http://www.paybox.me/r/rihan
বড় অস্থির এ সময়,
শতাব্দী প্রাচীন সংস্কার কিংবা অনন্ত শাশ্বত মানবিক হৃদয়ানুভূতি নয়--
বরং, বাণিজ্যিক উপকথার চটকদার শাব্দিক দ্যোতনায়
কেমন যেন অপ্রস্তুত মনে হয় আমাদের চারিধারের বিরাজমান কালকে--
হাজার বছরের পুরানো মানব সভ্যতার ক্রমবর্ধমান ভিত্তিটার
গাঁথুনিটাকে আজ মনে হয় বড় বেশী নড়বড়ে, ফাঁপা--
হয়তো ইট-পাথরের জোড়াতালি দেয়া কোন ক্ষণস্থায়ী ইমারত--
সেই ইমারতের আশেপাশে ঘুরে ফিরে অন্ধ বাঁদুড়ের মতো
আমাদের অযথাই কেবল আলোর পথে যাত্রা--অযথাই তো, কারণ
অন্তর আত্মার বাণিজ্যিক কলুষতায় আমাদের হৃদয়ের দৃষ্টিপথে
যে কালো অন্ধন্ত্বের বিকাশ ঘটেছে--
তার জমীনে তীব্রতম আলোর বিকিরণও শেষ পর্যন্ত অনন্ত আঁধারই,
শাল বনের অভাগা পেঁচার মতো
তাই আমাদেরও বোধোদয় হয় রাতের আঁধারেই,
সদ্য-ভূমিষ্ঠ বোধের--বহু-আরাধ্য সফল পদচারণার তীব্রতম আকাঙ্খা নিয়েও তাই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি প্রভাত-লগ্নের বহু আগেই,
মাতৃহীন অবহেলিত বোধগুলোর চতুর্মূখী কান্নাকে তখন মনে হয়
বহুদূরের এক গহীন বন থেকে ভেসে আসা
কোন খেক-শিয়ালের ভীতিজাগানিয়া হাঁকডাক--
তা কর্ণগোচর না করার তীব্রতম প্রচেষ্টা নিয়ে
তাই আমরা ভীত কাপুরুষের মতো নরম কম্বলে মাথা গুঁজি,
যদিও বহুকাল আগে সৃজনশীলতার শপথ নেয়া
কোন এক হতভাগা কবি তখনও ক্লন্তিহীন জেগে থাকে,
বাণিজ্যিক পিছুটান তার কলমেও দুর্ভেদ্য শিকল পরিয়েছে,
প্রতিভা বিপন্ন হওয়ার সর্বগ্রাসী চেতনা নিয়ে
সে কেবলই অপলক চেয়ে থাকে তখন,
শত শত আলোক-বর্ষ দূরের অসীম নক্ষত্রের পানে;
অন্তিম শয্যায় থাকা তার নিরূপায়, মুমূর্ষ প্রতিভার
বেঁচে থাকার শেষ-লগ্নের শ্রবণোত্তর গগণবিদারী আর্তি, হ্য়তোবা
অন্তহীন দীর্ঘশ্বাসে মাখামাখি হৃদপিন্ড গুলিয়ে ওঠা অযাচিত অভিমান--
হয়তো বড় অলক্ষে, বড় নীরবেই আঁচড়ে পড়ে তখন;
রাত্রির কোন এক ভাগে; অদৃশ্য অসীম ছায়াপথ ঘেঁষে ঘেঁষে;
শত শত আলোকবর্ষ দূরের সেই সব নক্ষত্রের দুয়ারে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।