আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খলে বিশ্ব অর্থনীতি

সাইফ শাহজাহান শুচি সৈয়দ গত কিছুদিনে কয়েকটি বই পড়েছি, বইগুলো একেকটি মাত্রায় নাড়িয়ে দিয়েছে আমাকে। শুধু আমাকে নয় যে কোনও পাঠককেই আলোড়িত করার ক্ষমতা রাখে সেগুলো। আলাপে আড্ডায় বইগুলোর বিষয়বস্তু আমার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে শেয়ারও করেছি। কোনও বই পড়ে ভালো লাগলে সেটা অন্যকে পড়াতে ইচ্ছে করে আমার। চেষ্টা করি ক্রয় সাধ্যের মধ্যে হলে কিনে প্রিয় মানুষদের পড়তে দিতে।

পড়ার বিষয়ে আমার কোনও শুচিবায়ুগ্রস্ততা নেইÑ কারণ পাঠের ভেতর দিয়ে আমি জীবনীশক্তি আহরণ করি। পাঠ আমাকে রসদ জোগায় নিরন্তর পথ চলার। এই লেখায় সাম্প্রতিক সময়ে পড়া একটি বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আমি পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। বইটি সম্ভব হলে এই লেখার সব পাঠককে সংগ্রহ করে কিংবা কিনে পড়ার অনুরোধ জানাই। জন পার্কিন্স-এর লেখা ‘এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারোক্তি’ নামের বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন দেবাশিস চক্রবর্তী।

এর প্রচ্ছদেই উল্লেখ করা হয়েছেÑ‘যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সমগ্র বিশ্বকে নিজের সাম্রাজ্যে পরিণত করেছে তার ভয়ংকর কাহিনী’Ñ সত্যিকার অর্থে এই বইটি জেমস বন্ডের শ্বাসরুদ্ধকর স্পাই থ্রিলারকেও হার মানাবে। সত্য যে কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এই বইটি না পড়লে তা উপলব্ধি করা যাবেনা। যারা প্রগতিশীল সমাজ পরিবর্তনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাদের কাছে জন পার্কিন্সের এই বিবেক তাড়িত স্বীকারোক্তি বিস্ময়ের বিষয় নয়। ঐতিহাসিক সমাজ পরিবর্তনের নিয়ম অনুযায়ী ‘সাম্রাজ্যবাদ’ পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তরÑ সমাজ বিকাশের ঐতিহাসিক নিয়মে যার ভেঙে পড়ার কথাÑ যার পতনের মধ্য দিয়ে সূচনা হওয়ার কথা সমাজ বিপ্লবের যে বিপ্লব সমাজের সমাজতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাবেÑ সেই সাম্রাজ্যবাদী সমাজ কেন ভেঙে পড়ছে না বরং উল্টো কি করে তা শক্তি সঞ্চয় করে তার অস্তিত্বকে রক্ষা করে আরও হিংস্র বর্বর এবং সাম্রাজ্য লিপ্সু হয়ে উঠছেÑ কার কাঁধে ভর করে সেই চিত্র তুলে ধরেছেন জন পার্কিন্স তাঁর এই বইয়ে। সারা পৃথিবী পদানত করা মার্কিনী দানব শাসক-শক্তি-সিন্ডিকেটÑ যারা ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সূতিকাগার ইরাককে দখল করার সময় শ্লোগান দিয়েছেÑ হয় আমাদের সমর্থন কর নতুবা তুমি ইরাকের পক্ষেÑ সেই দানবের গর্ভে “ডব ধৎব ৯৯” -এর পদধ্বনির ভেতর ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি লক্ষ্য করা গেলেও কোন খুঁটির ওপর ভর করে হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে হয়ে উঠছে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা এই বইটি পাঠ করলে অনেকটা উপলব্ধি করা যায়।

