বেশি কিছু চাই না, চাই শুধু মনের কথা বলতে দু’টি ঘটনার মধ্যে মিল বিস্তর। প্রথমটিতে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে মেয়েকে খুন করেছে বাবা। দ্বিতীয়টিতে অবশ্য বিয়ে আটকাতে পারেনি মেয়ের পরিবার। কিন্তু বিয়ের এক বছর পর মেয়ে-জামাইকে ডেকে এনে বাড়ির কাছের একটি রাস্তায় গুলি করে মেয়েটিরই দাদা। আহত দম্পতি এখন হাসপাতালে রয়েছে।

প্রথম ঘটনাটি দিল্লীর অদূরে সোনীপতে ঘটেছিল। দ্বিতীয়টি সোনীপতেরই নিকটবর্তী শহর পটৌদীতে। মেয়েটির একমাত্র অপরাধ ছিল, পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে একই গ্রামের একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চেয়েছিল সে। আর তা থেকে সরে আসতে না চাওয়ার জন্যই ‘পরিবারের সম্মান রক্ষার স্বার্থে’ তাকে শ্বাস রোধ করে খুন করে বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীটিকে প্রথমে ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলে তার পরিবার।

মেয়েটির বাবার অভিযোগ, সে কথা শোনেনি তাঁর মেয়ে। এর পর তাকে স্কুলে যেতেও বারণ করা হয়। কিন্তু কিছুতেই ‘কাজ’ না হওয়ায়, শেষ পর্যন্ত মেয়েটির বাবা তাকে খুন করে। মেয়েটির বাবা ব্রজেশ সিংহ স্থানীয় একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। মেয়েকে তারই দোপাট্টা গলায় জড়িয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করার পরে তিনি নিজেই পুলিশে খবর দেন।

সোনীপতের অদূরে পটৌদীতে পরিবারের মতের বিরুদ্ধে হেঁটে বিয়ে করার জন্য গুলি করার অভিযোগ উঠেছে মেয়েটির দাদার বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দম্পতি এখন হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশি সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন মণিকা ও বেদপ্রকাশ। বিয়েতে পরিবারের মত না থাকায় এর পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা। গত কালই ওই দম্পতির খোঁজ পায় মণিকার দাদা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতিকে রেজিস্ট্রি করার কথা বলার জন্য তাঁদের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। এর থেকে ওই দম্পতির ধারণা হয়, বাড়ির লোকেরা সব কিছু মেনে নিয়েছেন। ফলে তাঁরা শুক্রবার মণিকার বাড়ি যান। এর পর রাত ১০টা নাগাদ মণিকার দাদা তাঁদের বাড়ির কাছে একটি রাস্তায় নিয়ে গিয়ে গুলি করে বলে গুড়গাঁও পুলিশের ডেপুটি কমিশনার প্রবীণ মেটা জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে মণিকার পরিবারের সাত জনই পলাতক।

 ।