বেগম খালেদা জিয়া ইতোপূর্বে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর যখন তাঁর দল সরকার পতন আন্দোলনের নামে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজপথে গু-ামি করে বেড়াচ্ছিল, তখন বিএনপির এক প্রবীণ নেতাকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম, রাস্তায় গু-ামি করে এই সরকারকে আপনারা ক্ষমতা থেকে হটাতে পারবেন না। কারণ, আপনাদের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের বহু ভুলত্রুটি এবং শহুরে এলিট ক্লাসের সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম অপপ্রচারের ফলে দেশে নির্বাচকম-লীর মধ্যে যে অসন্তোষ ও প্রোটেস্ট ভোট জমা হয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি হয়ত এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারে।
আমি জ্যোতিষী নই। কিন্তু এই ব্যাপারে সঠিক প্রেডিকশন করেছি বলে মনে হচ্ছে।
দেশব্যাপী ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাস সৃষ্টি দ্বারা, এমনকি ৫ মে’র হেফাজতী তা-বের দ্বারাও সরকারের ক্ষমতায় অবস্থান এক চুল পরিমাণও বিএনপি নড়াতে পারেনি। কিন্তু চারটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা চারটিতেই জয়ী হয়েছে। যদি জেদের বশবর্তী হয়ে এই নির্বাচনও তারা বর্জন করত, তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে যে তাদের জয়ের আশা আছে, এটাও বোঝা যেত না। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় এবং জয়ী হওয়াতেই বিএনপির মরা গাঙে আবার জোয়ার এসেছে।
এতবড় একটা দৃষ্টান্ত থেকেও বিএনপি কোন শিক্ষা নিয়েছে বলে মনে হয় না।
আমি ধরে নিয়েছিলাম, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সদিচ্ছা ও ক্ষমতা দেখানোর পর সরকারের প্রস্তাবিত নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার-পদ্ধতির অধীনে বিএনপি সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজি হবে এবং দেশে আর অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা না করে, নাগরিক জীবনে উপদ্রব সৃষ্টি না করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামক বিতর্কিত ও পরিত্যক্ত ব্যবস্থাটি পুনঃপ্রবর্তনের জেদ বজায় রেখে দেশে আর অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাবেন না।
মনে হয় আমার এই আশাটি একটু বেশি আশা পোষণ করা হয়ে গেছে। আগামী ২২ জুন বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর অছিলায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ দিবস পালনের কর্মসূচী দিয়েছে। এটা অত্যন্ত নিম্নমানের রাজনৈতিক চালাকি ছাড়া আর কিছু নয়, আমার সাংবাদিক ইনটিউসন বলে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থাতেই নির্বাচনে আসবে।
কিন্তু তার আগে রাস্তায় অশান্তি জিইয়ে রেখে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত রাখতে চায় এবং নিজেদের আগের সন্ত্রাস সৃষ্টির ব্যর্থতাগুলোর জ্বালা মেটাতে চায়।
এই বিক্ষোভ দিবসে কি হবে? বিএনপির ডাকে দেশের মানুষ অকারণে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসবে? মোটেও নয়। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিছু গাড়ি-বাড়ি, ভাংচুর হবে, নাগরিক জীবনে উৎপাত সৃষ্টি করা হবে এবং দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করা হবে। প্রোটেস্ট ভোটে নির্বাচনে জেতা এবং গণসমর্থন নিয়ে আন্দোলন সফল করা এক কথা নয়।
পশ্চিমবঙ্গে তিন দশকের বেশি সময়ের বামফ্রন্টের শাসনে জনগণের মধ্যে বিরাট প্রোটেস্ট ভোট জমা হয়েছিল।
মমতা ব্যানার্জীর মতো বহুরূপী নেত্রী, যিনি কংগ্রেস ও বিজেপির ক্রমাগত দল-বদলাবদলি করতে কিছুমাত্র লজ্জাবোধ করেন না, তিনি এই প্রোটেস্ট ভোটের সদ্ব্যবহার করে রাজ্য নির্বাচনে বিস্ময়কর জয়ের অধিকারী হন। কিন্তু ক্ষমতায় বসার এক বছরের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তায় বেলুন ফুটো হতে শুরু করে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আবার বামফ্রন্টের দিকে তাকাতে শুরু করেছে। আগামী রাজ্য-নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন এমনটা অনেকেই মনে করেন না।
বাংলাদেশেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অথবা হুড় হাঙ্গামা না করে বিএনপি যদি তার বর্তমান নির্বাচন-সাফল্যগুলোকে সংহত করে এবং আগামী নির্বাচনে যোগ দেয়, তাহলে আওয়ামী লীগ-বিরোধী প্রোটেস্ট ভোটের সাহায্যে তারা হয়ত এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে পারবে।