মাত্র একজন অর্থনৈতিক ঘাতক জন পার্কিন্স তাঁর ‘কনফেশন’টি কেবল লিপিবদ্ধ করেছেন, বিবেকের তাড়নায়। তার ভেতর দিয়ে সাম্রাজ্যবাদের দাঁত ও নখের সামান্য ইঙ্গিত উঁকি দিয়েছে মাত্র। এটি একজন ব্যক্তির নিজের পাপ স্খালনের প্রয়াস বটে। প্রবল বৈরি প্রতিকূলতার ভেতরও এই স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী ব্যক্তি পুণ্যার্জনের প্রয়াস হলেও দুঃসাহসী কাজ একই সঙ্গে ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বটে পৃথিবীর মহাফেজখানায়। জন পার্কিন্সের এই বইটি পড়লে সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনাবলীর কলকব্জা কোথা থেকে অফ-অন হচ্ছে সেটাও বোধগম্য হবে।

সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে সৃষ্ট আরব বসন্ত কতটা প্রকৃত বসন্ত আর কতটুকু হায়েনার গর্জন সেটা বোঝা যাবে। পৃথিবীব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী মার্কিনী বর্বরতার কারণ কারাÑ কাদের স্বার্থ সম্পদের লোভ ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়ার মত দেশগুলোকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করছে; তার নেপথ্য নায়কদের স্পষ্ট করে চেনা যাবে। বুশ-লাদেন-সৌদী বাদশা, ইসলামি জঙ্গীবাদের শেকড় কোথায় জানা যাবে। এই লেখায় আমি জন পার্কিন্সের নিজের লেখা ভূমিকাটির কিছু চুম্বকাংশ তুলে দিচ্ছি যাতে বইটি পাঠের আগ্রহ জšে§। আমি মনে করি যে কোনও সচেতন পাঠকেরই বইটি পড়া দরকার, পড়া দরকার বিশেষ করে আমাদের দেশের রাজনীীতবিদ, নীতি নির্ধারক, সুশীল সমাজের লোকদের।

জানি এদের অনেকের মধ্যেই হয়তো জন পার্কিন্সের মত লোকজনও রয়েছেনÑ তাসত্ত্বেও তাদেরও পাঠ করতে বলবো আয়নার সামনে চেহারাটা মেলে ধরে তারা যেন তালাশ করেন তাদের বিবেককে। জন পার্কিন্স তাঁর লেখকের ভূমিকায় যা বলেছেন তার চুম্বকাংশÑ “অর্থনৈতিক ঘাতকেরা মোটা অংকের বেতনপ্রাপ্ত পেশাদার। এদের কাজ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে ধাপ্পা দিয়ে লক্ষ কোটি ডলার চুরি করা। এরা বিশ্বব্যাংক, ইউএসএইড এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সাহায্যদানকারী সংস্থার কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের তহবিলে পৌঁছে দেয়। এভাবেই সমগ্র বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদকে নিয়ন্ত্রণকারী গুটি কয়েক পরিবার প্রতিনিয়ত লাভবান হয়।

এ কাজে অর্থনৈতিক ঘাতকদের মূল অস্ত্র হচ্ছে ভুল তথ্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, পাতানো নির্বাচন, ঘুষ, চাপপ্রয়োগ, যৌনতা ও হত্যা। তাদের কর্মকাণ্ড সাম্রাজ্যের ইতিহাসের মতই প্রাচীন। তবে বিশ্বায়নের এ যুগে এসব কর্মকাণ্ড নতুন ও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আমার তো এসব কথা জানা উচিত। কেননা, “আমি ছিলাম একজন অর্থনৈতিক ঘাতক।

” ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে “এক অর্থনৈতিক ঘাতকের বিবেক” নামের একটি বইয়ের ভূমিকা লেখার সময় আমি উপরের কথা ক’টি লিখেছিলাম। বইটি দুই দেশের প্রেসিডেন্টকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। দু’জনেই ছিলেন আমার গ্রাহক। দু’জনকেই আমি শ্রদ্ধা করতাম। দু’জনকেই আমি মহানুভব ব্যক্তিত্ব বলে মনে করতাম।

