আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন

UFO(unidentified flying objects) সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না । অনেকেই বিশ্বাস করে UFO এর কথা আবার অনেকেই অবিশ্বাস । কিন্তু আজ পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা UFO সম্পর্কে পাওয়া যায় তাকে করে অবিশ্বাসের কোন কারন নেই । কিন্তু বিশ্বাস অবিশ্বাস সেটা প্রত্যেকেরই নিজস্ব ব্যাপার । UFO একটি উড়ন্ত যন্ত্র যার মাধ্যমে অন্য গ্রহের প্রানি বা মানুষের মত অবিকল কোন প্রানিকে পৃথিবীতে পাঠানো হয় তাদের গ্রহ থেকে ।

কিন্তু যতগুলো UFO এর সম্পর্কে ঘটনা পাওয়া গেছে তাতে বিকৃত কোন অজানা প্রানী পাওয়া গেছে । এদেরকে বলা হয় এলিয়েন । UFO নিয়ে মেক্সিকোতে একটি মিউজিয়ামও আছে যেখানে অনেক পর্যটক আসেন UFO সম্পর্কে জানতে এবং অন্যগ্রহের প্রানীদের দেখতে। UFO সবচেয়ে বেশী দেখা গেছে আমেরিকার ৫১ নম্বর এরিয়ায় । তাই অনেকেই বলে থাকে আমেরিকার সাথে নাকি ওদের সূত্র আছে ।

স্যাটেলাইটেও অনেকবার UFO ধরা পরেছে । কিন্তু এর স্পিড আলোর গতি থেকেও অনেক গুন বেশী । সম্প্রতি শনির সবচে বড় চাঁদ টাইটানে এলিয়েন বা মহাজাগতিক প্রাণী থাকার প্রমাণ পেয়েছেন নাসার গবেষকরা। নাসার ক্যাসিনি থেকে পাঠানো ডেটা বিশ্লেষণ করেই গবেষকরা টাইটানে এ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন। গবেষকদের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শনির অনেকগুলো চাঁদের মধ্যে একমাত্র টাইটানের আবহাওয়াই প্রাণ ধারণের উপযোগী।

আর চাঁদের এই আবহাওয়ায় জীবনের উৎপত্তি হয়েছে এবং তারা শ্বাস নিতে পারছে। এমনকি জানা গেছে, এ ভ‚পৃষ্ঠের জ্বালানি খেয়েই নাকি বেঁচে আছে টাইটানের এইসব এলিয়েনরা। অবশ্য এর আগে জ্যোতির্বিদরা দাবি করেছিলেন, টাইটানের আবহাওয়া প্রাণধারণের পক্ষে অসম্ভব শীতল। এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে ‘ইকারাস‘ এবং ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ’ সাময়িকীতে। এদিকে ইকারাস সাময়িকীর বরাতে জানা গেছে, টাইটানের হাইড্রোজেন গ্যাস গ্রহটির আবহাওয়ামন্ডলে প্রবাহিত হচ্ছে, কিন্তু পৃষ্ঠদেশে এসে এটি হারিয়ে যাচ্ছে।

হাইড্রোজেন গ্যাসের এই প্রবাহ থেকেই প্রমাণিত হয় টাইটানে বসবাসরত এলিয়েনরা শ্বাস নিতে সক্ষম। অন্যদিকে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ সাময়িকীর বরাত জানা গেছে, টাইটানের ভূপৃষ্ঠে রাসায়নিকের ঘাটতি আছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, টাইটানের আবহাওয়ায় প্রাণ ধারণ সম্ভব। সূর্যরশ্মির সঙ্গে এ গ্রহের বায়ুমন্ডলে থাকা রাসায়নিক পদার্থগুলো বিক্রিয়া করে অ্যাসিটিলিন গ্যাস তৈরি করে বলে গবেষকরা ধারণা করছেন। যদিও ক্যাসিনির পাঠানো ডেটা থেকে এ ধরনের কোনো প্রমাণ তারা পাননি।

নাসার অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট ক্রিস ম্যাককেই-এর বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মানুষ যেভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য শ্বাস নিতে অক্সিজেন ব্যবহার করে তেমনি টাইটানের এলিয়েনরা হাইড্রোজেন-এ শ্বাস নিয়ে টিকে আছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ৪০০ কোটি বছর পরে আমাদের সূর্য যখন লাল বামন দৈত্যের আকার নেবে তখন টাইটানে বাস করাটাই হবে উপযুক্ত। কারণ তখন এটিই হবে স্বর্গতুল্য। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.