মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাক তা জামাত রাজাকাররা চায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা ইসলামের নামে রগকাটা, সুদ খাওয়া, খুন, দর্শনের রাজনীতি করতে পারবে না। এই ধর্ম ব্যবসায়ী জামাত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জঙ্গী উৎপাদন করেছে। বাংলাদেশকেও একটি জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোর চেষ্ঠা অব্যহত রেখেছে।
যার কিছুটা নজির বিএনপি’র আমলে আপনারা দেখছেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র আমলে এই রাজাকাররা জাতীয় পতাকা গাড়িয়ে উড়িয়ে ঘুড়ে বেড়িয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না খালেদা জিয়া কিভাবে তার মন্ত্রী সভায় এই রাজাকারকে স্থান দিলেন। মওদুদ, পিন্টু, বাবর, সাকা চৌধুরী, ফালু, দুলু, পটল এদের মতো সন্ত্রাসী, টাউট-বাটপারদের মন্ত্রী সভা ও ক্ষমতার কেন্দ্রে বসালেন তা বুঝে উঠতে পারছি না।
তিনি বলেন, মওদুদের মতো খারাপ মানুষ এদেশে আর দ্বিতীয় নেই।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বাঁচাতে এই বদমাইশ আইন মন্ত্রী থাকাকালে সর্বাত্মক চেষ্ঠা চালিয়েছে। হাইকোর্টে পরাজিত শক্তির পক্ষের বিচারক নিয়োগ দিয়েছে। এর মতো কাওয়ার্ড আমি জীবনে দেখিনি।
বাংলাদেশে একটা বাম শক্তি নেই। যে শক্তি আওয়ামী লীগকে চাপে রেখে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।
আওয়ামী যুব লীগকে বাম শক্তির স্থলে দাড়াতে হবে। তাকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে আওয়ামী লীগ সঠিক রাজনীতির জায়গায় রাখার জন্য, আওয়ামী যুব লীগের বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর নাট্যমঞ্চে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাত্তোর সময়ে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের দিকে। তিনি আরো বলেন, যে চেতনার প্রতিফলন ঘটে ’৭২-এর সংবিধানে।
সেই চেতনাকে প্রতিক্রিয়াশীল, স্বৈরাচার, ঘাতকগোষ্ঠী ও যুদ্ধাপরাধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে নস্যাৎ করে দেয়। ভূলুন্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ’৭২-এর সংবিধান।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই প্রতিক্রিয়াশীল, ঘাতকগোষ্ঠী, স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলন শুরু করি। যার ফলে ’৯০-এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। যে গণতন্ত্রকে আবার নস্যাৎ করার জন্য বিএনপি-জামাত মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু জনগণ সেই চক্রান্তকে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে রুখে দেয়। তারপরও তারা একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এই প্রতিকুল অবস্থা মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ১লক্ষ ৬০ হাজার কৃষককে সার, ঔষধ, বীজ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। জরাজীর্ণ শিল্প-কৃষি ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নিয়ে তা বাসস্তবায়ন করছি।
এখন মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো ভাত খেতে পারে। শেখ হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে মরবে না। বেকারদের কর্মসংস্থান দেয়া নির্বাচনী ওয়াদা, তা আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করবো।
তিনি বলেন, মানুষের মনে ক্ষুধার কষ্ট নেই। তাই বিজয় দিবসে সারা দেশে বিজয়ের ঢল নেমেছিলো।
তারা স্লোগান দিয়েছে রাজাকার মুক্ত ও ক্ষুধা মুক্ত দেশ গড়ার।
তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ, আমরা। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাব। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও জননেত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০লক্ষ শহীদের তাঁজা প্রাণ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা।
কিন্তু স্বাধীনতার ৩৮ বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, লুটপাটপ্রতিরোধে সকলকে এক্যদ্ধ হতে হবে। দেশকে গড়তেও এক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার মুক্ত বংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার আমাদের সকলের। এবারের বিজয় দিবসের মূল অঙ্গীকার।
বিজয়ের ৩৮ বছরেও এজাতি, জন্মভূমি, জননী শকুন, রাজাকারদের হিংস্র ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে এরা ক্ষমতায় বসে। তারপর বিএনপি-জামাত আমলে আরো প্রতিষ্ঠিত হয়। এরা আওয়ামী লীগের শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল, যাতে এ দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কিন্ত জনগণ ভোটের মাধ্যমে তা রুখে দেয়।
এদের বিচার আমরা করবো।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদ্দাছের আলী, আওয়ামী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, কবি আসাদ চৌধুরী, আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোতাহার হোসেন, আওয়ামী যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হারুন অর রশীদ, জাহাঙ্গীর কবির, শহীদ সেনরিয়াবাদ সহ আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।