আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ছোটবেলা ১

বন্ধু হতে এসেছি ভাবলাম আমি তো তেমন কিছু লিখতে পারিনা,তাই আমার ছোটবেলার কিছু কথা সিরিজ আকারে লিখে যাবো। ছোটবেলায় আমি খুব দুষ্ট ছিলাম। আব্বু কাছে ছিলো আমার যতো আব্দার। কারন আম্মু না করলেও আব্বু আমার কোন কিছুতেই না করতো না। মাঝে মাঝে আব্বুর সাথে অফিসেও চলে যেতাম।

আব্বুর পুরনো কাগজ নিয়ে খেলা করা ছিলো আমার প্রিয় কাজের মধ্যে একটি। আর কার্বন পেপার চুরি করতাম আব্বুর ড্রয়ার থেকে। সেই কার্বন পেপার বাসায় এনে ভাইয়ের খাতার উপর রেখু চলতো আমার আকাবুকির কাজ। একটা ছবি আকতাম আর ২ টা ছবি হয়ে যেতো কি মজা তাইনা ? তবে ভাইয়াটা ছিলো খুব দুষ্ট। আমাকে শুধু জ্বালাতো।

আর কতো খামচা খামচি যে করেছি ওর সাথে। আমি না পারলে শুধু খামচি দিতাম নাহয় কামড়। আর ভাইয়া গিয়ে আম্মুকে বিচার । আম্মুটা মনে হতো ভাইয়াকে একটু বেশিই আদর করতো। এখন বুঝি নাহ সমান সমান ই করতো বাজার থেকে আব্বু বাদাম আনলে সেটা ভাগ করা নিয়ে চলতো আরেক ঝামেলা।

কারন ভাইয়া চাইতো সে বেশি নিবে আর আমি বাদাম পছন্দ না করলেও আমিও ভাগ ছাড়তাম না। আম্মুকে বলতাম সমান ভাগ করা চাই। আম্মু বাধ্য হয়ে ১ টা ১ টা গুনে গুনে ভাগ করে দিতো। কখনো ১ টা বেশি হলে সেইটা ভাইয়া নিতে চাইতো। আমিও কি ছাড়ি? আমি আম্মুকে বলতাম ওটা ও খুলে ২ টা পোরশন করে ২ জনকে ভাগ করে দাও।

আব্বু দেখে হাসতো আর বলতো আমার মেয়ের অনেক বুদ্ধি আরে বুদ্ধি না ছাই। অংক করতে গেলেই সেই বুদ্ধি হারিয়ে যেতো মাঝে মাঝে আব্বু অংক করাতে বসতো। তবে আমি চাইতাম না আব্বুর কাছে পড়তে,কারন আব্বু পান দিয়ে আমার নতুন খাতা লাল লরে ফেলতো আর ভাইয়াটা ছিলো পাজির ধাড়ি। আমার পড়া মুখস্ত না হলেও সেই বদমাশ টা কিভাবে যেনো ৩০ মিনিটে সব মুখস্ত করে আম্মুকে পরা বুঝিয়ে দিয়ে টিভি দেখতে চলে যেতো। আর একটু পরপর এসে বলতো কিরে গাধি টিভি দেখবি না? চলবে.... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।