আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাডাম পুলিশী অনুমতি নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন হয় না !!

ম্যাডাম, সালাম বাদ সমাচার, এ মুহুর্তে আপনার ওপরে প্রচন্ড চাপ। একদিকে আন্দোলন সফল করে লক্ষে পৌছা। অন্যদিকে সরকারের নানা রকম কূটচাল ও ষড়যন্ত্র। দলের ভেতরেও বেইমানের অভাব নেই। ১০ জুনের আল্টিমেটাম শেষ।

এবারে কর্মসূচির পালা। চারিদিকে নানা কানাঘুষা চলছে, কি আসছে কর্মসূচি? ১১ তারিখের সমাবেশের স্থান ও মাইক ব্যবহারের অনুমতি এখনো দেয়নি পুলিশ। কোনো দেবে? সরকার যদি বুঝতে পারে, আপনি এমন কোনো কর্মসূচি দিচ্ছেন, যেটায় সরকারের পতন হবে, সেই অনুমতি পুলিশ দেবে, কেনো? এটা আশা করা বৃথা। আওয়ামীলীগ হলো কুত্তার লেজ। ৪০ বছর তেল ডলেও সোজা করা যাবে না।

যারা আপনাকে বুদ্ধি দিচ্ছে, আওয়ামীলীগের সাথে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করার জন্য, আসলে তারা আপনাকে বার বার বোকা বানাচ্ছে। আওয়ামীলীগের জন্য দরকার, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। যে কোনো মূল্যে কালকের সমাবেশ করতে হবে। আর কঠোর কর্মসূচি চাই। একবারে তো আর হবে না।

ধাপে ধাপে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যান সবকিছু। সরকার বাধা দিবে, তবে থামা যাবে না। যদিও মওদুদ সাহেবে আগেই ঘোষণা করেছেন, সরকার যদি একটু ইশারায়ও বলে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে আলোচনা হবে, তবেই সব আন্দোলন বন্ধ। সরকারকে দেড় বছর নিরাপদে পার করার গ্যারান্টি উনি দিয়ে ফেলেছেন! আমাদের সন্দেহ উনি কি বিএনপির জন্য কাজ করছেন? নাকি সরকারের কোনো বিশেষ মিশন নিয়ে নেমেছেন? ম্যাডাম আপনাকে অভিনন্দন, আপনি আমাদের কথা শুনেছেন বলে- এই মৌদুদকে নিয়ে বিশাল রচনা লেখার পরে আপনি তাকে ডি-ফ্যাক্টো মহাসচিবের কাজ থেকে সরিয়েছেন। সে তুলনায় তরিকুল ইসলাম সাহেব অনেক ভালো চয়েজ।

তরিকুল ইসলাম সাহেব ঘোষণা করেছেন, অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১১ জুন সমাবেশ করা হবে। আর সমাবেশে বাধা দেওয়া হলে দলের নেতাকর্মীসহ জনগণকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহর অবরোধ করা হবে। এটা ভালো অবস্থান। সাথে আরো হুমকি দেয়া যায়, ১১ তারিখ সমাবেশ করতে না দিলে লাগাতার ৩ দিন হরতাল আসছে। পুলিশ লাগাতার হরতালকে ভয় পায়।

ঠেলায় পরে, সমাবেশের অনুমতি দিয়ে দেবে। দলের ভেতরের ষড়যন্ত্রে ও বেইমানিতে ১২ মার্চ ভন্ডূল হয়ে গেছে। অথচ হাসিনা নিজেই জানতো, ঐদিন তার পতন হবে। সেদিন আপনার আপোষকামিতায় দেশের কোটি কোটি মানুষ আশাহত হয়েছে। দয়া করে ১১ জুন যেনো পন্ড না হয়।

সরকার খুব বেশী ঝামেলা করলে, যে যেখানে আছে সেখানেই সমাবেশ ঘোষণা দিন। পরের দিন, এই লোকজন নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও, এর পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও। এভাবে ধাপে ধাপে এগিয়ে যান। সরকারের মামলা, হামলা, জুলুমকে যারা ভয় পায় তাদেরকে বলে দিন, সমাবেশে না আসার। মীর্জা ফখরুল মামলার ভয়ে আত্মগোপন করে দলের যে ক্ষতি করেছে, তা পোষাবার নয়।

হাসিনা শেষ সময় পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিবে না। ওটা আপনাকে বাহুবলে আদায় করতে হবে। হাসিনাকে দেড় বছর সময় দিলে সে আপনার দল নেতাশূণ্য করে ফেলবে। মামলার জালে জড়িয়ে ফেলবে গোটা দল। জনবিরোধী বাজেটে করারোপ এবং মোবাইল ফোনে কর বসানো নিয়ে অবিলম্বে একটা গণমিছিল দেন।

আমরা চাই কঠিন কঠিন কর্মসূচি: হাসিনা ঘেরাও, রাজপথ দখল, ধর্মঘট, হরতাল, আইন অমান্য, স্বেচ্ছায় কারাবরন। আপনার সাথে আছে লক্ষ কোটি জনতা। ।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.