এরা দু’জন হচ্ছেন ইকুয়েডরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হাইমে রোলদো ও পানামার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ওমর তোরিজো। দু’জনেরই মৃত্যু ঘটেছে ভয়াবহভাবে আকাশ থেকে মাটিতে বিমান পতনের কারণে। কিন্তু এসব পতন নিছক বিমান দুর্ঘটনা ছিলনা। বরঞ্চ এগুলো ছিল রাজনৈতিক হত্যা। তারা বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারী, বাণিজ্যিক ও অর্থিৈতক জোটের ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধাচরণ করেছিলেন।

তাই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। যখন অর্থনৈতিক ঘাতকেরা রোলদো ও ওমর তোরিজোদের বশ করতে ব্যর্থ হয় তখন সিআইএ-র দ্বিতীয় ঘাতকদলের কাজ শুরু হয়। এই দ্বিতীয় ঘাতক দলের নাম হচ্ছে শৃগাল। চাপের কারণে আমি তখন বইটি লিখতে পারিনি। পরবর্তী ২০ বছরে আমি ৪ বার বইটি লেখার কাজ শুরু করেছিলাম।

প্রতিবারেই কয়েকটি আন্তর্জাতিক ঘটনা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এসব ঘটনা হচ্ছে- পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান, প্রথম ইরাক যুদ্ধ, সোমালিয়া ও ওসামা বিন লাদেনের উত্থান। কিন্তু প্রতিবারেই ঘুষ ও ভীতি আমাকে শুরুতেই থামিয়ে দিয়েছে। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে একটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনী সংস্থার প্রেসিডেন্ট আমার বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়েছিলেন। তখন বইটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারোক্তি’।

পাণ্ডুলিপি পড়ার পর প্রকাশনী সংস্থার প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করলেন, “এমন একটি আকর্ষণীয় ঘটনা অবশ্যই পাঠকদের জানানো উচিত। ” তারপর তিনি দুঃখের হাসি হাসলেন, সখেদে মাথা নাড়লেন, উনি আমাকে জানালেন যে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের সম্ভাব্য আপত্তির কারণে তিনি বইটি ছাপতে পারবেন না। এরপর তিনি আমাকে অনুরোধ করলেন বইটিকে উপন্যাসের আঙ্গিকে লিখতে। “আমরা আপনাকে জন লি কেরি বা গ্রাহাম গ্রীনের মত বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পাইয়ে দেব। ” কিন্তু আমার বইতো কোন কল্পকাহিনী নয়।

বরঞ্চ তা হচ্ছে আমার জীবনের প্রকৃত ঘটনা। পরিশেষে একজন দুঃসাহসী প্রকাশক, যার প্রকাশনী সংস্থাটির সাথে কোন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই, তিনি আমাকে নিজ কাহিনী বলতে সাহায্য করলেন। এই কাহিনী আমাকে বলতে হবেই। আমরা এক ভয়াবহ সঙ্কট ও অভূতপূর্ব সুযোগের যুগে বাস করছি। এই বিশেষ অর্থনৈতিক ঘাতকের কাহিনী হচ্ছে এমন একটি বিবরণ যা বয়ান করবে যে, কিভাবে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছি এবং কেন আমরা দুর্বলতম সব সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছি।

এই কাহিনীটি বলতেই হবে। কেননা আমরা অতীতের ভুলগুলোর স্বরূপ বুঝতে পারলেই ভবিষ্যতের সুযোগগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারব। ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১১ই সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পরপরই ঘটেছে দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধ। সন্ত্রাসী হামলায় ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১১ই সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। সেই সাথে ক্ষুধা ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কারণে মৃত্যু ঘটেছে ২৩ হাজার ব্যক্তির।

প্রতিদিন জীবন রক্ষাকারী খাদ্যের অভাবে ২৪ হাজার ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। এই কাহিনী বলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে এই যে, বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত এহেন পরিস্থিতিকে পরিবর্তন করার মত ক্ষমতা, অর্থ ও দক্ষতা একটি দেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই দেশে আমি জš§ গ্রহণ করেছি। এই দেশের অর্থনৈতিক ঘাতক রূপে আমি কাজ করেছি। আর এই দেশটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