এটাও নির্ভর করে আওয়ামী সরকার নিজেদের ভুলগুলো আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সংশোধন করে দেশবাসীর মধ্যে জমা হওয়া বিরাট প্রোটেস্ট ভোটের সংখ্যা দ্রুত কমাতে না পারার ওপর। এত অল্প সময়ে সেটা না পারার সম্ভাবনাই বেশি এবং বিএনপির ক্ষমতায় আসায় সুযোগ বেড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তবে তাঁরা এও বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে যেতে হবে। আন্দোলনের নামে রাস্তায় গু-ামি করে কোন লাভ হবে না।
এ ব্যাপারে আমার ধারণা একটু ভিন্ন।
আমার ধারণা, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের গত সাড়ে চার বছরের ভুলত্রুটিগুলোর কিছু কিছু সংশোধন এবং মনোনয়নদানের সময় এক বৃহৎ সংখ্যক অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও গণবিচ্ছিন্ন এমপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনী এলাকার মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী বাছাই করলে সিটি কর্পোরেশনের মতো বিপর্র্যয় আওয়ামী লীগের কপালে ঘটবে না। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এবং তারপর যে দলই জিতুক, তাদের ভারত বা ব্রিটেনের মতো কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে সংসদে স্বতন্ত্র সদস্যদের সংখ্যা বাড়বে এবং কিছু ছোট ছোট দলের আবির্ভাব ঘটবে বলে আমার ধারণা। আওয়ামী লীগের উচিত হবে, হেফাজতীদের বিশ্বাস করে আর ছাড় না দিয়ে এসব সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী ছোট দলগুলোর সঙ্গে আগে থেকেই সম্পর্ক রক্ষা করে চলা।
বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতদের সঙ্গী করে ক্ষমতায় যাবে, তারেক রহমানের মতো এক নিকৃষ্ট চরিত্রের ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হবে এবং হেফাজতের মধ্যযুগীয় তেরো দফা দাবির বিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে।
এ আশঙ্কার কথা আমি ভাবতে চাই না এবং আমার জীবদ্দশায় তা দেখে যেতেও চাই না। তার চাইতে আওয়ামী লীগের ব্যর্থ এবং ভুলভ্রান্তিতে ভরা শাসনও আমার অধিক কাম্য। আওয়ামী লীগের ভেতরের সুবিধাবাদী ডানপন্থীরা এবং বাইরের নিরপেক্ষতায় ভেকধারী সুশীল সমাজ যদি দেশের ভাগ্যে ঘনায়মান গভীর বিপদ সম্পর্কে এখনও সচেতন ও সতর্ক না হন, তাহলে এই ভুলের মাসুল তাদের দারুণভাবে দিতে হবে। যে মাসুল একদিন দিয়েছিল নাৎসি অভ্যুত্থান-পূর্ব ইউরোপের বুদ্ধিজীবীরা।
শেখ হাসিনাকেও অনুরোধ জানাই, তিনি ত্রিশের জার্মানির হিডেনবার্গ এবং ইতালির ইমানুয়েলের মতো ভুল করবেন না।
আপোসের চোরাবালিতে পা দেবেন না। তিনি এখন প্রমাণ পেলেন হেফাজতীরা ট্রয়ের ঘোড়া। এই ঘোড়ার পেটে লুকিয়ে বিএনপি সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। হেফাজতীরা আওয়ামী লীগকে মুখে আশ্বাস দিয়েছে, তারা রাজনীতি করেন না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে, আপনারা ইসলাম চান, না নাস্তিকদের চান? মানুষ বলেছে, ইসলাম চাই।
অমনি কোরান শরীফ বের করে হেফাজতীরা বলেছে, তাহলে এই পবিত্র কোরানে হাত রেখে বলুন, নাস্তিক আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন না।
আওয়ামী লীগ হেফাজতীদের এই মিথ্যাপ্রচার ঠেকানোর মতো আগ্রহ ও সক্ষমতা দেখায়নি। আওয়ামী লীগের মধ্যেও একশ্রেণীর এক বিরাট সংখ্যক নেতাকর্মী গড়ে উঠেছে, যারা নিজেরাও ধর্মান্ধতায় ভোগে এবং হেফাজতের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাদের এক অংশকে আবার বিএনপি অর্থের দ্বারা বশীভূত করে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় প্রচার শক্তিও একেবারে নেই বললেই চলে।
সর্বৈব মিথ্যা প্রচারণার মুখোমুখি সামান্য সত্য প্রতিষ্ঠাতেও তারা অক্ষম।
হেফাজতীদের তুষ্ট করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গড়ে ওঠা নিজের শক্তি স্তম্ভকেই ভেঙ্গে দিয়েছে। এই তরুণ প্রজন্ম ক্ষুব্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের ওপর। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়েছে।
