চক্ষু মেলিয়া তাকানোর পর থেকে খালি বাঁদরামি করি যাহা দেখি সবই নয়া লাগে , , পাখির মতো মন হলেও,কলিজা বাঘের মতো , মানুষের মতো খালি দেখতে তে তে তে ১৮ মার্চ , ২০১২
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম । আজকের দিন টায় বেশ প্যারা আছে । কারণ আজ ৬ টি স্পট ঘুরে কাইক্ষ্যঝিরি যেতে হবে বিকালের আগে সম্ভবত ৪:০০বা ৫:০০ টায় নৌকার শেষ ট্রিপ।
ঘুম থেকে উঠতে সবাই নারজ , একজন আরেকজনকে ঠেলাঠেলি । গালাগালি মারামারির পর আমরা সবাই রেডি , হোটেল চেক আউট করে বেরিয়ে পরলাম নাস্তা করতে ।
১৫০ - ১৬০ মধ্যে নাস্তা সেরে , পানি ও বিস্কুট কিনে ৭:৩০ জীপ এ যাত্রা শুরু করলাম , , হালকা রোদ , ভালই লাগছে । জিপের হেল্পার টা আংশিক বদ । ভাব নিয়ে থাকে ।
আধা ঘণ্টার ভিতর পৌঁছে গেলাম স্বর্ণমন্দির আর খেলাম মারা । কারণ গেট ঘুলবে ৮:৩০।
আসে পাশে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম । পাশেই আরেকটা পাহাড় । ড্রাইভার বলল ওইখানে দেবতার পুকুর আছে । পাহাড় বেয়ে সমতলে একটু হাঁটলেই পুকুর । ডিজিটাল পুকুর ।
ছবি দেখলেই বুজবেন
দেবতার পুকুর
আমি আর মন্দির সমানে সমানে
কোন মতে ৮:৩০ বাজার সাথে সাথে , হাজির । এবার হল আরেক কাজ , থ্রি কোয়াটার পরে ভিতরে ঢুকা যাবে না । তাই গাড়িতে গিয়ে ফুল প্যান্ট পরে নিলাম ।
প্রবেশ পথ , প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা , এই টাকা মন্দিরে থাকা অনাথ দের জন্য ব্যয় করা হয় ।
নিয়ম কানুন গুলো পড়িয়া লন , এটি উপাসনালয় , তাই কোন রকম বাঁদরামি না করাই ভালো , , কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা উচিত না ।
টিপ টিপ পায়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম , ,চকচক করলেই সোনা মনে করিবেন না মন্দিরের রঙ সোনার মত , আর উপরে চূড়ায় নাকি স্বর্ণ আছে , যদিও উপরে উঠে দেখতে পারি নাই জাদি ছবি তুলা নিষেধ , , কিন্তু হায় মানে কে এখন কিছু ফটু দেখেন
বিভিন্ন রাশির নামে
ঘণ্টা খানা দেখসেন , , বাজাইতে মুন চায়সিসো , কিন্তু এটা তো আর নিজের এলাকা না
এই তিনটা কে চেনেন , , আমার সাথের তিন বাদর , আমরা এক হালি বাঁদর
মন্দিরের চারপাশে বুদ্ধের অনেক মূর্তি , সবগুলতেই বিভিন্ন ভাবে পরা পোশাক , তিনি কোন কোন দেশে কিভাবে বস্ত্র পরিধান করিতেন
বাংলাদেশ ( এক মাত্র এইখানে পুরো শরীর ঢাকা )
শ্রীলঙ্কা
কোরিয়া
খুবই সুন্দর জায়গা , আরও ভালো লাগছিল কিছু সুন্দর ললনার আগমনে কিন্তু ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও থাকতে পারলাম , সময় স্বল্পতা ।
আবার মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের দিকে । এখানে বিশাল একটি লেক আছে , ২ টি জুলন্ত সেতু ,ক্যাবল কার চিড়িয়াখানা ও মিনি সাফারি পার্ক । বিশাল এলাকা , ঘুরতে বেশ ভালই লাগে । ৪ রুমের একটি বিশ্রামাগার আছে , ভাড়া ২০০০+ , বুকিং ০৩৬১-৬২৫০৬
প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা , ক্যাবল কার ৩০ টাকা জনপ্রতি ।
২ টা টিকেট গেট থেকেই কিনতে হয় ।
সদর গেট
ঝুলন্ত সেতু ১
খোঁজ খোঁজ খোঁজ , হরিণ খোঁজ
এবার ক্যাবল কার , অবস্থা শোচনীয় , লড়বরে অবস্থা । আল্লাহ মালিক বলিয়া উঠিয়া পরিলাম । ( মনে মনে জয় বাংলা)
ক্যাবল কার থেকে সেতু টা দেখেন তো কত বড়
পাহাড়ের উপরে ফলের দোকান , শুধুই ফল , দামও ভালই
অবশেষে পাইলাম হরিণ , খাঁচায় । ভাবসিলাম হরিণের সাথে কানামাছি খেলব
ওস্তাদ
অস্থির দূর গন্ধ
২য় সেতু
বাঁদরামির বিস্তর সুযোগ
এবার নীলাচলের পথে ।
বান্দরবান শহরের কাছে এইটাই উছু পাহাড় , উচ্চতা ১০০০ ফুট । এখানে যাওয়ার সময় টোল ৫০ টাকা এবং প্রবেশ ১০ টাকা জনপ্রতি ।
পাহাড়ের উপর খুব সুন্দর জায়গা।
আমরা যাওয়ার খানিক বাদেই বৃষ্টি আসার পাঁয়তারা । চারিদিক কালো হয়ে ভয়াল অবস্থা , ঝড় উঠেছে , প্রচণ্ড বাতাস ।
বেশ উপভোগ্য , কিন্তু বৃষ্টি যে আসল তার কোন মা বাপ নেই , মুষল ধারে । এখানে একটি রেস্তোরা ও একটি বিশ্রামাগার আছে । বুকিং ০৩৬১-৬২৬০৫
বৃষ্টির পর , ,
( চলবে )
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ , বানান ভুল ক্ষমা করবেন ।
বাংলার পথে(পর্ব ১৬) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, ক
বাংলার পথে(পর্ব ১৮) -- বান্দরবানের ৬টি স্পট হয়ে জাদিপাই, গ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।