Speak no evil, hear no evil, see no evil. ভাইরে,
এর আগের পোস্টে আমি আমার জীবনের প্রথম কিছু অন-আদিরসাত্মক জিনিষ শেয়ার করিয়াছিলাম। কিন্তু কলিকাল! সবাই খালি আমার জীবনের রসাল জিনিষ সম্বন্ধে জানিতে চাহিয়া কমেন্ট করে! কি আর করি? ঝাতি যখন ঝানিতে চায় তখন তথ্য প্রদান করা ছাড়া আর উপায় কি!
প্রথমেই অতি চামে বলিয়া রাখি আমার জীবনের প্রথম জিগিজিগি কোনো মনুষ্য কুলের সহিত হয় নাই! কিন্তু যাহা হইয়াছিলো এবং যেভাবেই হইয়াছিলো তাহা ভাবিতে এখনো আমার লোম খাড়া হইয়া যায়!
প্রায় ২২/২৩ বৎসর আগের কথা। বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে ঢুকিলাম জানুয়ারী মাসের ১৩ তারিখে! আনলাকি ১৩ যে এমন জিঘাংসা পূর্ন আনলাকি হইবে তাহা কে জানিতো?!
অনেক চড়াই উতরাই পার হইয়া, অনেক লিটার ড্রেনের পঁচা পানি পান করিয়া, সদ্য কেনা স্যুট ছিড়িয়া, ডিগবাজী ভোজবাজী খাইয়া রাত ২ টার সময় আমদের ক্যাডেট বিল্ডিং এর সামনে কোনোমতে কুঁজা হইয়া লাইনে দাঁড়াইয়া আছি! জীবনের ত্রাহী ত্রাহী অবস্হা! ভাবিতেছি, প্রান থাকিতে ভাগিয়া যাইবো কিনা?! কিন্তু সিনিয়রদের লেলিহান শিখার মতো গালাগালি এবং প্রশ্ন উত্তর দিতে দিতে পলায়ন পরিকল্পনা করিবার অবকাশ পাইলাম না।
হঠাৎ! এক বাজখাঁই গলার চিৎকারে সম্বিৎ ফিরিয়া পাইলাম! ৬ ফিট লম্বা এক অতিশয় কৃন্শকায় সিনিয়ার আমার পাশে দাঁড়ানো আমাদের ব্যাচের ই নতুন একজন ক্যাডেটকে প্রশ্ন করিতেছেন:
সিনিয়র: You Damn it! Did you ever fu**?
নতুন ক্যাডেট: ( সম্ভবত কোনো অজ পাড়াগাঁ থেকে আসা) Char (Sir), I don’t know fu**!!!
সিনিয়র: What???? You don’t know what f** is?
নতুন ক্যাডেট: No Char!
সিনিয়র: Oh Man!
নতুন ক্যাডেট: Yech Char, I am man!
সিনিয়র: What the f***!!
নতুন ক্যাডেট: Char I don’t know f***, Char!
তখন অতিশয় রাগান্মিত উক্ত সিনিয়ার পাশে দাঁড়াইয়া থাকা আমার দিকে চকচক করিয়া দৃস্টি দিলেন। আমি প্রমাদ গুনিলাম।
আমাকে না আবার কি প্রশ্ন করে এই যখন ভাবিতেছি তখনই:
সিনিয়র : You smart Ass! Do you know what’s f***?
আমি: (হচকচিত হইয়া, কম্পিত কন্ঠে) Yesss Sir, Yes sir!
সিনিয়র (ভিলেন এর মতো ক্রুর হাসি দিয়া): Cool man! Now you show this ক্ষ্যাত গাঁইয়া ভুত how to fuck!!!
আমি: (অতিশয় লজ্জিত হইয়া) Sir, I have never f***ed!
সিনিয়র: What!!! You damn it! Haven’t you seen in the movie?
আমি: (সম্প্রতি দেখা একটা জোশিলা চলচ্চিত্রর কথা স্মরন আসিতেই কাচুমাচু কন্ঠে) Yess sir, yess sir!
সিনিয়র: So, now you now show him how to fuck!
আমি: (পুরাই ধরা) Sir, how sir? No partner sir!
