আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দারিদ্র!

রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

খাগড়াছড়ির ৪৮০ জন স্কুলছাত্র বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বিস্কুট খেয়ে অসুস্থ। বিস্কুট খাওয়ামাত্র শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবরটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ বিস্কুটগুলো যে খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল তা এ খবর পড়েই বোঝা যায়। পুলিশ নাকি কিছু বিস্কুট জব্দ করেছে, যা ঢাকায় এনে পরীক্ষা করা হবে।

আমার বিস্কুটগুলো দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। সন্দেহ হচ্ছে, বিস্কুট দেখেই বলা যাবে সেগুলি খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিল, নাকি খাওয়ার অবস্থায় নেই জেনেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, বিস্কুটগুলোতে নাকি বিএসটিআই এর সিলমোহর ছিল না। তাহলে সিলমোহর ছাড়া বিস্কুটগুলো কিভাবে মার্কেটে এলো, এ বিষয়টা মনেহয় জানা প্রয়োজন। দায়িত্ব অবহেলার সাথে জড়িত বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও বিস্কুট সরবরাহকারীদের সনাক্ত করা খুবই জরুরি।

আরও বেশি জরুরি, এদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা। উদাহরণ তৈরী করাটা জরুরি। যা করা না হলে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আবার হয়তো আমরা এরকমই অন্য আর একটা খবর দেখবো। শিশুগুলি দরিদ্র, হয়তো তাই খবরটা আমাদের শহরের মানুষদের তেমন একটা বিচলিত করছে না।

ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াগুলো সমসাময়িক বিষয়ে নানারকম আলোচনা, টকশো প্রচার করেন প্রতিদিন। আজও আলোচনা হয়েছে। কখনো কখনো বিশেষজ্ঞরা বিশেষভাবে তাদের অজ্ঞতা প্রকাশ করেন দায়িত্ব-জ্ঞানহীনভাবে। কিন্তু আজ এ বিষয়ে কোন টকশো হতে দেখলাম না। হয়তো বিষয়টা বিচলিত কিংবা আলোচিত হওয়ার মতো ছিল না।

কিন্তু আজ যদি এই ঘটনা স্কলাস্টিকা কিংবা অন্যকোন স্কুলে ঘটতো, তাহলে কি হতো? সারাদিন টক অব দ্য টাউন হতো খবরটা। কত বিশেষজ্ঞ মতামত হজম করতে হতো আমাদের। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দায়িত্বহীন কর্তব্য পালনের জন্য শাস্তি হবে বলে মনে হয়না। কারণ কিছুদিন আগে কীটনাশকের প্রভাবে মানিকগঞ্জের কিছু শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। তারপর আমরা জানতে পেরেছি, আরও একবছর আগে নওগাঁয় ঘটেছে বিষয়টি।

কিন্তু জানতে পারিনি, এসব কর্মকান্ডের জন্য কাউকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কেন হয়নি? বোধহয়, এরা গরীব ও দরিদ্র! এদের দুঃখ দুদর্শা নিয়ে কথা বলা যায়, আলোচনা করা যায়। একধাপ এগিয়ে লেখালেখি কিংবা বক্তৃতা বিবৃতিতে তাদের বন্ধু হওয়া যায়, কিন্তু যারা আমরা তাদের দরিদ্রজীবনের সাথে প্রতিনিয়ত ছলাকলা করছি, তাদের নির্মমতার কথা জানতে পারছি না কোনভাবেই। এর পরিবর্তন কি ঘটবে কখনো?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.