তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না চরম মিথ্যা কথা বরং জেনে রেখো তোমার সাথে আজীবন বাঁচতে রাজি আমি মারধরের পর চুল কেটেছে 'শ্বশুর-শাশুড়ি-দেবর
মৌলভীবাজার, অক্টোবর ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় রোববার মারধরের পর এক গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার ওই গৃহবধূ তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও তিন দেবরের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত জোবেদা আক্তারকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। জোবেদা বাল্লারপাড় গ্রামের জামাল মিয়ার স্ত্রী। জামাল মিয়া মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন।
তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জোবেদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে শ্বশুর মতলিব মিয়া তার (জোবেদা) ঘরে ঢুকে সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে মতলিব মিয়া পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাকে চরিত্রহীন অপবাদ দিয়ে শ্বশুর মতলিব মিয়া (৫৫), শাশুড়ি সমিজা বেগম (৪০), দেবর রহিম মিয়া (২০), ইসমাইল মিয়া (২২) ও নূরুল মিয়া (১৮) তাকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে তারা ধান কাটার কাস্তে দিয়ে তার মাথার চুল কেটে ফেলে।
পরে তার চাচা শ্বশুর আছদ্দর আলীসহ গ্রামবাসীরা তাকে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।
গৃহবধূ আরো অভিযোগ করেন, চুল কেটে নেওয়ার পর তারা তার কানের স্বর্ণের ঝুমকা ও গলার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গৌরমনি সিংহ জানান, গৃহবধূকে প্রচ- মারধর করা হয়েছে। তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে গৃহবধূর দেবর ইসমাইল মিয়া জানান, তাকে বিদেশ নেওয়ার ব্যাপারে জোবেদার স্বামী জামালের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে।
"ভাবী আমার বাবাকে চড় মারলে বাবা বাধ্য হয়ে ভাবীকে ২/১টি চড় মারেন। অন্যসব ঘটনা সাজানো ও পরিকল্পিত," বলেন তিনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, "ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। "
রাত সাড়ে ৯টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বাদীনিকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/ডিডি/০০৫৮ ঘ.
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।