আগের পর্ব
আগের পর্বে উপরের ছবিটার মত আরও সব কৃত্রিম পশু-পাখির ছবি দিয়েছিলাম। এবার এলাম সত্যিকারের পশু-পাখি নিয়ে। জেস গার্ডেনে একটা ছোট চিড়িয়াখানা আছে। সংগ্রহ খুব বেশি না হলেও আকর্ষণীয়। এবার সেগুলো এক নজরে দেখে নিই।
১৭. এই দুইটা পাখি কিন্তু মুরগী না, ময়ুর। সাইজ দেখে একটু ধন্দ লাগলেও সত্যিকারেরই ময়ুর এগুলো।
১৮. এই খরগোশটা একেবারে খাঁচার জালের কাছে বসে ছিল। ছবিটা তোলার সময় পোজও দিয়েছে। কিন্তু একটু আদর করতে যেতেই দৌড়ে পালিয়েছে।
১৯. এই কালো খরগোশটা তো ছবি তোলার সময়ই দৌড় দিয়েছে, দৌড়ের ঠিক শুরুর মুহূর্তে ছবিটা তোলা হয়ে গিয়েছে।
২০. পায়রা দুটো সোহাগ করছিল বাকবাকুম করতে করতে।
২১. হরিণগুলো ছবি তোলার সময় ঠিক ড্রয়িং রুমের শোপিসের মত করে বসে পোজ দিচ্ছিল। ওরা মনে হয় ছবি তোলায় ভালোই অভ্যস্থ।
২২. একটা হরিণ একেবারে কাছে চলে এসে মায়ামায়া চোখে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে।
অবশ্য ছবি তোলার পর আদর করতে যেতেই ভোঁ দৌড়।
২৩. হনুমান বাবাজী উদাস নয়নে তাকিয়ে দেখছিল আমাদের।
২৪. অজগরটা নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল। শীতনিদ্রা তো না, বর্ষানিদ্রা যাচ্ছিল বলা যায়।
২৫. ঈগলটা কেন যে বকের মত এক পায়ে দাঁড়িয়েছিল সেটা গবেষণা করেও বের করা যায়নি।
২৬. টার্কি (বিলাতী মুরগি)-টা আমাদের দেখে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। সারাক্ষণ পায়চারি করছিল। ছবিই তুলতে পারছিলাম না। থাম্ থাম্, বলার পরেও থামছিল না। পরে মনে হল, বিলাতী মুরগি, বাংলায় থামতে বললেই কি আর থামবে।
বললাম, হল্ট। তখন ঠিকই চুপ করে দাঁড়িয়ে পড়ল আর টুপ করে ছবিটা তুলে নিলাম।
২৭. এই বান্দর বাবাজী শুরুতে এভাবে বসে পোজ দিলেও একটু পরেই পুরো খাঁচা জুড়ে গোল গোল ঘুরতে শুরু করে দিয়েছিল। আর ওর মাথার উপর একটা বিশাল বানর উদাস নয়নে তা দেখছিল। মনে হল ওটা ওদের সর্দার।
সর্দারের ছবিও তুলেছিলাম কিন্তু পরিষ্কার আসেনি।
২৮. মেছো বাঘটা ভারী রাগী ছিল। বারবার হালুম করার চেষ্টা করছিল আমাদের দিকে তাকিয়ে, যদিও কোন শব্দ বের হচ্ছিল না, শুধু মুখ নাড়ছিল। তাই দেখে সবাই আরও বেশি করে বকে দিচ্ছিল, পিচ্চি একটা বিলাই, তার আবার নাম বাঘ বলে ভাব কত!
২৯. পার্কের রাইডগুলোতো চড়লেও এই দোলনায় কেন যেন বসে দোল খাওয়া হয়নি। সময়ের অভাবে মনে হয়।
৩০. এই ছাউনিতে বসে শেষ মুহূর্তে আমরা পিলো-পাসিং খেলেছিলাম। আমি দশম হয়েছি। (কয়জনের মধ্যে সেটা জানতে না চাওয়াই ভালো। )
৩১. পার্কের মূল প্রবেশ পথ। ভিতরের দিক থেকে।
৩২. বৃষ্টির পানিগুলো এমনভাবে গাছের পাতায় জমে ছিল যেন একেকটা হীরার টুকরা।
চিড়িয়াখানায় আরও পশু-পাখি ছিল। শিয়াল পন্ডিত যে আমাদের দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙাচ্ছিল। শিম্পাঞ্জিগুলো বড় অসহায় বেচারা মার্কা চেহারা করে লজ্জায় লুকিয়েছিল। আর একটা কুমিরের বাচ্চা তার বর্ষানিদ্রায় ব্যস্ত ছিল।
ঐ ছবিগুলো এত অস্পষ্ট এসেছে যে সেগুলো দিলে আসল চরিত্রটা কোথায় তা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও কেউ বুঝবে না।
যা হোক, ভ্রমণটা অল্প সময়ের জন্য হলেও খুব আনন্দে কেটেছে প্রতিটা মুহূর্ত। মনে থাকবে সব সময়, আর মিস করব সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।