আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গাফফার চৌধুরী কি বঙ্গবন্ধু হতে চান?

অনেকবার চেষ্টা করেছি কলম আর ক্যামেরার দাসত্ব থেকে বের হয়ে যেতে..কিন্তু পারি নি....পারবো কিনা জানি না---এভাবেই হয়তো চলবে...

লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী সত্যিই তিনি অত্যন্ত তীক্ষ্মমেধা সম্পন্ন ব্যক্তি- তা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই আমাদের। কারণ তিনি সদূর প্রবাসে থেকেও দেশের প্রতি মায়া থাকার কারণে এখনো লিখে যাচ্ছেন সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করে। অসংখ্য পাঠকের মনছুয়ে যায় তার এসব কলাম। অল্প কিছুদিন আগেও আগাচৌ সমীপে লেখা আমার একটা লেখা চট্টগ্রাম, ঢাকা ও আমেরিকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এমনকি আমাদের এই ব্লগেও তা পোস্ট করি।

লিখেছিলাম অনেকটা সংকোচে। কিন্তু এখন অনেকটা সংকোচবোধ কমে গেছে ব্লগারদের সাড়া পেয়ে। এই লেখার প্রথমেই আমি শিরোনামটা ঠিক করে রেখেছিলাম কারণ শোকদিবসে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। একাত্তরের রণাঙ্গণে বাঙালী জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েই বঙ্গবন্ধু এখনো সবার হৃদেয় স্থান করে নিয়েছে। যতদিন পৃথিবীতে বাঙালী জাতির অস্তিৃত্ব থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নামটি অক্ষয় হয়ে থাকবে।

আসা যাক, আগাচৌ কে নিয়ে। তিনিও মনে হয় দেশে আরো একটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া খায়েশ উঠেছে। লাগামহীন কথাবার্তা তার কলামের মাধ্যমে পাঠকদের জোরপূর্বক খাওয়ানোর চেষ্টার ব্যস্ত থাকেন। গতবছর আর পাঠকদের নয় একেবারেই জনসম্মুখে লাগামহীন কথা বলে ফেলেন তিনি। দেশে একাত্তরের মতো আরো একটি যুদ্ধের আহবান জানান তিনি।

তিনি কি চান দেশে যুদ্ধ লাগুক নাকি দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক? প্রবাসে গিয়ে বৃটিশ সরকারের বেনিফিট খেয়ে দেশের প্রতি টান দেখালে কি তাকে দেশপ্রেমিক বলে নাকি বৃটিশদের তোষামোদকারী বলে। জীবনে সম্বল হিসেবে আছে তো শুধু মাত্র এই একটা গানই...... আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্র“য়ারী’। বর্তমান সরকার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত নাকি সমর্থিত এই নিয়ে অনেকের মতবিরোধ রয়েছে। গত বছর আগষ্টে নিউইয়র্কে উদীচি আয়োজিত রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জয়ন্তী ও দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে চীফ গেষ্টের ভাষণে বিখ্যাত এই কলামিস্ট বলেছেন, বাংলাদেশের সকল সমস্যার উৎস হচ্ছে সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু ও চার নেতাসহ দেশের সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে ওরাই।

এরাই এখন চক্রান্ত করছে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে শেষ করার। এজন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া মুক্তির পথ নেই। বর্তমান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নয়। ওরা ভাড়াটে পাকিস্তানী। ৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম পাকিস্তানী হানাদারদের বিরুদ্ধে।

আর এবার যুদ্ধ করতে হবে পাকিস্তানী দাসদের বিরুদ্ধে। এই সেনাবাহিনী প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী। বাংলাদেশের জাতীয় নেতা ছাড়াও উদীচী ও রমনা বটমূল বোমা হামরার নেপথ্য নায়ক হচ্ছে তারা। এজন্য এদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া জাতি মুক্তি পাবে না। এধরণের একটি সংবাদ পরিবেশন করে আমেরিকার গাফ্ফার চৌধুরী তার আরেকটি কলামের শিরোনাম করেছিলেন, আমরা কি ষাটের দশকে আইয়ুবী জমানায় ফিরে যাচ্ছি? না কেন আমরা আবার ষাটের দশকে ফিরে যাবে, কেনইবা শুধু শুধ সংঘাতের দিকে দেশকে নিয়ে যাবে? জানি দেশের মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের আগুণে পুড়ে ছাড়খার হচ্ছে।

সে অনুভতি তো আগাচৌর নেই, তিনি তো লন্ডনে আয়েশী পরিবেশে বেশ আছেন। নিন্দুকেরা বলেন, তিনি নাকি ভারত এবং বৃটিশ সরকারের একজন বিশিষ্ট......... (!).....। এমনকি দেশের একটি রাজনৈতিক সংগঠনের .................(!) বিশেষ একজন। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে যেসব কর্মচারী আছেন তার অনেকেই কিন্তু শেখ হাসিনার আমলেই যোগদান করেছেন.... হাসিনা আপা কি তবে পাকিস্তানীদের সিলেক্ট করেছেন। নাকি সেই পুরানো ইতিহাস টেনে আনার জন্যই তিনি সেনাবাহিনীকে এসব করছেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা বেশ কজন সেনা সদস্য জড়িত আছে। তবে রমনা এবং উদীচীতে কি উড়ে এসে বোমা মেরেছে সেনাবাহিনী.... তার কি কোন প্রমাণ আছে আগাচৌর কাছে? বর্তমান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের নয়.... পাকিস্তানের তাদের জন্ম কি পাকিস্তানে নাকি কোন বংশধর পাকিস্তানে আছেন তা নিশ্চয়ই আগাচৌ গবেষণা করে উদঘাটন করেছেন মনে হয়। গৃহযুদ্ধের আহবান তিনি কেন করলেন তা এখনো পরিষ্কার হয়ে উঠে.. তিনি কি নিজেকে সমালোচনায় আনতে চান নাকি বঙ্গবন্ধুর মতো কোন ব্যক্তিত্বের পরিণত হওয়ার জন্য এমন লাগামহীন কথাবার্তা বলেছিলেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.