আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক দায়িত্বকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে

একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে বর্তমান সরকারের দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্পের পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন। এজন্য আর্থিক খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত, আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বহুমাত্রিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে অনেক বেশি এগিয়ে। তারা এই দায়িত্বকে এতোই গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে যে এটা এখন তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনার একটি অংশ হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলো অপর্যাপ্ত সম্পদের যথার্থ ব্যবসা ও ব্যবহার নিশ্চিত করেছে।

ব্যাংকগুলোর এই ধরণের কর্মসূচী দেশের গ্রাম অঞ্চলগুলোর আর্থিক উন্নতিতে সহায়তা করছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলো সচল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়াতেও সক্ষম হয়েছে। এদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিএসআর এর দিকে অগ্রসর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে । কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালনের জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা রকমের সুবিধা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন,যুব ক্ষমতায়ন,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি,পরিবেশ রক্ষা কার্যক্রম ও অনুন্নত ক্ষেত্রগুলোতে অর্থায়নের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি আগ্রহী হয়েছে সমাজের উন্নতি সাধনে। অনলাইনে গ্রাহক সেবাও প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সকল সুবিধা ও নির্ধারিত নিয়ম-কানুনের প্রতি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো খুব ভাল সাড়া দিয়েছে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী প্রথম দশটি ব্যাংক যথাযথ সম্মান পাবে,এমনকি তাদের পুরস্কৃতও করা হবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা পালনকারী ব্যাংকগুলো মূলধন,সম্পদ,তারল্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপরিহার্য শর্ত হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। সে লক্ষ্যে কৃষিক্ষেত্রে,পরিবেশগতভাবে লাভজনক ও ছোট কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ও সহজ আর্থিক পরিকল্পনা প্রদান করেছে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য উত্তরা ব্যাংক,এবি ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ভাল কাজ করছে। মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে এবং আর্থিক খাতকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের ২২টি অনুন্নত খাতে ভূমিকা পালন করলে ১০% কর ছাড় পাবে।

বাংলাদেশ সরকার আশাবাদী যে এই সুবিধা ও সরকার প্রদেয় আরও অন্যান্য সুবিধাগুলোর কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে আরও উৎসাহী হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো যাতে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যথাযথভাবে অংশ গ্রহণ করে তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক বেশি সচেতন ভূমিকা পালন করছে। এখন যে ব্যাংকগুলো সামাজিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তার এক জ্বলন্ত প্রমাণ যে তাদের প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। আর তা এই দেশের আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশ এখন সার্কভুক্ত আর্থিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে;ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত দু’বছরে সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যয়ের খাতকে দশ বার বৃদ্ধি করেছে। আশা করা যায় যে তাদের এই প্রচেষ্টা আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে;এমনকি এদেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে। তাই এ লক্ষ্যে শুধু ব্যাংক নয়,অন্যান্য সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মূল প্রবন্ধ: Commercial banks of Bangladesh are taking CSR seriously ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.