট নিয়মিত দেখি। তবে ভুলেও কমেন্ট করিনা। আমার তো পেটে পেটে কুবুদ্ধি আছে যে আঁকা ছবি পোস্ট দিব। যদি ভুলেও দেখে তো ইজ্জত মাটি হয়ে যাবে।

শায়মা আপুর মতো গ্লাস পেইন্টিং করবো। ( রঙ পাওয়া যাচ্ছেনা । ) যা হোক, ছবি আঁকার মাথা মুণ্ডু কিছুই জানিনা আমি। তবু এঁকেছি, নিথর শ্রাবণ শিহাবের আঁকা দেখে। ইন্সপায়রেশন ক্রেডিট গোজ টু শিহাব ভাই।

১। এটা কার ছবি আমি জানিনা। ২। এটা ফেসবুকে একটা ছোট ভাইয়ের ছবি। request করেছিল।

চেষ্টা ছিল ১০০%। ব্যর্থতা ৯৯% আর বাকিটা কনফিউশন। শুধু শুধু ঝামেলা করলাম। ৩। থ্রিডি আঁকার বৃথা আস্ফালন।

দেখে দেখে আঁকলাম, তবু ফেল। ৪। আমার একমাত্র বান্ধবী শিন্নি( শিরিন)। বাবার বকা শুনে আমাকে ফোন করে বলছিলঃ তোর মত স্বাধীন হতে ইচ্ছে করে অনেক। পরের দিন ফোন দিয়ে বললঃ আগামীকাল আমার অ্যাঙ্গেজমেনট।

ব্যাস, পুরো মাত্রার পরাধীন বস্তু। ৫। লাস্ট লেখাটার জন্যে করেছিলাম। দেয়া হয়নি। (শেষের নেশা) ৬।

কোন মানে নেই। স্ক্যান করতে গিয়ে পরের পেজের ছবিটাও চলে এসেছে। ৭। ইনি সুইসাইডের মতলবে আছেন। আর কিছু বললাম না।

ছবিতে একটা সমস্যা চোখে পড়েছে এইমাত্র। আগে দেখিনি। ৮। উইথ সামওয়ান, সামহোয়ার... (আমার খুব খুব প্রিয় মানুষগুলোর ছবি আমি আকিনা। তাদের মুখচ্ছবিতে হাত দিতে চাইনা আমি।

তবে কিছুদিন হল খুব কাছে চলে আসা একজন মানুষের ছবির কাজে হাত দিয়েছিলাম। কেন যেন মনে হচ্ছে সেটা বোধয় শেষ করতে পারবনা। আমার ছবিগুলো সাদা কালো। রঙ্গিন কোন কাজ আমি করতে পারিনা। আজন্ম ব্যর্থতা।

একটু একটু করে রঙ্গিন হতে থাকা একটা স্বপ্ন আবার বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। সময়ের বড় বেশি তাড়া, রঙের মনে বড় বেশি কুটিলতা। ) অকাজের কথা বাদ দেই। কাজের কথা বললাম। নেই কাজ তাই খই ভেজে গেলাম।

ভাগাভাগি করে নিয়ে নেবেন, নো মারামারি। আর যদি ভাজা পছন্দ না হয়, এরিসকে মেনশন করে লজ্জা দেবেন না। এরিসের রান্নার হাত সুতীব্র খারাপ... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।