আমি নিজের জন্য ভোটের লোভে জামাত ছাড়তে পারছেন না ম্যাডাম খালেদা জিয়া। আর জামাতও মহামতি ম্যাডামের সান্নিধ্য ছাড়তে চায় না। কেননা ম্যাডাম তো তাদেরই কথা বলে। পার্থক্য শুধু ম্যাডাম বিএনপি করে। হয়তো এক সময় ম্যাডামও জামাত হয়ে যাবে।
যাক এখন শুনি জামাতি ভোটরে কথা-------
বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামী ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন পেয়েছিল ১০টি। এরপরে ১৯৯১ সালে ৫ম সংসদ নির্বাচনে আসন পেয়েছিল ১৮টি। এ নির্বাচনে তারা ২২২ টি আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে মোট ভোট পেয়েছিল ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৬১টি। যা মোট ভোটারের ১২.১৩ ভাগ। দেখা গেছে, এরপরে ১৯৯৬ সালের ৭ম সংসদ নির্বাচনে তারা আসন পায় ৩টি।
৩০০ আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে মোট ভোট পায় ৩৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩টি। যা মোট ভোটারের ৮.৯১ভাগ। ২০০১ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচনে জামায়াত আসন পায় ১৭ টি। এসময় ৩১ টি আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে মোট ভোট পায় ২২ লাখ ৬২ হাজার ৭৩টি। যা মোট ভোটের ৪.০৬ ভাগ।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে জোটবদ্ধ নির্বাচন করে তারা ২টি আসন পায়। এ নির্বাচনে ৩৯ টি আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে মোট ভোট পায় ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৭ টি। যা মোট ভোটের ৪.৭ভাগ।
দীর্ঘদিন থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবি করে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। গত ২১ জানুয়ারি বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়ে জামায়াত যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ছিলো- এমন পর্যবেণের পর তা জোরালো হয়।
এছাড়া শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে। এসব কারণেই ইসি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য জন সমর্থন বিশেষণ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।