সিনিয়র: You hell! You need a friggin’ partner to show how to f***? Ok I will tell you how! (একটা খেজুর গাছ দেখাইয়া) Go near that date tree!
আমি তো আর নাই! অবশেষে ঐ ক্ষ্যাত গাঁইয়া ভুত কে মৌবনের লীলাখেলা শিখাইতে যাইয়া নিজের জীবন যৌবন না আবার বিসর্জন দিতে হয়! কিন্তু কি আর করি। আমিতো আর আমার মধ্যে নাই!
কাঁটাওয়ালা খেজুর গাছের কাছে যাইয়া....
আমি: Yes sir. I am here!
সিনিয়র: Now f*** the date tree and show this clown how to f***!
আমি: Sir, sorry sir! This tree is full of thorn sir!
সিনিয়র: What??? You think it’s your girlfriend? You and your 14 generation will do it! Do and show us how to f***
(ইতিমধ্যে আমার আশে পাশে সিনিয়রদের ভীড় জমিয়া গিয়াছে। সবাই আমার দিকে হাঁ করিয়া তাকাইয়া আছে!)
আমি (শেষ রক্ষা হইবার জন্য): Yess sir! But the tree is standing sir! How to f*** standing I don’t know sir!
সিনিয়র: You shit! You will also do it standing or else I will f*** you!
আমি কম্পিত পদে কাঁটাওয়ালা খেজুর গাছের নিকট গেলাম। ঐদিকে আদিম উল্লাসে সবাই চিৎকার ও শিৎকার করিতেছে! আর আমি? যৌবনের প্রথম ধাপ পার হইতে গিয়াই যে এমন কাঁটাওয়ালা অবস্হায় পড়িব তাহা ভাবিয়াই খাবি খাইতেছি!
খেজুর গাছকে আস্টে পৃস্টে জড়াইয়া ধরিলাম। কিন্তু স্হির হইয়া থাকিলাম।
কিন্তু এই স্হিত অবস্হা যেহেতু সংগা অনুযায়ী কামকলার মধ্যে পড়েনা সম্ভবৎ সেই জন্যেই সিনিয়র গন আরো উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন! আমাকে বিভিন্ন রকমের উৎসাহ এবং ভয় দেখাইতে থাকিলেন। আমি ঐদিকে আসন্ন কাঁটাওয়ালা কামলীলার কথা ভাবিয়া হীম হইয়া আছি! হঠাৎ দেখিলাম আমাকে আদেশ করা সেই সিনিয়র হিংস্র চোখে আগাইয়া আসিতেছেন! আমার সামনে তখন দুইটা পথ! এক, গাছের সাথে হালকা পাতলা কিছু করিয়া উক্ত ক্ষ্যাতটাকে শিক্ষা দেওয়া অথবা ঐ সিনিয়ার এর (কথিত) নির্যাতনের সম্মুক্ষীন হওয়া! আমি প্রথম পথ খানিকেই অধিকতর সমিচীন ও নিরাপদ মনে করিলাম! নিজের জীবন কে বাঁচাইতে শেষমেশ যৌবনকে জলান্জলী দিবার মনস্হীর করিলাম।
ইহার পর কি হইয়াছে আর মনে নাই! তবে মনে আছে আমি হাত এবং পদযুগল সংলগ্ন কিছু স্পর্শকাতর স্হানে কাঁটার আঘাতে ছিলিয়া গিয়া অনেক খানি রক্ত ঝরিয়াছিলো এবং পরবর্ত্তী ২ বৎসর ট্রেনিং কাল আমাকে এ জন্য অনেক জ্বালা যন্ত্রনা ও বন্চনা সহ্য করিতে হইয়াছিলো!
যাহা হউক, এখানেই শেষ নহে!
৬ বৎসর পরে বিবাহ করিলাম! বাসর রাতে ঘনিস্ট হইয়া বসিতেই আমার মনে উক্ত কাহিনী মাথাচাড়া দিয়া ওঠে!
পোড়া গরূর মতো সিদূরে মেঘ দেখিবার ন্যায় ভয় লাগিতে থাকে! আবার ছিলিবে না তো!
লক্ষী স্ত্রী সন্দীহান হইয়া উঠেন!
এখন পর্যন্ত!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।