আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃটেনে নতুন আইন: ভোগান্তিতে পড়বে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা

ভুয়া শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিহত করতে বৃটেনের বর্ডার এজেন্সিকে নতুন বেশ কিছু ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে। এ ক্ষমতার বলে যে কোন ছাত্রকে সন্দেহ হলে তার বৃটেনে প্রবেশ আটকে দিতে পারবে এ সংস্থা। নতুন এ নিয়ম কার্যকর করার ফলে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের শিক্ষার্থীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও নতুন আইনে ভুয়া শিক্ষার্থী প্রতিহত করার অংশ হিসেবে প্রতি বছর বৃটেনে পড়তে আসা অভিবাসন ভিসাপ্রাপ্ত ৫০০০ ছাত্রকে ফিরিয়ে দেয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একটি সফল পাইলট প্রকল্পের পর আগামী বছর থেকে প্রতি ২০ জন সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক ছাত্রকে সন্দেহমূলক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছে বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

তারা বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসের পাইলট প্রকল্পের আওতায় বর্ডার অফিস প্রকৃত ছাত্র নয় এমন সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ২০০০ ছাত্রের মধ্যে ৩২ ভাগকে ভুয়া পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪৫ ভাগ মিয়ানমারের ৩৮ ভাগ বাংলাদেশের, ২৯ ভাগ ভারতের। আগামী বছর ১০ থেকে ১৪ হাজার ভিসা আবেদনকারীর মধ্যে মোট পাঁচ ভাগকে এমন সাক্ষাৎকারের আওতায় আনা হবে। এই আইনে সাক্ষাৎকারে আসতে অপারগ হওয়াদের ভিসা কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বাতিল করার ক্ষমতাও দেয়া হচ্ছে কর্মকর্তাদের। অভিবাসন মন্ত্রী ডেমিয়ান গ্রিন বলেন, অনেক বেশি সাক্ষাৎকার নেয়া ও ভুয়া ছাত্রদের আবেদন ও ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে যারা সিস্টেম নিয়ে খেলা করছে আমরা তাদের থেকে বৃটেনকে রক্ষা করবো।

তিনি বলেন, বর্তমান নিয়মে ছাত্রদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়লেও বর্ডার কর্মকর্তাদের বেশি কিছু করার থাকে না। তারা ভিসা বাতিল করতে পারে না। আমরা প্রতারণা ও অনিয়মের মাধ্যমে আসা অযোগ্যদের জন্য পদ্ধতি কঠিন করছি। যেন প্রকৃত মেধাবীরা বৃটেনের উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হতে পারে। গ্রিন বলেন, বৃটেন ব্যবসায়ী ও অভিবাসীদের জন্য আকর্ষণীয়।

কিন্তু মনে রাখতে হবে আপনি যদি ফরমে ভুল তথ্য দেন ও নিজের প্রকৃত উদ্দেশ্য লুকান তবে আপনি প্রত্যাখ্যাতের তালিকায় পড়বেন। নতুন প্রত্যক্ষ ইন্টারভিউ সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২৩ হাজার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এদের মধ্যে ১৭ ভাগকে ভাষা ও অন্যান্য সমস্যার কারণে বাতিল করা হয়। অনেককে বাতিল করা হয় বেসিক ইংলিশ না জানার কারণে। আগামী বছর ১৪ হাজার আবেদন বাছাই করলে ৪৬২০টি আবেদন বাতিল হতে পারে।

গতকাল হিলিংডন টাইমস জানিয়েছে, বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যেসব দেশ অনিয়মের সন্দেহের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সেসব দেশের ছাত্রদের আবেদন বেশি করে যাচাই করা হবে। আর এসব দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও নাইজেরিয়া। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং-এর মতো কম সন্দেহের তালিকায় থাকা দেশের শিক্ষার্থীদেরকে এমন পরীক্ষা করা হবে না মানবজমিন থেকে শেয়ার করা। লিনক. Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.