বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সৃষ্ট সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হচ্ছে। সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছে মুসলিম রোহিঙ্গা যুবক যুবতী, আবালবৃদ্ধবনিতা । রাখাইন যুবকদের হাতে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে মুসলিম যুবতীরা। দেশটির নাসাকা ও রাখাইন যুবকরা মিলে রোহিঙ্গা মুসলিম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অজ্ঞাত স্থাানে নিয়ে যাচ্ছে।
গোটা মিয়নমার সামরিক প্রশাসন একতরফা মুসলমানদের উপর দমন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে তারা একযোগে চালাচ্ছে লুটতরাজ, মসজিদ ও বসতভিটাতে অগ্নিসংযোগ। অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম সহায়সম্পদ হারিয়ে পাহাড়ের গুহায় অবস্থান নিয়েছে । মুসলমানদের রক্তস্রোতে ভাসছে পুরো আরাকানরাজ্য। অসহায় শিশু, কিশোর, মজলুম মানুষের আর্তনাদে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে।
দেশটির নাসাকা রাখাইন (মগ) কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলিমরা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, লুটতরাজ, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। মিয়ানমারের জাšন্তা সরকার আরাকান রাজ্যেসা¤প্রদায়িক দাঙ্গা দমনের নামে সেনাবাহিনী পাঠালেও তারা মুলত মুসলিম দমনে রাখাইনদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃক রাখাইনদের খাদ্য ও রেশনসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে অথচ মুসলিমরা অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক পরিবারে শিশু ও নারীরা ক্ষুধার যšত্রনায় কাঁদছে। মংডুসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে রাখাইনদের ও নাসাকা ও পুলিশের অত্যাচর সহ্য করতে না পেরে জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে অনেকে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে।
সর্বোপরি রোহিঙ্গা ইস্যুনিয়ে আমাদের দেশে রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়াছে। পক্ষে বিপক্ষে তর্ক বিতর্ব শুরু হয়ে গিয়াছে
......................কিন্তু কারো বিবেক কাঁদেনা!
কাঁদো বিবেক কাঁদো........................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।