তারা অবশ্যই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সমর্থনদানে এগিয়ে আসেনি। আওয়ামী লীগকে সমর্থনদানে এগিয়ে আসেনি হিন্দু, বৌদ্ধ সংখ্যালঘু শ্রেণীর অধিকাংশ ভোটদাতাও। কক্সবাজার ও রামুতে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের সময় আওয়ামী লীগের একজন এমপিও দুর্গতদের পাশে গিয়ে দাঁড়াননি। বহু সংখ্যালঘু ভোটার এবার ভোট দিতে যায়নি। বেশিরভাগ যায়নি হেফাজত ও জামায়াতের হুমকির মুখে পড়ে।
অকেনেই যায়নি আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে এবং অসন্তোষের জন্য।
আওয়ামী লীগ কি তাদের সমর্থক শিক্ষিত মধ্যবিত্তদেরÑ বিশেষ করে শহুরে মধ্যবিত্তের সমর্থন ধরে রাখতে পেরেছেন? পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নানা ব্যাপারে তাদের আশাভঙ্গ হয়েছে। ধর্মান্ধদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপোসের নীতি, বড় দুর্নীতির সঙ্গে সহাবস্থান, বিশেষ করে শেয়ার বাজারে ধস থেকে হলমার্কের দুর্নীতিতে জড়িত রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এবং সাগর-রুনী সাংবাদিক দম্পতির হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে অক্ষমতা অথবা অনিচ্ছা, নদী ও সীমান্ত সমস্যায় ভারতের সঙ্গে মীমাংসায় পৌঁছতে অসাফল্য ইত্যাদি বহু ব্যাপারে শহুরে মধ্যবিত্তদের আশাভঙ্গ হয়েছে এবং তারা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিল বলে খবরে প্রকাশ।
সম্প্রতি ঢাকার একটি দৈনিক খবর ছেপেছে, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে শতকরা ৩৭ ভাগ ভোটদাতা অনুপস্থিত ছিল।
তারা ভোট দেয়নি। খবরে বলা হয়েছে, এরা আওয়ামী লীগের সমর্থক ভোটার। এদের মধ্যে আছে আওয়ামী লীগের ওপর অসন্তুষ্ট ও বিরূপ শহুরে মধ্যবিত্ত, বিক্ষুব্ধ তরুণ শ্রেণী এবং আওয়ামী সরকারের ওপর আস্থা হারানো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, হেফাজতীদের বিরুদ্ধে প্রচারযুদ্ধে না নেমে আওয়ামী লীগ নারী ভোটও সংহত করে নিজেদের পক্ষে টানতে পারেনি।
আওয়ামী লীগকে এখন এই ভুলগুলো শোধরাতে হবে। আওয়ামী লীগকে নীতিগত সঠিক অবস্থানে ফিরে আসতে হবে।
‘ডুড এবং টামাকু দুই-ই খাব’ এই নীতি এখন অচল। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চমৎকার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, প্রাগমেটিজমের পরিচয় দেখিয়েছে। অবশ্যই আওয়ামী লীগের শাসন বিএনপির শাসনের চাইতে অনেক উন্নত ও গণকল্যাণকামী এই সত্যটাও আজ প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দুর্নীতি ও ধর্মান্ধ রাজনীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ আপোসহীন, আওয়ামী লীগ আবার আওয়ামী মুসলিম লীগে পরিণত হতে চায় না এই সত্যটি দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে হবে।
একশ্রেণীর বিগ মিডিয়ার প্রচারণাকে ব্যর্থ করার জন্যও আওয়ামী লীগকে তার প্রচার শেল শক্তিশালী করতে হবে।
ঢাকার যে দৈনিকটি এখন বকধার্মিক সেজে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ১০টি কারণ দেখাচ্ছেন, সেই দৈনিক এই ব্যাপারে নিজের দুর্বৃত্তপনা ও নষ্ট সাংবাদিকতার কথা লুকাতে চেয়েছেন। নির্বাচনের সময় পত্রিকাটি অনবরত আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের সম্পত্তির হিসাব একতরফাভাবে প্রকাশ করে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, এরা সকলেই দুর্নীতিবাজ। পাশাপাশি বিএনপি-সমর্থিত-প্রার্থীদের, এমনকি সিলেটের বহু কীর্তির নায়ক আরিফের সম্পত্তির ব্যাপারে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেনি। এই প্রচারণা ঠেকাবার কোন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ নেয়নি। যে দৈনিকটি আওয়ামী লীগের প্রতিটি ক্রাইসিসের সময় এই ধরনের ধূর্তামির আশ্রয় নেয়, তার সম্পাদকের গত দশ বছরের অর্থবিত্তের হিসাব নেয়ার কোন উদ্যোগ সরকার নিয়েছেন কি? আমার ধারণা, নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়ত।
এখনও সময় আছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে পরাজয়ে ঘরে খিল না দিয়ে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াক। হাসিনা-নেতৃত্বে সাহসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হোক এবং নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করুক। একজন ক্ষুদ্র বুদ্ধির সাংবাদিক হিসেবে বলছি, আগামী নির্বাচনে নৌকার ভরাডুবি হবে না।
লন্ডন ১৮ জুন, মঙ্গলবার, ২০১৩।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।