বেপোয়া মানুষ বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার এই বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্রের হার হ্রাসের সংগ্রাম এবং ভূমি ও কৃষি সংস্কার নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা রাজ্যের মতো এদেশেও কৃষি খাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র মোকাবেলার নানা কৌশল অবলম্বনে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বিগত সরকারের আমলে কৃষি ও দারিদ্র মোকাবেলায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে কৃষি ও কৃষক বান্ধব নানা পদক্ষেপ গ্রহন করায় সাম্প্রতিককালে দেশের কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য গতিশীলতা এসেছে। ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জন করেছে।
মাছ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। খাদ্য শস্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। জনগনের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে লক্ষ্যনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তাছাড়া জাতিসংঘের ঘোষনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের আগেই অর্থাৎ ২ বছর আগেই ক্ষুধা ও দারিদ্রের উন্নয়ন অর্জন হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২০০০ সালের বার্ষিক অধিবেশনে ৮ টি বা মধ্য মেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গৃহিত হয়েছিল।
যার প্রথমটি ১৯৯০ সালের দারিদ্র্য সীমার নিচে অবন্থানকারী। বাংলাদেশের ৫৮ শতাংশ জনসংখ্যাকে ২০১৫ সালে ২৯ শতাংশ হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষনা করা হয়েছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের মাত্র ২০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশেরও নাম রয়েছে। তাই FAO ঐ ২০টি দেশকে সাফল্যের ডিপ্লোমা প্রদানের জন্য যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ১৭ জুন ডিপ্লোমাটি গ্রহন করেছেন। ২০১৩ সালেই বাংলাদেশ ২৯ শতাংশ অর্জন করেছেন।
তাই ২০১৫ সালে বাংলাদেশ দারিদ্র্য সীমার নিচে অবস্থানকারী জনসংখ্যা ২৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। তাই অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্য বিমোচন নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে বলে দেশের সাধারন জনগণ মনে করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।