কী কারণে আমি সকল ভীতি ও ঘুষকে উপেক্ষা করতে সক্ষম হলাম? সংক্ষিপ্ত জবাবটি হচ্ছে এই যে, আমার একমাত্র সন্তান জেমিমা পড়াশুনা শেষ করে কর্ম জীবন শুরু করেছে। যখন আমি তাকে বইটি প্রকাশের ইচ্ছা জানালাম ও নিজ ভীতির কথা বললাম, তখন সে বলল, “বাবা, মোটেও ভয় পেয়োনা। যদি ওরা তোমার ক্ষতি করে, তবে আমি তোমার কাজ শেষ করব। একদিন আমি তোমাকে যে ভবিষ্যৎ প্রজš§ উপহার দেব তাদের জন্যই কাজটি করতে হবে। ” এটাই হচ্ছে সংক্ষিপ্ত কারণ।

............................. এই কাহনী সম্পূর্ণভাবে প্রকৃত ঘটনা। আমি এর প্রতিফলনের চাক্ষুষ সাক্ষী। এর প্রতিটি দৃশ্য, ব্যক্তি, সংলাপ ও অনুভূতি যেভাবে আমি বলেছি, ঠিক সেভাবে আমার জীবনে ঘটেছিল। ......... ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে যেদিন আমার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল সেদিন আমার প্রশিক্ষক ক্লাউন বলেছিল, “আমার কাজ হচ্ছে তোমাকে একজন অর্থনৈতিক ঘাতকে পরিণত করা। তোমার কাজ সম্পর্কে কাউকে কোন কথা বলা চলবে না।

এমনকি তোমার স্ত্রী যেন ঘুণাক্ষরেও এব্যাপারে কিছু টের না পায়। ” ......... আমাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় ক্লাউন কোন রাখঢাক করে কথা বলেনি। সে সুস্পষ্টভাবে বলেছিল, “তোমার কাজ হবে বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক স্বার্থরক্ষার নেটওয়ার্কের সদস্যে পরিণত হওয়ার অনুপ্রেরণা যোগানো। এসব নেতা এমন ভাবে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বেন, যা তাদের আনুগত্যকে সুনিশ্চিত করবে। তখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তাদেরকে যেভাবে খুশি সেভাবে ব্যবহার করতে পারব।

বিনিময়ে তারা শিল্পস্থাপন, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও বিমানবন্দর তৈরি করে নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে সুসংহত করতে পারবেন। এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কারণে মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানিগুলো বিপুল বিত্ত অর্জন করতে পারবে। ” ................ আমরা যখন ব্যর্থ হই তখন আরো ভয়াবহ ঘাতক শৃগালদের কাজে লাগানো হয়। যখন শৃগালেরাও হার মানে তখন সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়। ” (লেখকের ভূমিকা।

এক অর্থনৈতিক ঘাতকের স্বীকারোক্তি। জন পার্কিন্স। বাংলা অনুবাদ দেবাশিস চক্রবর্তী) আমার বিশ্বাস এই সুদীর্ঘ উদ্ধৃতি কৌতূহলী পাঠককে বইটি পড়তে উদ্বুদ্ধ করবে। অনেকেই এই বইটি পড়–ন এটাই আমার চাওয়া। এ জাতীয় বই আমাদের বাংলা ভাষায় নতুন নয় একেবারেই।

গত শতকের আশির দশকের শেষ দিকে ‘সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খলে বাংলাদেশের অর্থনীতি’ লিখেছিলেন অজয় দাশগুপ্ত। নব্বইয়ের দশকে সাহায্য সংস্থায় কর্মসূত্রে বাংলাদেশে আসা একজন বিবেকবান কর্মী জার্মানির নাগরিক বিগৃতে এরলার লিখেছিলেন তাঁর নিবিড় পর্যবেক্ষণজাত ঘটনাবলী বিবরণ ‘সাহায্য না মারণাস্ত্র’ নামে একটি বই। এই বইটি পূর্বোল্লিখিত বইগুলোর ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলেও একটি প্রামাণিক দলিল হিসেবে উপস্থিত হল মাত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.